চকরিয়া (কক্সবাজার) : বারবাকিয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে পাহাড় কেটে জায়গা সমতল করা হচ্ছে -সংবাদ
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিনত করছে সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম।
পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে একজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে টইটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাকে চকরিয়া বেসরকারি জেনারেল হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মাটি চাপা পড়ে তার একটি পা ভেঙে গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের বারবাকিয়া সদর বনবিটের আওতাধীন টইটংয়ের রমিজ পাড়ায় সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম বনবিভাগের সংরক্ষিত বনের জায়গায় সপ্তাহ ধরে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ করছেন। সেখানে দৈনিক ৭/৮ জন শ্রমিক পাহাড়কাটা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে মাটি কাটছিলেন। এসময় হঠাৎ উপর থেকে একটি পাহাড় ধসে পড়ে দিদার নামের এক শ্রমিক মাটি চাপা পড়ে। অল্পের জন্য অন্য শ্রমিকরা রক্ষা পান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম পাকাবাড়ি নির্মাণের জন্য বসতবাড়ি লাগোয়া সংরক্ষিত বনের পাহাড়কেটে সমতল করছেন। প্রতিদিন সেখানে সিরাজের বাবা মুহাম্মদ হোসেন পাহাড়কাটা দেখভাল করছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার ও বনবিট কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে জায়গা সমতল করা হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে একজন শ্রমিক আহত হন। দুর্ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গোপনে আহত ব্যক্তিকে চকরিয়া উপজেলা সদরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন বিষয়টি কৌশলে গোপন রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের বাবা মুহাম্মদ হোসেন বলেন, বাড়ি করার জন্য জায়গা সংকটের কারণে উঠানের জন্য সামান্য মাটি কাটছি। এখানে কোন ধরণের স্থাপনা (ঘর) নির্মাণ করা হবেনা। মাটিচাপা পড়ে একজন শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছে। আমরা তাঁর চিকিৎসা খরচ বহন করছি
জানতে চাইলে বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ খালেকুজ্জামান বলেন, পাহাড়কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে বনবিট কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চকরিয়া (কক্সবাজার) : বারবাকিয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে পাহাড় কেটে জায়গা সমতল করা হচ্ছে -সংবাদ
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিনত করছে সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম।
পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে একজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে টইটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাকে চকরিয়া বেসরকারি জেনারেল হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মাটি চাপা পড়ে তার একটি পা ভেঙে গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের বারবাকিয়া সদর বনবিটের আওতাধীন টইটংয়ের রমিজ পাড়ায় সৌদি প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম বনবিভাগের সংরক্ষিত বনের জায়গায় সপ্তাহ ধরে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ করছেন। সেখানে দৈনিক ৭/৮ জন শ্রমিক পাহাড়কাটা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে মাটি কাটছিলেন। এসময় হঠাৎ উপর থেকে একটি পাহাড় ধসে পড়ে দিদার নামের এক শ্রমিক মাটি চাপা পড়ে। অল্পের জন্য অন্য শ্রমিকরা রক্ষা পান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম পাকাবাড়ি নির্মাণের জন্য বসতবাড়ি লাগোয়া সংরক্ষিত বনের পাহাড়কেটে সমতল করছেন। প্রতিদিন সেখানে সিরাজের বাবা মুহাম্মদ হোসেন পাহাড়কাটা দেখভাল করছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার ও বনবিট কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে জায়গা সমতল করা হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে একজন শ্রমিক আহত হন। দুর্ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। গোপনে আহত ব্যক্তিকে চকরিয়া উপজেলা সদরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন বিষয়টি কৌশলে গোপন রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের বাবা মুহাম্মদ হোসেন বলেন, বাড়ি করার জন্য জায়গা সংকটের কারণে উঠানের জন্য সামান্য মাটি কাটছি। এখানে কোন ধরণের স্থাপনা (ঘর) নির্মাণ করা হবেনা। মাটিচাপা পড়ে একজন শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছে। আমরা তাঁর চিকিৎসা খরচ বহন করছি
জানতে চাইলে বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ খালেকুজ্জামান বলেন, পাহাড়কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে বনবিট কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।