ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা গুইমারা উপজেলাতে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন গঠন করা হয়েছে। খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ তুলে নিলেই প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল খন্দকার।
মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে জেলার গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজার এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘর ও দোকানপাট পরিদর্শন শেষে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খাগড়াছড়ির চলমান পরিস্থিতি আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে চাই। অবরোধ আহ্বানকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে যে ৮টি দাবি দিয়েছে তার মধ্যে ৭টি অ্যাড্রেস করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যদের নাম পরে জানানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে চাই। তবে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে। ১৪৪ ধারা তুলে নেয়ার সঙ্গে অবরোধের বিষয়টি সম্পর্কিত।’
পাহাড়ি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা সড়ক অবরোধ চলাকালে গত রোববার রণক্ষেত্র হয়ে উঠে গুইমারার রামেসু বাজার। বাজার এলাকার প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন ৩ জন। তারা সবাই পাহাড়ি মারমা জনগোষ্ঠী। আহত হন সেনাবাহিনীর মেজরসহ অন্তত ২০ জন।
দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন জেলা প্রশাসক। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, আহত ব্যক্তিদের যাতে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয় তার জন্য প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবে প্রশাসন। নিহত থোয়াইচিং মারমার পিতা হ্লাচেং মারমা বাড়িতে গিয়ে ধর্মীয় সৎ কাজের জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরার ১ লাখ ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল খন্দকার ৫০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক নিহত পরিবারকে অনুদান দেয়া হয়। এই ক্ষতি অপূরণীয় হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আরও সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এ জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, খাগড়াছড়িতে যে সহিংসতা, সংঘর্ষ এ ঘটনায় মামলা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার মামলায় অনাগ্রহী হলে পুলিশ মামলা করবে।
এদিকে দুপুর ১২টায় রামেসু বাজার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ও সাহায্য প্রদান পরিদর্শন যারা এসেছিলেন-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল খন্দকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওথোইন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আখতার, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ম্রারাসাথোয়াই মারমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি-গুইমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উশৈপ্রু মারমা, গুইমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, খাগড়াছড়ির গুইমারা ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী, গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংশ্যি চৌধুরী, মেম্বার কংহ্লাপ্রু মারমা।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’। এরপর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
গত রোববার বাজারটি হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। সহিংসতার আগুনে পুড়ে যায় প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকান। এদিকে ওই দিনের ঘটনায় নিহতদের লাশ গত শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও গত রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সেনাবাহিনী কড়া পাহাড়ায় ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।
খাগড়াছড়ি এখনো থমথমে, চলছে অবরোধ
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, গতকাল সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে আজ জুম্ম ছাত্র-জনতার অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১২টা থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। জানতে চাইলে জুম্ম ছাত্র-জনতার এক মুখপাত্র বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং নিহত ব্যক্তিদের সৎকারের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে।
এদিকে ফের অনিদৃষ্টকালের জন্য তিন জেলায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে জুম্মু ছাত্র-জনতা। সড়ক অভরোধ পালনের পাশাপাশি সোমবার দুপুর ১২টার পর ঢাকা-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-খাহড়াছড়ি অসুস্থ রোগীদের অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতের স্বার্থে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। লাগাতার অবরোধ এবং ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে খাগড়াছড়ির সাধারণ মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চয়ন শীল নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ‘ধর্ষণের আলামত মেলেনি’: চিকিৎসক
খাগড়াছড়িতে যে মারমা কিশোরী দলবদ্ধ ‘ধর্ষণের’ শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি’ বলে জানিয়েছেন পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক।
ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেছেন, “আমরা মেডিকেলে রির্পোট জমা দিয়েছি। সবধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। কিন্তু আসলে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি।”
এই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমাদের টিমে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা গুইমারা উপজেলাতে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন গঠন করা হয়েছে। খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ তুলে নিলেই প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল খন্দকার।
মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে জেলার গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজার এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘর ও দোকানপাট পরিদর্শন শেষে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খাগড়াছড়ির চলমান পরিস্থিতি আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে চাই। অবরোধ আহ্বানকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে যে ৮টি দাবি দিয়েছে তার মধ্যে ৭টি অ্যাড্রেস করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যদের নাম পরে জানানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে চাই। তবে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে। ১৪৪ ধারা তুলে নেয়ার সঙ্গে অবরোধের বিষয়টি সম্পর্কিত।’
পাহাড়ি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা সড়ক অবরোধ চলাকালে গত রোববার রণক্ষেত্র হয়ে উঠে গুইমারার রামেসু বাজার। বাজার এলাকার প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন ৩ জন। তারা সবাই পাহাড়ি মারমা জনগোষ্ঠী। আহত হন সেনাবাহিনীর মেজরসহ অন্তত ২০ জন।
দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন জেলা প্রশাসক। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, আহত ব্যক্তিদের যাতে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয় তার জন্য প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবে প্রশাসন। নিহত থোয়াইচিং মারমার পিতা হ্লাচেং মারমা বাড়িতে গিয়ে ধর্মীয় সৎ কাজের জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরার ১ লাখ ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল খন্দকার ৫০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক নিহত পরিবারকে অনুদান দেয়া হয়। এই ক্ষতি অপূরণীয় হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আরও সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এ জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, খাগড়াছড়িতে যে সহিংসতা, সংঘর্ষ এ ঘটনায় মামলা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার মামলায় অনাগ্রহী হলে পুলিশ মামলা করবে।
এদিকে দুপুর ১২টায় রামেসু বাজার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ও সাহায্য প্রদান পরিদর্শন যারা এসেছিলেন-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল খন্দকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওথোইন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আখতার, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ম্রারাসাথোয়াই মারমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি-গুইমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উশৈপ্রু মারমা, গুইমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, খাগড়াছড়ির গুইমারা ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী, গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংশ্যি চৌধুরী, মেম্বার কংহ্লাপ্রু মারমা।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’। এরপর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
গত রোববার বাজারটি হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। সহিংসতার আগুনে পুড়ে যায় প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকান। এদিকে ওই দিনের ঘটনায় নিহতদের লাশ গত শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও গত রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সেনাবাহিনী কড়া পাহাড়ায় ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।
খাগড়াছড়ি এখনো থমথমে, চলছে অবরোধ
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, গতকাল সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে আজ জুম্ম ছাত্র-জনতার অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১২টা থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। জানতে চাইলে জুম্ম ছাত্র-জনতার এক মুখপাত্র বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং নিহত ব্যক্তিদের সৎকারের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে।
এদিকে ফের অনিদৃষ্টকালের জন্য তিন জেলায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে জুম্মু ছাত্র-জনতা। সড়ক অভরোধ পালনের পাশাপাশি সোমবার দুপুর ১২টার পর ঢাকা-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-খাহড়াছড়ি অসুস্থ রোগীদের অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতের স্বার্থে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। লাগাতার অবরোধ এবং ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে খাগড়াছড়ির সাধারণ মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চয়ন শীল নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তাকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ‘ধর্ষণের আলামত মেলেনি’: চিকিৎসক
খাগড়াছড়িতে যে মারমা কিশোরী দলবদ্ধ ‘ধর্ষণের’ শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি’ বলে জানিয়েছেন পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক।
ধর্ষণের আলামত পরীক্ষায় তিন চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেছেন, “আমরা মেডিকেলে রির্পোট জমা দিয়েছি। সবধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। কিন্তু আসলে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি।”
এই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমাদের টিমে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার ছিলেন।