ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হজের বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এজেন্সি মালিকরা। মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার এসব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সরকারি মাধ্যমের মতো এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনাতেও একটি প্যাকেজ বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে খাওয়া ও কোরবানিসহ বিশেষ হজ প্যাকেজের খরচ ঠিক করা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর সাধারণ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ব্যয় হবে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আর সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
গত বছরের তুলনায় এবার সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় বেড়েছে ২৭ হাজার টাকা। গত বছর এই প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
লিখিত বক্তব্যে হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সৌদি পর্বের চূড়ান্ত ব্যয়ের হিসাব না পাওয়ায় বিগত বছরের ব্যয়ের ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্য খরচ হিসাব করে হজ প্যাকেজ প্রণয়ন করা হলো। পরবর্তীতে রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক কোনো খাতে খরচ বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হলে প্রযোজ্য খাতের বর্ধিত বা হ্রাসকৃত ব্যয় প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধ করতে হবে এবং একই সঙ্গে বিমান ভাড়া হ্রাস পেলে তা প্যাকেজ মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর কোরবানির অর্থ নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে পরিশোধ বাধ্যতামূলক হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের প্যাকেজে কোরবানির অর্থ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর হজযাত্রীর বিমান ভাড়া বাংলাদেশ অংশের ট্যাক্স ও চার্জ ব্যতীত ধরা হয়েছে।’
প্রতি সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৮৫ পয়সা ধরে প্যাকেজের খরচ হিসাব করা হয়েছে জানিয়ে হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনা হজযাত্রীদের খাবার খরচ প্যাকেজের বহির্ভূত থাকলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উন্নত সার্ভিসের জন্য খাবারের মূল্য প্রতিটি প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
গত হজে হাবের কমিটি না থাকায় এজেন্সি মালিকরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে একটি পক্ষ থেকে দুটি প্যাকেজ এবং বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে আরেকটি পক্ষ থেকে তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। সেখানে খাবার খরচ যুক্ত করে সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিলেন সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকরা।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী মালিকদের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম প্যাকেজ মূল্য ধরা হয় ৫ লাখ ১৮ হাজার, দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য ধরা হয় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এর আগে গত রোববার সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছর প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা। এছাড়া হজ প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা এবং হজ প্যাকেজ-৩ এ ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেছিলেন, বেসরকারি মাধ্যমে একটি প্যাকেজের ব্যয় হতে হবে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা। এর বাইরে আরও দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন এজেন্সি মালিকরা। সেই অনুযায়ী সাশ্রয়ী প্যাকেজের খরচ ঠিক করেছে হাব। বর্তমানে হজে যেতে হলে প্রথম ধাপে ৩০ হাজার টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাক-নিবন্ধন করতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে সারতে হয় প্রাথমিক নিবন্ধন। আর হজের প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হজের বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এজেন্সি মালিকরা। মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার এসব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সরকারি মাধ্যমের মতো এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনাতেও একটি প্যাকেজ বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে খাওয়া ও কোরবানিসহ বিশেষ হজ প্যাকেজের খরচ ঠিক করা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর সাধারণ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ব্যয় হবে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আর সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
গত বছরের তুলনায় এবার সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় বেড়েছে ২৭ হাজার টাকা। গত বছর এই প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
লিখিত বক্তব্যে হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সৌদি পর্বের চূড়ান্ত ব্যয়ের হিসাব না পাওয়ায় বিগত বছরের ব্যয়ের ধারাবাহিকতায় সম্ভাব্য খরচ হিসাব করে হজ প্যাকেজ প্রণয়ন করা হলো। পরবর্তীতে রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক কোনো খাতে খরচ বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হলে প্রযোজ্য খাতের বর্ধিত বা হ্রাসকৃত ব্যয় প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধ করতে হবে এবং একই সঙ্গে বিমান ভাড়া হ্রাস পেলে তা প্যাকেজ মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর কোরবানির অর্থ নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে পরিশোধ বাধ্যতামূলক হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের প্যাকেজে কোরবানির অর্থ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর হজযাত্রীর বিমান ভাড়া বাংলাদেশ অংশের ট্যাক্স ও চার্জ ব্যতীত ধরা হয়েছে।’
প্রতি সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৮৫ পয়সা ধরে প্যাকেজের খরচ হিসাব করা হয়েছে জানিয়ে হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনা হজযাত্রীদের খাবার খরচ প্যাকেজের বহির্ভূত থাকলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উন্নত সার্ভিসের জন্য খাবারের মূল্য প্রতিটি প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
গত হজে হাবের কমিটি না থাকায় এজেন্সি মালিকরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে একটি পক্ষ থেকে দুটি প্যাকেজ এবং বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে আরেকটি পক্ষ থেকে তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। সেখানে খাবার খরচ যুক্ত করে সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিলেন সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকরা।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী মালিকদের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম প্যাকেজ মূল্য ধরা হয় ৫ লাখ ১৮ হাজার, দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য ধরা হয় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এর আগে গত রোববার সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছর প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা। এছাড়া হজ প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা এবং হজ প্যাকেজ-৩ এ ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেছিলেন, বেসরকারি মাধ্যমে একটি প্যাকেজের ব্যয় হতে হবে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা। এর বাইরে আরও দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন এজেন্সি মালিকরা। সেই অনুযায়ী সাশ্রয়ী প্যাকেজের খরচ ঠিক করেছে হাব। বর্তমানে হজে যেতে হলে প্রথম ধাপে ৩০ হাজার টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাক-নিবন্ধন করতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে সারতে হয় প্রাথমিক নিবন্ধন। আর হজের প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়।