ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি তালাবদ্ধ বাসা থেকে চার বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জিম্মায় দেওয়া হয় বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, শনিবার রাত দশটার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের তালা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির শারীরিক রুগ্ন অবস্থার কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে, এই ঘটনার পর থেকে শিশুটির পিতা মো. সোহেল পলাতক রয়েছেন বলেও জানান ওসি।
সোহেল ওই এলাকার প্রয়াত মোমেন আলীর ছেলে । পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, দুই বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর শিশুটি তার মায়ের কাছে ছিল। কয়েক মাস আগে জোর করে শিশুটিকে নিজের কাছে এনে রাখেন সোহেল। কিন্তু ‘মাদকাসক্ত’ সোহেল সন্তানের দেখভাল করতো না। খাবারের জন্য কান্নাকাটি করলেও মারধর করতো এবং বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুটিকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ করে রাখতেন। শিশুটি অধিকাংশ সময় অনাহারে থাকতো। উদ্ধার হওয়া শিশুটির বাসার পাশেই একটি দোকান চালান স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাওন। তিনি সাংবাদিকদের বরেন, শিশুটির বাবা সোহেল একজন মাদকাসক্ত। দুইমাস আগে জানতে পারি শিশুটিকে তার বাবা তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রাখতেন। ক্ষুধায় কান্না করলেও শিশুটিকে ঠিকমতো খাবার দিতো না সে। কখনো কখনো শিশুটিকে জুস বা চিপস কিনে দিলেও অধিকাংশ সময় শিশুটিকে মারধর করা হতো। প্রতিবেশী কেউ এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকেও সোহেল ‘গালমন্দ’ করতেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এ বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, দুইদিন আগে শিশুটির শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে একটি সামাজিক সংস্থার লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এক ব্যক্তি। পরে ওই সংস্থা থেকে থানায় অবহিত করা হলে পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। শনিবার রাতে ঘরের তালা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। কতটা পাষ- হলে একজন পিতা শিশু সন্তানের সঙ্গে এমন করতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।
শিশুটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী মোসাম্মৎ তাছলিমা আক্তার বলেন, “চিকিৎসা শেষে শিশুটির বয়স অনুযায়ী সরকারি ছোটমনি নিবাসে রাখা হবে। শিশুটি বর্তমানে খুবই অসুস্থ। পুষ্টিহীনতা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর ফলে তার চিকিৎসাটা এখন বেশি জরুরি।”
শিশুটির চিকিৎসার সবধরনের ব্যবস্থা সরকারিভাবে করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা শিরিন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি তালাবদ্ধ বাসা থেকে চার বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জিম্মায় দেওয়া হয় বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, শনিবার রাত দশটার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের তালা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির শারীরিক রুগ্ন অবস্থার কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে, এই ঘটনার পর থেকে শিশুটির পিতা মো. সোহেল পলাতক রয়েছেন বলেও জানান ওসি।
সোহেল ওই এলাকার প্রয়াত মোমেন আলীর ছেলে । পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, দুই বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর শিশুটি তার মায়ের কাছে ছিল। কয়েক মাস আগে জোর করে শিশুটিকে নিজের কাছে এনে রাখেন সোহেল। কিন্তু ‘মাদকাসক্ত’ সোহেল সন্তানের দেখভাল করতো না। খাবারের জন্য কান্নাকাটি করলেও মারধর করতো এবং বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুটিকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ করে রাখতেন। শিশুটি অধিকাংশ সময় অনাহারে থাকতো। উদ্ধার হওয়া শিশুটির বাসার পাশেই একটি দোকান চালান স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাওন। তিনি সাংবাদিকদের বরেন, শিশুটির বাবা সোহেল একজন মাদকাসক্ত। দুইমাস আগে জানতে পারি শিশুটিকে তার বাবা তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রাখতেন। ক্ষুধায় কান্না করলেও শিশুটিকে ঠিকমতো খাবার দিতো না সে। কখনো কখনো শিশুটিকে জুস বা চিপস কিনে দিলেও অধিকাংশ সময় শিশুটিকে মারধর করা হতো। প্রতিবেশী কেউ এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকেও সোহেল ‘গালমন্দ’ করতেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এ বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, দুইদিন আগে শিশুটির শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে একটি সামাজিক সংস্থার লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এক ব্যক্তি। পরে ওই সংস্থা থেকে থানায় অবহিত করা হলে পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। শনিবার রাতে ঘরের তালা ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। কতটা পাষ- হলে একজন পিতা শিশু সন্তানের সঙ্গে এমন করতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।
শিশুটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী মোসাম্মৎ তাছলিমা আক্তার বলেন, “চিকিৎসা শেষে শিশুটির বয়স অনুযায়ী সরকারি ছোটমনি নিবাসে রাখা হবে। শিশুটি বর্তমানে খুবই অসুস্থ। পুষ্টিহীনতা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর ফলে তার চিকিৎসাটা এখন বেশি জরুরি।”
শিশুটির চিকিৎসার সবধরনের ব্যবস্থা সরকারিভাবে করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা শিরিন।