ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসতঘরের ‘চুলার গ্যাস লিকেজ’ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মডার্ণ রোডের রাহাত মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার মো. আব্দুল মালেক।
দগ্ধ ৪ জন হলেন, ফ্ল্যাটের ভাড়াটে কুমোদ চন্দ্র নাথ (৪৩), তার স্ত্রী সবিতা রানী নাথ (৩২), মেয়ে ঐর্দিকা (৮) ও ছেলে তূর্য (৪)। এর মধ্যে ঐর্দিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্তা কুমোদ চন্দ্র নাথ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সবাই দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ ঘরের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। ঘরের বিভিন্ন কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আমি, আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ ৪ জন দগ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাইনউদ্দিন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের মধ্যে ঐর্দিকার শরীরের ২০ শতাংশ, তূর্যের ১০ শতাংশ, কুমোদ চন্দ্র নাথ ও তার স্ত্রী সবিতা রানী নাথের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐর্দিকাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুপুরের রান্না করার পর লাইনের গ্যাস বন্ধ করার পর চুলার সুইচ থেকে আস্তে আস্তে গ্যাস লিকেজ হয়ে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পূজার জন্য মোমবাতি জ্বালালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।’ তবে বিস্তারিত তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসতঘরের ‘চুলার গ্যাস লিকেজ’ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মডার্ণ রোডের রাহাত মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার মো. আব্দুল মালেক।
দগ্ধ ৪ জন হলেন, ফ্ল্যাটের ভাড়াটে কুমোদ চন্দ্র নাথ (৪৩), তার স্ত্রী সবিতা রানী নাথ (৩২), মেয়ে ঐর্দিকা (৮) ও ছেলে তূর্য (৪)। এর মধ্যে ঐর্দিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্তা কুমোদ চন্দ্র নাথ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সবাই দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ ঘরের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। ঘরের বিভিন্ন কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আমি, আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ ৪ জন দগ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাইনউদ্দিন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের মধ্যে ঐর্দিকার শরীরের ২০ শতাংশ, তূর্যের ১০ শতাংশ, কুমোদ চন্দ্র নাথ ও তার স্ত্রী সবিতা রানী নাথের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐর্দিকাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুপুরের রান্না করার পর লাইনের গ্যাস বন্ধ করার পর চুলার সুইচ থেকে আস্তে আস্তে গ্যাস লিকেজ হয়ে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পূজার জন্য মোমবাতি জ্বালালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।’ তবে বিস্তারিত তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।