ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
প্রতিটি জেলা উপজেলায় ডাকঘর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি টেলিগ্রাম। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এখনও টেলিফোন আছে, আছে পিয়ন। নেই টেলিগ্রাম। ডাকপিয়ন গ্রামে গঞ্জে ও শহরে একটি টেলিগ্রাম নিয়ে গেলে জন মনে ভিতি সঞ্চার হয়ে যেত। না জানি কি খবর। সুখবর অথবা দুঃসংবাদ। হাজার বছর আগে পারস্যে সম্রাট আইরাস তার রাজ্যের কিছু দূর পর পর অনেকগুলো টাওয়ার বসিয়ে প্রতিটি টাওয়ারে প্রহরী নিয়োগ দিয়ে প্রহরীগণ চিৎকার করে এক টাওার থেকে অন্য টাওয়ারে সংকেত পাঠাতো।
টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রথম যে যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয় তার নাম টেলিগ্রাফ। এর সাহায্যে যে কোনো সংবাদকে বিশেষ কোডের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হিসেবে পাঠানো হতো। টেলিগ্রাফে ‘টরে-টক্কা’ জাতীয় সংকেতের মাধ্যমে সংবাদ পাঠানো হতো। তবে এতে খুব বেশি সংবাদ বা তথ্য পাঠানো যেতো না। তাই টেলিগ্রাফের মাধ্যমে পাঠানো টেলিগ্রামের ভাষা খুবই সংক্ষিপ্ত এবং সাংকেতিক ছিল। ‘৭১ এর পূর্ব হতে রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ‘টরে-টক্কা’র মাধ্যমে ট্রেন আসা-যাওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হতো।
এই যোগাযোগ ব্যবস্থা মানবজীবনের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল, যা আজও অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে পুরো পৃথিবীই এখন পরিণত হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজে। বেতার, টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেটসহ নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার হওয়ায় ঘরে বসেই সব যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব। তাই তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছে ‘টেলিগ্রাফ’। আর এটাই হচ্ছে বিজ্ঞান প্রযুক্তির চিরাচরিত নিয়ম। পুরোনোকে ভিত্তি করেই নতুন নতুন আবিষ্কার হবে। টেলিগ্রামের চেয়ে আরও দ্রুত খবর পৌঁছে দেয়ার জন্যে এখন ব্যবহার হচ্ছে টেলিফোন, মুঠোফোন, ফাইভ-জি মোবাইল। কমে এসেছে ডাক বিভাগের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদানের রেওয়াজ।
এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসএমএস, ফেইসবুক চ্যাটিং সর্বোপরি ইন্টারনেট। টেলিগ্রাম’টি গ্রীক শব্দ। টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থায় প্রথম যে যন্ত্রটি ব্যাবহার হয় তার নাম টেলিগ্রাফ। এ পর্যন্ত ছয় প্রকার টেলিগ্রাফ আবিষ্কৃত হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল টেলিগ্রাফ, অপটিক্যাল টেলিগ্রাফ, হাইড্রোলিক টেলিগ্রাফ, টেলিপ্রিন্টার, ইঞ্জিন অর্ডার টেলিগ্রাফ এবং টেলোটোগ্রাফ। ১৮৩২ সালে সোভিয়েত আবিস্কারক ব্যারন পাভেল শিলিং প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের সংযোগ স্থাপন করেন। তখন তা খুবই জনপ্রিয়তা হয়ে উঠলেও কালের আবর্তে টেলিগ্রাফ টি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
সাধারণত বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকে রেলওয়ে যোগাযোগে ব্যাবহৃত টরে-টক্কার মাধ্যমে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির ফলে পৃথিবী এখন পরিণত হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজে। বেতার, টিলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেট সহ নিত্য নতুন প্রযুক্তির সুবিধা পাওয়া যায় ঘরে বসে। আজ তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছে টেলিগ্রাফ। পুরনোকে ভিত্তি করে নতুন নতুন আবিষ্কার। পূর্ণতা পাবে প্রযুক্তি আর এগিয়ে যাবে দেশ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতিটি জেলা উপজেলায় ডাকঘর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি টেলিগ্রাম। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এখনও টেলিফোন আছে, আছে পিয়ন। নেই টেলিগ্রাম। ডাকপিয়ন গ্রামে গঞ্জে ও শহরে একটি টেলিগ্রাম নিয়ে গেলে জন মনে ভিতি সঞ্চার হয়ে যেত। না জানি কি খবর। সুখবর অথবা দুঃসংবাদ। হাজার বছর আগে পারস্যে সম্রাট আইরাস তার রাজ্যের কিছু দূর পর পর অনেকগুলো টাওয়ার বসিয়ে প্রতিটি টাওয়ারে প্রহরী নিয়োগ দিয়ে প্রহরীগণ চিৎকার করে এক টাওার থেকে অন্য টাওয়ারে সংকেত পাঠাতো।
টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রথম যে যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয় তার নাম টেলিগ্রাফ। এর সাহায্যে যে কোনো সংবাদকে বিশেষ কোডের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ হিসেবে পাঠানো হতো। টেলিগ্রাফে ‘টরে-টক্কা’ জাতীয় সংকেতের মাধ্যমে সংবাদ পাঠানো হতো। তবে এতে খুব বেশি সংবাদ বা তথ্য পাঠানো যেতো না। তাই টেলিগ্রাফের মাধ্যমে পাঠানো টেলিগ্রামের ভাষা খুবই সংক্ষিপ্ত এবং সাংকেতিক ছিল। ‘৭১ এর পূর্ব হতে রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ‘টরে-টক্কা’র মাধ্যমে ট্রেন আসা-যাওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হতো।
এই যোগাযোগ ব্যবস্থা মানবজীবনের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল, যা আজও অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে পুরো পৃথিবীই এখন পরিণত হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজে। বেতার, টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেটসহ নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার হওয়ায় ঘরে বসেই সব যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব। তাই তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছে ‘টেলিগ্রাফ’। আর এটাই হচ্ছে বিজ্ঞান প্রযুক্তির চিরাচরিত নিয়ম। পুরোনোকে ভিত্তি করেই নতুন নতুন আবিষ্কার হবে। টেলিগ্রামের চেয়ে আরও দ্রুত খবর পৌঁছে দেয়ার জন্যে এখন ব্যবহার হচ্ছে টেলিফোন, মুঠোফোন, ফাইভ-জি মোবাইল। কমে এসেছে ডাক বিভাগের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদানের রেওয়াজ।
এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসএমএস, ফেইসবুক চ্যাটিং সর্বোপরি ইন্টারনেট। টেলিগ্রাম’টি গ্রীক শব্দ। টেলিযোগাযোগ ব্যাবস্থায় প্রথম যে যন্ত্রটি ব্যাবহার হয় তার নাম টেলিগ্রাফ। এ পর্যন্ত ছয় প্রকার টেলিগ্রাফ আবিষ্কৃত হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল টেলিগ্রাফ, অপটিক্যাল টেলিগ্রাফ, হাইড্রোলিক টেলিগ্রাফ, টেলিপ্রিন্টার, ইঞ্জিন অর্ডার টেলিগ্রাফ এবং টেলোটোগ্রাফ। ১৮৩২ সালে সোভিয়েত আবিস্কারক ব্যারন পাভেল শিলিং প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের সংযোগ স্থাপন করেন। তখন তা খুবই জনপ্রিয়তা হয়ে উঠলেও কালের আবর্তে টেলিগ্রাফ টি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
সাধারণত বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকে রেলওয়ে যোগাযোগে ব্যাবহৃত টরে-টক্কার মাধ্যমে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির ফলে পৃথিবী এখন পরিণত হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজে। বেতার, টিলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেট সহ নিত্য নতুন প্রযুক্তির সুবিধা পাওয়া যায় ঘরে বসে। আজ তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছে টেলিগ্রাফ। পুরনোকে ভিত্তি করে নতুন নতুন আবিষ্কার। পূর্ণতা পাবে প্রযুক্তি আর এগিয়ে যাবে দেশ।