না ফেরার দেশে চলে গেলেন লোককবি, শায়ের, পত্রিকা বিক্রেতা আব্দুল গফফার শেখ। বাসে, হাটে কিংবা সড়কে দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করেছেন তিনি। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ হেডলাইন সুর করে গান গেয়ে গেয়ে আকর্ষন করতেন পাঠকদের। পত্রিকা বেচেই তার সংসার চলতো। পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বনই ছিল পত্রিকা বিক্রি। স্ত্রী ও আট ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছিল তার সংসার।
তিনি সংবাদ, আমাদের সময়, দেশ রূপান্তর, প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি করতেন।
দীর্ঘদিন তিনি লিভার ও কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। গত রোববার সকাল ১০টার দিকে ৬৮ বছর বয়সে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান।
শায়ের আব্দুল গফফার শেখ উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক শেখের ছেলে। পত্রিকা বিক্রি ছাড়াও গ্রামবাংলার নানা কাহিনি ও গল্পের অনুষঙ্গ নিয়ে তিনি শায়েরী বা লোক-কবিতা লিখতেন এবং তা হাটবাজারে স্বকন্ঠে পরিবেশন করতেন।
জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় পরিবেশক এম এম জামান বলেন, গফফার ভাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি ত্রিশ বছর ধরে আমার নিকট থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা কিনে বেচতেন। পত্রিকা নিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহন, বোয়ালমারী পৌর বাজার ও সাতৈর বাজারে কবিতা আবৃতি এবং গানের ছন্দে তিনি বিক্রি করতেন। এজন্য তিনি কবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রোববার সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তার সম্পাদক এডভোকেট কোরবান আলী বলেন, গফফার ভাইকে ত্রিশ বছর আগে পত্রিকা বিক্রির জন্য আমি একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম, সেই সাইকেলটা চালিয়ে গত সপ্তাহেও তিনি পত্রিকা বেচেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
না ফেরার দেশে চলে গেলেন লোককবি, শায়ের, পত্রিকা বিক্রেতা আব্দুল গফফার শেখ। বাসে, হাটে কিংবা সড়কে দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করেছেন তিনি। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ হেডলাইন সুর করে গান গেয়ে গেয়ে আকর্ষন করতেন পাঠকদের। পত্রিকা বেচেই তার সংসার চলতো। পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বনই ছিল পত্রিকা বিক্রি। স্ত্রী ও আট ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছিল তার সংসার।
তিনি সংবাদ, আমাদের সময়, দেশ রূপান্তর, প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি করতেন।
দীর্ঘদিন তিনি লিভার ও কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। গত রোববার সকাল ১০টার দিকে ৬৮ বছর বয়সে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান।
শায়ের আব্দুল গফফার শেখ উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক শেখের ছেলে। পত্রিকা বিক্রি ছাড়াও গ্রামবাংলার নানা কাহিনি ও গল্পের অনুষঙ্গ নিয়ে তিনি শায়েরী বা লোক-কবিতা লিখতেন এবং তা হাটবাজারে স্বকন্ঠে পরিবেশন করতেন।
জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় পরিবেশক এম এম জামান বলেন, গফফার ভাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি ত্রিশ বছর ধরে আমার নিকট থেকে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা কিনে বেচতেন। পত্রিকা নিয়ে যাত্রীবাহী পরিবহন, বোয়ালমারী পৌর বাজার ও সাতৈর বাজারে কবিতা আবৃতি এবং গানের ছন্দে তিনি বিক্রি করতেন। এজন্য তিনি কবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রোববার সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তার সম্পাদক এডভোকেট কোরবান আলী বলেন, গফফার ভাইকে ত্রিশ বছর আগে পত্রিকা বিক্রির জন্য আমি একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম, সেই সাইকেলটা চালিয়ে গত সপ্তাহেও তিনি পত্রিকা বেচেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।