ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীল আকাশে সাদা-কালো মেঘের খেলা, তার নিচে বাতাসে দুলছে শুভ্র কাশফুল, এ যেন প্রকৃতির এক অনন্য কাব্য। ভাদ্র-আশ্বিন মাস এলেই শুরু হয় শরতকাল। বৃষ্টিভেজা দিন শেষে এ ঋতু আসে পবিত্রতা আর সৌন্দর্যের নতুন বার্তা নিয়ে। আকাশে মেঘের ভেলা, মাঠে কাশফুলের দোলা সব মিলিয়ে শরৎ প্রকৃতিকে দেয় ভিন্ন মাত্রা। শরতের কথা উঠলেই সবার আগে মনে আসে কাশফুলের কথা। নদীর পাড়, বালুচর, জলাভূমি কিংবা গ্রামের উঁচু জমিতে যেখানেই চোখ যায়, দেখা মেলে শুভ্র কাশফুলের রাজ্য। দূর থেকে মনে হয়, আকাশের সাদা মেঘ নেমে এসেছে জমিনে। এই কাশফুলের শুভ্র হাসিই জানান দেয় শরৎ এসেছে।
ভ্যাপসা ও অস্বস্তিকর গরমের অবসান ঘটিয়ে শীত আসার বার্তাও দেয় এ ফুল। কাশফুলের সৌন্দর্য দোলা দেয় মানুষের মনেও। তাই এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ছুটে আসে নানা বয়সি মানুষ নদনদীর তীরে ফুটে থাকা কাশবনে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নামুইট, নাগর নদ ও ভদ্রাবতি নদীর তীরে এখন এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য। দূর থেকে দেখলে মনে হয় সাদা মেঘ নেমে এসেছে মাটিতে। প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়ে কেউ ছবি তুলছে, কেউ-বা নীরবে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে শরতের নিসর্গ। দর্শনার্থী মহন কুমার বলেন, গোধূলির সময় মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহে যখন কাশফুল বাতাসে দুলতে থাকে, তখন মনটা অন্যরকম প্রশান্তি পায়। মনে হয়, প্রকৃতি যেন আমাদের জন্যই সাজিয়েছে। কলেজ ছাত্র রাকিব হোসেন জানান, কাশফুলের হেলেদুলে থাকা দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে যায়। অনেকেই শুধু এই দৃশ্য দেখতেই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন। আরেক দর্শনার্থী শীতল কুমার বলেন, এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবং কাশফুলের দোলায় প্রকৃতি সত্যিই অপূর্ব লাগে। কাশফুল প্রকৃতিকে দিয়েছে নতুন রূপ। শুধু সৌন্দর্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ। এই কাশবনের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, কাশফুলের আদি নিবাস রোমানিয়া। বাংলাদেশে এটি প্রাকৃতিকভাবে জন্মে এবং গ্রামের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, কাশফুলের রয়েছে বহুবিধ গুণাগুণ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীল আকাশে সাদা-কালো মেঘের খেলা, তার নিচে বাতাসে দুলছে শুভ্র কাশফুল, এ যেন প্রকৃতির এক অনন্য কাব্য। ভাদ্র-আশ্বিন মাস এলেই শুরু হয় শরতকাল। বৃষ্টিভেজা দিন শেষে এ ঋতু আসে পবিত্রতা আর সৌন্দর্যের নতুন বার্তা নিয়ে। আকাশে মেঘের ভেলা, মাঠে কাশফুলের দোলা সব মিলিয়ে শরৎ প্রকৃতিকে দেয় ভিন্ন মাত্রা। শরতের কথা উঠলেই সবার আগে মনে আসে কাশফুলের কথা। নদীর পাড়, বালুচর, জলাভূমি কিংবা গ্রামের উঁচু জমিতে যেখানেই চোখ যায়, দেখা মেলে শুভ্র কাশফুলের রাজ্য। দূর থেকে মনে হয়, আকাশের সাদা মেঘ নেমে এসেছে জমিনে। এই কাশফুলের শুভ্র হাসিই জানান দেয় শরৎ এসেছে।
ভ্যাপসা ও অস্বস্তিকর গরমের অবসান ঘটিয়ে শীত আসার বার্তাও দেয় এ ফুল। কাশফুলের সৌন্দর্য দোলা দেয় মানুষের মনেও। তাই এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ছুটে আসে নানা বয়সি মানুষ নদনদীর তীরে ফুটে থাকা কাশবনে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নামুইট, নাগর নদ ও ভদ্রাবতি নদীর তীরে এখন এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য। দূর থেকে দেখলে মনে হয় সাদা মেঘ নেমে এসেছে মাটিতে। প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়ে কেউ ছবি তুলছে, কেউ-বা নীরবে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে শরতের নিসর্গ। দর্শনার্থী মহন কুমার বলেন, গোধূলির সময় মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহে যখন কাশফুল বাতাসে দুলতে থাকে, তখন মনটা অন্যরকম প্রশান্তি পায়। মনে হয়, প্রকৃতি যেন আমাদের জন্যই সাজিয়েছে। কলেজ ছাত্র রাকিব হোসেন জানান, কাশফুলের হেলেদুলে থাকা দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে যায়। অনেকেই শুধু এই দৃশ্য দেখতেই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন। আরেক দর্শনার্থী শীতল কুমার বলেন, এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবং কাশফুলের দোলায় প্রকৃতি সত্যিই অপূর্ব লাগে। কাশফুল প্রকৃতিকে দিয়েছে নতুন রূপ। শুধু সৌন্দর্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ। এই কাশবনের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, কাশফুলের আদি নিবাস রোমানিয়া। বাংলাদেশে এটি প্রাকৃতিকভাবে জন্মে এবং গ্রামের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, কাশফুলের রয়েছে বহুবিধ গুণাগুণ।