কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) : আলু রোপণের জন্য খেত প্রস্তুত করছেন কৃষক -সংবাদ
দাম নেই, এর পরেও থেমে নেই আগাম আলু চাষাবাদ। গত বছরের লোকসানের ক্ষত এখনও সারেনি। এরপরেও নীলফামারীর আলুচাষীরা ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলু চাষাবাদে এখন ব্যস্ত। বাজারে নতুন আলুর দাম ১০০ টাকার উপরে থাকে। ফলন ভাল হলে চড়ামুল্যে হাঁকতে পারবে আলুর দাম, এমন স্বপ্নই দেখছেন আলু চাষীরা।
স্বপ্নবাজ আলুচাষীদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। আলু শীত সহিষ্ণু সবজি। শরতে শীতের আমেজ এসেছে। কিন্তু দিনে প্রচন্ড গরম। অতিরিক্ত গরমে আলু পঁচে যায়। এছাড়াও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। এই বৃষ্টিতে স্বপ্নবাজ কৃষকদের ভাগ্য পুড়ে। নতুন করে একই জমিতে আলু রোপণ করতে হয়। এতে আগাম না হয়ে ম্যাডিয়্যাম ভ্যারাইটি ফসল হিসাবে দাম আসে। ফলে অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়।
নতুন মৌসুমের আগেই ওভার সাইজ আলু চাষীরা মাঝারি মুল্যে হিমাগারেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। স্থানীয় বিনা সেভেন জাত আলু মাত্র ১১-১২ টাকা। বীজের মুল্য ১৩-২০ টাকা। কেউ বাকিতে বিক্রি করলে ২০ থেকে ২৪ টাকা। বাজারে অন্যান্য সবজির মুল্য চড়া থাকলেও আলুর দাম বাড়ছেই না।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার আলু চাষীরা প্রতিবছর দেশের মধ্যে প্রথম আগাম আলু চাষ করেন। এবারে আলুর নাজুক মুল্য থাকলেও ঝুঁকি নিয়েই আগাম আলু চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নবাগত উপ পরিচালক মো. মঞ্জুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু মাঠে রোপণ করেছে কৃষকরা। গত বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। গোটা জেলায় ২২ হাজার হেক্টর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আলু চাষী লুৎফর রহমান লুতু বলেন, আমি হিমাগারে প্রায় ২ হাজার ৫০০ বস্তা আলু রেখেছিলাম। আলুর দাম না থাকলেও আগাম বিনা সেভেন জাত আলু জমিতে রোপণ করেছি।
৭ শত বস্তা আলু হিমাগার থেকে এনে ১৩ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করেছি। বাকি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বীজ বিক্রি করছি। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী আলুর দাম পরেছে ৩০ টাকা।
এত কম মুল্যে আলু বীজ বিক্রি করলে বড় ধরণের লোকসান গুণতে হবে। আলুচাষী নিপুল কর্মকার জানান, মা দুর্গার বিসর্জনের প্রাক্কালে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এতে ফসলহানির সম্ভবনা থাকে। এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছি। ঘরে আরো অনেক আলু রেখে দিয়েছি। আলু নষ্ট হলে ফের আলু রোপণ করব।
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) : আলু রোপণের জন্য খেত প্রস্তুত করছেন কৃষক -সংবাদ
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দাম নেই, এর পরেও থেমে নেই আগাম আলু চাষাবাদ। গত বছরের লোকসানের ক্ষত এখনও সারেনি। এরপরেও নীলফামারীর আলুচাষীরা ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলু চাষাবাদে এখন ব্যস্ত। বাজারে নতুন আলুর দাম ১০০ টাকার উপরে থাকে। ফলন ভাল হলে চড়ামুল্যে হাঁকতে পারবে আলুর দাম, এমন স্বপ্নই দেখছেন আলু চাষীরা।
স্বপ্নবাজ আলুচাষীদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। আলু শীত সহিষ্ণু সবজি। শরতে শীতের আমেজ এসেছে। কিন্তু দিনে প্রচন্ড গরম। অতিরিক্ত গরমে আলু পঁচে যায়। এছাড়াও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। এই বৃষ্টিতে স্বপ্নবাজ কৃষকদের ভাগ্য পুড়ে। নতুন করে একই জমিতে আলু রোপণ করতে হয়। এতে আগাম না হয়ে ম্যাডিয়্যাম ভ্যারাইটি ফসল হিসাবে দাম আসে। ফলে অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়।
নতুন মৌসুমের আগেই ওভার সাইজ আলু চাষীরা মাঝারি মুল্যে হিমাগারেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। স্থানীয় বিনা সেভেন জাত আলু মাত্র ১১-১২ টাকা। বীজের মুল্য ১৩-২০ টাকা। কেউ বাকিতে বিক্রি করলে ২০ থেকে ২৪ টাকা। বাজারে অন্যান্য সবজির মুল্য চড়া থাকলেও আলুর দাম বাড়ছেই না।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার আলু চাষীরা প্রতিবছর দেশের মধ্যে প্রথম আগাম আলু চাষ করেন। এবারে আলুর নাজুক মুল্য থাকলেও ঝুঁকি নিয়েই আগাম আলু চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নবাগত উপ পরিচালক মো. মঞ্জুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু মাঠে রোপণ করেছে কৃষকরা। গত বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। গোটা জেলায় ২২ হাজার হেক্টর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আলু চাষী লুৎফর রহমান লুতু বলেন, আমি হিমাগারে প্রায় ২ হাজার ৫০০ বস্তা আলু রেখেছিলাম। আলুর দাম না থাকলেও আগাম বিনা সেভেন জাত আলু জমিতে রোপণ করেছি।
৭ শত বস্তা আলু হিমাগার থেকে এনে ১৩ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করেছি। বাকি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বীজ বিক্রি করছি। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী আলুর দাম পরেছে ৩০ টাকা।
এত কম মুল্যে আলু বীজ বিক্রি করলে বড় ধরণের লোকসান গুণতে হবে। আলুচাষী নিপুল কর্মকার জানান, মা দুর্গার বিসর্জনের প্রাক্কালে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এতে ফসলহানির সম্ভবনা থাকে। এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছি। ঘরে আরো অনেক আলু রেখে দিয়েছি। আলু নষ্ট হলে ফের আলু রোপণ করব।