alt

ইয়াবার ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, আহত ২

প্রতিনিধি, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় গুনিয়াউক গ্রামের আব্দুল্লাহপুর পাড়া ইয়াবা ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও দুইজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে গুনিয়াউক গ্রামের আব্দুল্লাহপুর পাড়ায়। ইয়াবা ব্যবসায়ী হামলার আহতরা হলেন, মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৭) ও শামসুদ্দীনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৬৫)। আহতদের নাসিরনগর উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,গুনিয়াউক গ্রামের মৃত বরজু মিয়া মাক্কু মিয়া (৩৫) গ্রাম প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ফসলের জমিতে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে, নির্জন জায়গায় বাড়ি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। আশেপাশের লোকজন ভয়ে কোন কিছু বলতে পারে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এক মাস আগে ইয়াবা ব্যবসায়িক মাক্কু মিয়া ইব্রাহিম মিয়ার একটি পরিত্যক্ত ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য তাকে প্রস্তাব দেয় সেই প্রস্তাবে ইব্রাহিম রাজি না হওয়ায় তাহাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গতকাল সোমবার ভোর রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ভেতর প্রবেশ করে। ঘরে থাকা ইব্রাহিম তার মা ও তার স্ত্রী হাতে পায়ে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। নগদ টাকা স্বর্ণের অলংকার, ৩টি মোবাইল, ২টি ছাগল, ২টি ভেড়া, ১টি সোলার ব্যাটারিসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালা মাল নিয়ে যায়। পরে তাদের কান্নাকাটি শুনে পাশের বাড়ির লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এবং ২ জনকে আসামী করে ২৯ শে সেপ্টেম্বর নাসিরনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সাবেক ইউপি সদস্য মো. মফিল মিয়া জানায়, মাক্কু মিয়া নির্জন জায়গায় বাড়ি তৈরি করে অবাধে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।

বিষয়টি নিয়ে গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, স্থানীয় লোকজন আমাকে অবগত করেছে।

বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদ আহম্মদ বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি

ডেঙ্গু: একমাসে হাসপাতালে ভর্তি ১৫ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৭৬ জন

ছবি

খাগড়াছড়ির ঘটনা বাড়তে দেয়া হলো কেন: ফওজিয়া মোসলেম

ছবি

বেসরকারি ব্যবস্থাপনাতেও ৩টি হজ প্যাকেজ

ছবি

বাংলাদেশি ২টি ট্রলার ও ১৪ জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি

ছবি

পর্যটন খাতে সম্ভাবনার হাতছানি চান্দিনার ‘ঘুরগার বিল’

ছবি

সিলেটে ভূমিকম্প: বাড়ছে ক্ষয়-ক্ষতির শঙ্কা

ছবি

বেনাপোল বন্দর: ভারত থেকে ২১ দিনে ৭,১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি

ছবি

বৃষ্টিতে বাড়লো স্থানীয় প্রজাতির মাছ, প্রাণ পেল কালীগঞ্জের কুটির শিল্প

ছবি

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত কমিটি, অবরোধ তুললেই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

ছবি

মই বেয়ে উঠতে হয় ব্রিজে দুর্ভোগে ৫ গ্রামের মানুষ

ছবি

মঠবাড়িয়ায় সার উত্তোলন না করেই বিক্রি করে দেন বিসিআইসি ডিলার

ছবি

কলাপাড়ায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ৮০ পরিবারকে গৃহনির্মাণ সামগ্রী বিতরণ

ছবি

বেতাগীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে টাস্কফোর্স কমিটির সভা

ছবি

এক বছরে গ্রাম আদালতে ২৩৩৫ মামলার নিষ্পত্তি

ছবি

সৈয়দপুরে চীনের প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য মাটির খেলনা হারিয়ে যাচ্ছে

ছবি

কালিহাতীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে মৃত্যু

ছবি

আলফাডাঙ্গার হরি মন্দিরে ২৫১টি প্রতিমায় পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব

ছবি

ত্রিশ বছর গান গেয়ে পত্রিকা বিক্রেতা আব্দুল গফফারের

ছবি

যশোরে পুলিশ পরিচয়ে সোনা ডাকাতির ঘটনায় চারজন আটক

ছবি

তারাগঞ্জে বিআরডি’র সুফল ভোগীর প্রশিক্ষণ

ছবি

চরম হতাশায় ভুগছেন কালিতলা গ্রোয়েনে বাঁধের টঙ্গ দোকানিরা

ছবি

রাজবাড়ীতে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৩ লাখ ১২ হাজার শিশু

ছবি

ধনবাড়ীতে ৩৫টি মন্দিরে দুর্গোৎসব

ছবি

গজারিয়ায় নদীতে ঝোঁপ ফেলে মাছ মারায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ

ছবি

লালপুরে বিএনপির গণসংযোগ ও পথসভা

ছবি

বরেন্দ্র অঞ্চলে টেকসই ধান উৎপাদন বিষয়ক কর্মশালা

ছবি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

ছবি

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা মেয়ের মৃত্যু, আহত ৬

ছবি

চুয়াডাঙ্গা খুনের মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

সালথায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

ছবি

তেতুলিয়ায় স্বপ্ন সারথি গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ছবি

আগের মতো এক ব্যক্তিদর্শী ধরণের কোনো নির্বাচন হবে না : উপদেষ্টা

ছবি

টেলিগ্রাম কেবলই স্মৃতি

ছবি

রায়পুরে কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ

ছবি

বিদেশি স্যান্ডেলের দাপটে দেশি পাদুকা শিল্পের গ্রাম কালুহাটি আজ চুপচাপ

tab

ইয়াবার ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, আহত ২

প্রতিনিধি, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় গুনিয়াউক গ্রামের আব্দুল্লাহপুর পাড়া ইয়াবা ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও দুইজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে গুনিয়াউক গ্রামের আব্দুল্লাহপুর পাড়ায়। ইয়াবা ব্যবসায়ী হামলার আহতরা হলেন, মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৭) ও শামসুদ্দীনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৬৫)। আহতদের নাসিরনগর উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,গুনিয়াউক গ্রামের মৃত বরজু মিয়া মাক্কু মিয়া (৩৫) গ্রাম প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ফসলের জমিতে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে, নির্জন জায়গায় বাড়ি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। আশেপাশের লোকজন ভয়ে কোন কিছু বলতে পারে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এক মাস আগে ইয়াবা ব্যবসায়িক মাক্কু মিয়া ইব্রাহিম মিয়ার একটি পরিত্যক্ত ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য তাকে প্রস্তাব দেয় সেই প্রস্তাবে ইব্রাহিম রাজি না হওয়ায় তাহাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গতকাল সোমবার ভোর রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ভেতর প্রবেশ করে। ঘরে থাকা ইব্রাহিম তার মা ও তার স্ত্রী হাতে পায়ে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। নগদ টাকা স্বর্ণের অলংকার, ৩টি মোবাইল, ২টি ছাগল, ২টি ভেড়া, ১টি সোলার ব্যাটারিসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালা মাল নিয়ে যায়। পরে তাদের কান্নাকাটি শুনে পাশের বাড়ির লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এবং ২ জনকে আসামী করে ২৯ শে সেপ্টেম্বর নাসিরনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সাবেক ইউপি সদস্য মো. মফিল মিয়া জানায়, মাক্কু মিয়া নির্জন জায়গায় বাড়ি তৈরি করে অবাধে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।

বিষয়টি নিয়ে গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, স্থানীয় লোকজন আমাকে অবগত করেছে।

বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদ আহম্মদ বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

back to top