বগুড়া : গ্রোয়েনে বাঁধে উপর সারি সারি টঙ দোকান -সংবাদ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বেঁচা কেনা খুবই কম হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন কালিতলা গ্রোয়েনে বাঁধের পাশে অবস্থিত ৩০ জন টঙ্গ দোকানি। ফলে ৩০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন হতাশায় পড়েছেন। কোন কোন দোকানিকে দৈনিক ১শ থেকে-২শ, সপ্তাহে ১ থেকে-৩ হাজার এবং মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় গত ২ সেপ্টম্বর কালিতলা গ্রোয়েনে বাঁধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পাকা, আধাপাকা এবং টিনসেড ঘর অপসারণ করে জায়গা দখল মুক্ত করে। গ্রোয়েনের পূর্ব পাশে অবস্থিত টঙ দোকান গুলো সরিয়ে গ্রোয়েন বাঁধের নিচে নামিয়ে দেয়া হয়। টঙ্গ দোকানদার তাদের টঙ্গ দোকান সরিয়ে নিচে নিয়ে দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। দোকান সরানোর পর থেকেই তাদের টঙ্গ দোকানে বেঁচা কেনা একদম কমে গেছে। গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রোয়েন বাঁধে আগের মত আর লোকসমাগম নেই। নিচের টঙ্গ দোকানে তেমন কোন বেঁচা কেনা নাই। এসব দোকানিরা হতাশা নিয়ে অলস সময় পাড় করছেন। টঙ্গ দোকানদার প্রতিবন্ধি বাবুর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জন্ম থেকে প্রতিবন্ধি, তার পরিবারে স্ত্রী-সন্তানসহ ৪ জন সদস্য এই দোকানের উপর নির্ভরশীল। আগে দিনে ৪-৫ হাজার টাকা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে সপ্তাহে সমিতির ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে কোন সমস্যা হতো না। দোকান সরিয়ে নেয়ার পর থেকে ১হাজার টাকার বেশী বিক্রি হয়না। সংসার চালানো কঠিন হয়েছে, তারপর আবার ঋনের কিস্তির টাকার চাপ নিয়ে চরম হতাশায আছি। অন্য কোন কাজ কর্ম করার শারিরীক সামর্থ নাই।
ভুক্তভুগী টঙ্গ দোকানি, দুলাল, পারুল, রবিউল, সুজন, হামিদ, কোহিনুর, মকবুল বলেন, নদী ভঙ্গনের কারণে তারা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে দোকানে বেঁচা কেনা একবারেই কম। ঘাট পারাপারের মানুষ যখন আসে তখন কিছু বিক্রি হয়। যা বিক্রি হয় সেটা দিয়ে কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পথে বসার উপক্রম হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদের পূনর্বাসন করবেন বলে উচ্ছেদ অভিযানের সময় আশ্বাস দিয়েছেন। প্রায় ১ মাস হচ্ছে আমাদের এখনো পুনর্বাসন করা হয়নি। আমরা যেন খেযে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারি সেজন্য আমদের পূনর্বাসন করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশল নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিদিস্ট জায়গা কাঁটা তারের বেড়া দেয়া হবে। উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
বগুড়া : গ্রোয়েনে বাঁধে উপর সারি সারি টঙ দোকান -সংবাদ
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বেঁচা কেনা খুবই কম হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন কালিতলা গ্রোয়েনে বাঁধের পাশে অবস্থিত ৩০ জন টঙ্গ দোকানি। ফলে ৩০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন হতাশায় পড়েছেন। কোন কোন দোকানিকে দৈনিক ১শ থেকে-২শ, সপ্তাহে ১ থেকে-৩ হাজার এবং মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় গত ২ সেপ্টম্বর কালিতলা গ্রোয়েনে বাঁধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পাকা, আধাপাকা এবং টিনসেড ঘর অপসারণ করে জায়গা দখল মুক্ত করে। গ্রোয়েনের পূর্ব পাশে অবস্থিত টঙ দোকান গুলো সরিয়ে গ্রোয়েন বাঁধের নিচে নামিয়ে দেয়া হয়। টঙ্গ দোকানদার তাদের টঙ্গ দোকান সরিয়ে নিচে নিয়ে দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। দোকান সরানোর পর থেকেই তাদের টঙ্গ দোকানে বেঁচা কেনা একদম কমে গেছে। গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রোয়েন বাঁধে আগের মত আর লোকসমাগম নেই। নিচের টঙ্গ দোকানে তেমন কোন বেঁচা কেনা নাই। এসব দোকানিরা হতাশা নিয়ে অলস সময় পাড় করছেন। টঙ্গ দোকানদার প্রতিবন্ধি বাবুর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জন্ম থেকে প্রতিবন্ধি, তার পরিবারে স্ত্রী-সন্তানসহ ৪ জন সদস্য এই দোকানের উপর নির্ভরশীল। আগে দিনে ৪-৫ হাজার টাকা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে সপ্তাহে সমিতির ঋনের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে কোন সমস্যা হতো না। দোকান সরিয়ে নেয়ার পর থেকে ১হাজার টাকার বেশী বিক্রি হয়না। সংসার চালানো কঠিন হয়েছে, তারপর আবার ঋনের কিস্তির টাকার চাপ নিয়ে চরম হতাশায আছি। অন্য কোন কাজ কর্ম করার শারিরীক সামর্থ নাই।
ভুক্তভুগী টঙ্গ দোকানি, দুলাল, পারুল, রবিউল, সুজন, হামিদ, কোহিনুর, মকবুল বলেন, নদী ভঙ্গনের কারণে তারা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে দোকানে বেঁচা কেনা একবারেই কম। ঘাট পারাপারের মানুষ যখন আসে তখন কিছু বিক্রি হয়। যা বিক্রি হয় সেটা দিয়ে কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পথে বসার উপক্রম হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদের পূনর্বাসন করবেন বলে উচ্ছেদ অভিযানের সময় আশ্বাস দিয়েছেন। প্রায় ১ মাস হচ্ছে আমাদের এখনো পুনর্বাসন করা হয়নি। আমরা যেন খেযে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারি সেজন্য আমদের পূনর্বাসন করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশল নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিদিস্ট জায়গা কাঁটা তারের বেড়া দেয়া হবে। উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।