সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর সিলেট অঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন যে, ভূমিকম্পপ্রবণ এই অঞ্চলে শক্তিশালী ভূ-কম্পন হলে নগরজুড়ে বড় ধরনের মানবিক ও কাঠামোগত বিপর্যয় ঘটতে পারে। অনেক ভবন এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা ভবিষ্যতে প্রাণঘাতী হতে পারে।
নগরীতে প্রায় ৪ হাজার ভবন রয়েছে যেগুলোর নির্মাণকাল ৩০ বছরের বেশি। যার অর্ধেকই ভূমিকম্প প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত মানদণ্ড মেনে তৈরি হয়নি
কিছু ভবন মালিককে নোটিশ প্রদান, জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রস্তুত এবং শহরে সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় তারা জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি পাঁচশ’ তাবু প্রস্তুত রেখেছেন। প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে তাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভূ-কম্পন গবেষণা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিলেট একটি সক্রিয় ভূ-কম্পন লাইনে অবস্থিত। বারবার ছোট ভূমিকম্প বড় ধরনের একটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। এ অঞ্চলে বেশিরভাগ ভবন এখনও ভূমিকম্প সহনশীলভাবে নির্মিত নয়।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের জরিপে জানা যায়, নগরীতে প্রায় ৪ হাজার ভবন রয়েছে যেগুলোর নির্মাণকাল ৩০ বছরের বেশি। এরমধ্যে অর্ধেক ভবনই ভূমিকম্প প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কোনো কাঠামোগত মানদণ্ড মেনে তৈরি হয়নি। পুরনো আবাসিক ভবনগুলোর দেয়ালে ফাটল ও ভিত্তিতে দুর্বলতা ইতোমধ্যেই লক্ষ করা গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কিছু ভবনের মালিককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রস্তুত এবং নাগরিকদের সচেতন করতে শহরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল বলেন, ‘আমরা ভূমিকম্পের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। বিশেষ করে এ দিকটাতে কাজ করে থাকে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া সরকারি এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই প্রশিক্ষকগণ জনসচেতনমূলক কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকেন। এছাড়াও দুর্গতদের জন্য খোলা মাঠ প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি পাঁচশ’ তাবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এখনই সতর্ক না হয়, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পে সিলেটে কয়েক হাজার প্রাণহানি ও হাজার কোটি টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য আশ্রয়স্থল হিসেবে স্কুল ও কলেজ মাঠ, সরকারি অফিস বা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, খোলা মাঠ, পার্ক ও মাঠ, স্টেডিয়াম (যেমন: সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম), কমিউনিটি কেন্দ্র, মিলনায়তন, খোলা মসজিদের প্রাঙ্গণ, সরকারি শরণার্থী সেন্টার বা দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদের ভবন প্রাঙ্গণ বেছে নেয়া যেতে পারে।
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর সিলেট অঞ্চলে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন যে, ভূমিকম্পপ্রবণ এই অঞ্চলে শক্তিশালী ভূ-কম্পন হলে নগরজুড়ে বড় ধরনের মানবিক ও কাঠামোগত বিপর্যয় ঘটতে পারে। অনেক ভবন এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা ভবিষ্যতে প্রাণঘাতী হতে পারে।
নগরীতে প্রায় ৪ হাজার ভবন রয়েছে যেগুলোর নির্মাণকাল ৩০ বছরের বেশি। যার অর্ধেকই ভূমিকম্প প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত মানদণ্ড মেনে তৈরি হয়নি
কিছু ভবন মালিককে নোটিশ প্রদান, জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রস্তুত এবং শহরে সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় তারা জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি পাঁচশ’ তাবু প্রস্তুত রেখেছেন। প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে তাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভূ-কম্পন গবেষণা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিলেট একটি সক্রিয় ভূ-কম্পন লাইনে অবস্থিত। বারবার ছোট ভূমিকম্প বড় ধরনের একটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। এ অঞ্চলে বেশিরভাগ ভবন এখনও ভূমিকম্প সহনশীলভাবে নির্মিত নয়।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের জরিপে জানা যায়, নগরীতে প্রায় ৪ হাজার ভবন রয়েছে যেগুলোর নির্মাণকাল ৩০ বছরের বেশি। এরমধ্যে অর্ধেক ভবনই ভূমিকম্প প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কোনো কাঠামোগত মানদণ্ড মেনে তৈরি হয়নি। পুরনো আবাসিক ভবনগুলোর দেয়ালে ফাটল ও ভিত্তিতে দুর্বলতা ইতোমধ্যেই লক্ষ করা গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কিছু ভবনের মালিককে নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রস্তুত এবং নাগরিকদের সচেতন করতে শহরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল বলেন, ‘আমরা ভূমিকম্পের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। বিশেষ করে এ দিকটাতে কাজ করে থাকে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া সরকারি এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই প্রশিক্ষকগণ জনসচেতনমূলক কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকেন। এছাড়াও দুর্গতদের জন্য খোলা মাঠ প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি পাঁচশ’ তাবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এখনই সতর্ক না হয়, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পে সিলেটে কয়েক হাজার প্রাণহানি ও হাজার কোটি টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য আশ্রয়স্থল হিসেবে স্কুল ও কলেজ মাঠ, সরকারি অফিস বা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, খোলা মাঠ, পার্ক ও মাঠ, স্টেডিয়াম (যেমন: সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম), কমিউনিটি কেন্দ্র, মিলনায়তন, খোলা মসজিদের প্রাঙ্গণ, সরকারি শরণার্থী সেন্টার বা দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদের ভবন প্রাঙ্গণ বেছে নেয়া যেতে পারে।