এ বছর মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ১৯২ জন
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৫১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯২ জন মারা গেছেন।
নিহত ৪ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৬৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১২ জন, খুলনা বিভাগে ১০১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এ তথ্য জানা গেছে।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ১৮ শিশু, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৭ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪৭ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৯৫ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ১৪৬ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১৩১ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৬৭ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৯৬ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ৫৬ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে শিশু ও তরুণরা প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু: চলতি সেপ্টেম্বর মাসের গত ২৮ দিনে ডেঙ্গুতে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে ৩৯ জনের মৃত্যু, জুলাই মাসে ৪১ জনের মৃত্যু, জুন মাসে ১৯ জনের মৃত্যু, মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু, এপ্রিল মাসে ৭ জনের মৃত্যু ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ জন ও জানুয়ারি মাসে ১০ জন মারা গেছে।
এভাবে চলতি বছরের মার্চ মাস ছাড়া প্রতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এখন দিন দিন বাড়ছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৬ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২ জন ভর্তি, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনসিস্টিটিউটে ১২ জন ভর্তি, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ জন ভর্তি, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৫ জন ভর্তি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১২ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ৫৫৫ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও ২২৩০ জন ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি।
শুধু তাই না দেশে কমপক্ষে ১৪-১৬ প্রজাতির মশা রয়েছে।
মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ নানা রোগ ছড়ায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কবিরুল বকাসার বলছেন, মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো, জনদুর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে টেকসই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কীটতত্ত্ববিদ, গবেষক ও অন্যান্য অংশীজনের সম্মিলিত প্রয়াস ঘটাতে পারলে মশাবাহিত রোগ থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব বলে এ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন।
এ বছর মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ১৯২ জন
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৫১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯২ জন মারা গেছেন।
নিহত ৪ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৬৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১২ জন, খুলনা বিভাগে ১০১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এ তথ্য জানা গেছে।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ১৮ শিশু, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৭ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪৭ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৯৫ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ১৪৬ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১৩১ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৬৭ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৯৬ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ৫৬ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এভাবে শিশু ও তরুণরা প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু: চলতি সেপ্টেম্বর মাসের গত ২৮ দিনে ডেঙ্গুতে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে ৩৯ জনের মৃত্যু, জুলাই মাসে ৪১ জনের মৃত্যু, জুন মাসে ১৯ জনের মৃত্যু, মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু, এপ্রিল মাসে ৭ জনের মৃত্যু ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ জন ও জানুয়ারি মাসে ১০ জন মারা গেছে।
এভাবে চলতি বছরের মার্চ মাস ছাড়া প্রতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এখন দিন দিন বাড়ছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৬ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫২ জন ভর্তি, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনসিস্টিটিউটে ১২ জন ভর্তি, সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ জন ভর্তি, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৫ জন ভর্তি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১২ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ৫৫৫ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখনও ২২৩০ জন ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি।
শুধু তাই না দেশে কমপক্ষে ১৪-১৬ প্রজাতির মশা রয়েছে।
মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ নানা রোগ ছড়ায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কবিরুল বকাসার বলছেন, মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো, জনদুর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে টেকসই পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন দরকার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কীটতত্ত্ববিদ, গবেষক ও অন্যান্য অংশীজনের সম্মিলিত প্রয়াস ঘটাতে পারলে মশাবাহিত রোগ থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব বলে এ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন।