ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনে প্রার্থী সম্পর্কে নাগরিকের তথ্য পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য ভোটারদের প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য জানার অধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘তথ্য অধিকার আইন: পরিপ্রেক্ষিত পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ সেমিনা আয়োজন করে তথ্য অধিকার ফোরাম। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিয়ে ভারতের আদালত সুস্পষ্টভাবে বলেছে, প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার জনগণের বাক-স্বাধীনতার অংশ। তারা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটারদের প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচন কমিশন যে পাতানো নির্বাচন কমিশন হয়েছিল, পাতানো হবে, সেটা গঠন করা হয়েছিল, এই তথ্য কমিশনে গিয়ে কিন্তু পাই নাইÑ স্পষ্টত কার নাম প্রস্তাব করেছে।’
তথ্য না পেয়ে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বদিউল আলম বলেন, ‘আদালতে গিয়েছি, এখন পর্যন্ত রায় পাই নাই, জানি না পাবো কিনা। কিন্তু আমি লেগে আছি যাতে এই তথ্য অধিকার আইনটা প্রয়োগ হয়।’
বদিউর আলম মজুমদারের বক্তব্যে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের নানা অনিয়মের কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘২১৮ কেন্দ্রে শতভাগ ভোট, ১২০০ কেন্দ্রে বিএনপির শূন্য ভোট, এমনকি আওয়ামী লীগ দুটো কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছে, এসব অনিয়ম উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। যার ফলে এই স্বৈরাচার বিতাড়নের ক্ষেত্রে যে ন্যারেটিভ তৈরি হওয়া দরকার, তারা একদিকে অবৈধ, অন্যদিকে আমাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে- এই ন্যারেটিভগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ নিয়ে তথ্য অধিকার কমিশন গঠন করবে আশা প্রকাশ করে বদিউল আলম বলেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদেরকে বাদ দিয়ে, যারা নির্দলীয় সে রকম এবং সাহসী ব্যক্তি তাদের নিয়েই তথ্য অধিকার কমিশন গঠন করবে এবং এজন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
তথ্য অধিকার আইন নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা আইন চেয়েছি। তার মানে এই না যে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইনটাকে কার্যকর করে ফেলতে পারবো। কারণ, আমরা হচ্ছি চাহিদার সাইডটা। যারা সাপ্লাই সাইডে আছেন, তাদের ওপরে বাস্তব দায়িত্ব সেটাকে বাস্তবায়ন করার।’
বর্তমান সরকার নাগরিক সমাজ নেতৃত্বাধীন সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ থেকে গঠিত ব্যক্তিদের সিংহভাগ যে সরকারের দায়িত্বে, সে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য অধিকার আইনটা প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হচ্ছে না, সুনির্দিষ্ট দাবি সত্ত্বেও। শুধু তাই নয়, তথ্য কমিশনটা গঠিত হয়নি এক বছরের বেশি সময়েও। এ নিয়ে আমরা কথা বলছি বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু, এটার ব্যাখ্যাটা পাই না।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক বছর পার হলো, এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এটা পৃথিবীতে খুব কম দেশেই আছে, যেখানে আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতা থাকার পরেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কমিশন সরকার প্রতিষ্ঠা করে না এক বছরেও।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনে প্রার্থী সম্পর্কে নাগরিকের তথ্য পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য ভোটারদের প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য জানার অধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘তথ্য অধিকার আইন: পরিপ্রেক্ষিত পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ সেমিনা আয়োজন করে তথ্য অধিকার ফোরাম। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিয়ে ভারতের আদালত সুস্পষ্টভাবে বলেছে, প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার জনগণের বাক-স্বাধীনতার অংশ। তারা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটারদের প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচন কমিশন যে পাতানো নির্বাচন কমিশন হয়েছিল, পাতানো হবে, সেটা গঠন করা হয়েছিল, এই তথ্য কমিশনে গিয়ে কিন্তু পাই নাইÑ স্পষ্টত কার নাম প্রস্তাব করেছে।’
তথ্য না পেয়ে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বদিউল আলম বলেন, ‘আদালতে গিয়েছি, এখন পর্যন্ত রায় পাই নাই, জানি না পাবো কিনা। কিন্তু আমি লেগে আছি যাতে এই তথ্য অধিকার আইনটা প্রয়োগ হয়।’
বদিউর আলম মজুমদারের বক্তব্যে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের নানা অনিয়মের কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘২১৮ কেন্দ্রে শতভাগ ভোট, ১২০০ কেন্দ্রে বিএনপির শূন্য ভোট, এমনকি আওয়ামী লীগ দুটো কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছে, এসব অনিয়ম উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। যার ফলে এই স্বৈরাচার বিতাড়নের ক্ষেত্রে যে ন্যারেটিভ তৈরি হওয়া দরকার, তারা একদিকে অবৈধ, অন্যদিকে আমাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে- এই ন্যারেটিভগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ নিয়ে তথ্য অধিকার কমিশন গঠন করবে আশা প্রকাশ করে বদিউল আলম বলেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদেরকে বাদ দিয়ে, যারা নির্দলীয় সে রকম এবং সাহসী ব্যক্তি তাদের নিয়েই তথ্য অধিকার কমিশন গঠন করবে এবং এজন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
তথ্য অধিকার আইন নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা আইন চেয়েছি। তার মানে এই না যে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইনটাকে কার্যকর করে ফেলতে পারবো। কারণ, আমরা হচ্ছি চাহিদার সাইডটা। যারা সাপ্লাই সাইডে আছেন, তাদের ওপরে বাস্তব দায়িত্ব সেটাকে বাস্তবায়ন করার।’
বর্তমান সরকার নাগরিক সমাজ নেতৃত্বাধীন সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ থেকে গঠিত ব্যক্তিদের সিংহভাগ যে সরকারের দায়িত্বে, সে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য অধিকার আইনটা প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হচ্ছে না, সুনির্দিষ্ট দাবি সত্ত্বেও। শুধু তাই নয়, তথ্য কমিশনটা গঠিত হয়নি এক বছরের বেশি সময়েও। এ নিয়ে আমরা কথা বলছি বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু, এটার ব্যাখ্যাটা পাই না।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক বছর পার হলো, এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এটা পৃথিবীতে খুব কম দেশেই আছে, যেখানে আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতা থাকার পরেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কমিশন সরকার প্রতিষ্ঠা করে না এক বছরেও।