ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দুর্গাপূজার ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। মূল সড়কে নেই যানজট, নেই মানুষের ভিড়। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার দুই দিনের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক দুই দিনের (শুক্র ও শনিবার) মিলে মোট চার দিনের সরকারি ছুটি ভোগ করছে মানুষজন।
এ লম্বা ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। তাতে রাজধানীর রাস্তাঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। নেই চিরচেনা যানজটের দেখা। ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের লম্বা সারি। ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনের চলাচলও সাধারণ কর্মদিবসের তুলনায় কম দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার টানা চার দিনের এ ছুটি শুরু হয়েছে। এ ছুটির প্রথম দিন অর্থাৎ পূজার মহানবমীর ভোরেই ভারী বৃষ্টিপাত হয় রাজধানীতে। এ কারণে গতকাল বুধবার দিনভর অনেকটাই ফাঁকা ছিল ঢাকার সড়কগুলো।
ঢাকার মূল সড়কগুলো বৃহস্পতিবার, (০২ অক্টোবর ২০২৫) আরও বেশি ফাঁকা দেখা গেছে। এদিন বিকেল নাগাদ মতিঝিল, মালিবাগ, মগবাজার, ফার্মগেট ও রামপুরা-বাড্ডা সড়কেও যানবাহন চলাচল ও মানুষের কোলাহল স্বাভাবিক কর্মদিবসের তুলনায় অনেকটাই কম দেখা গেছে। সড়কজুড়ে বিরাজ করছে এক ধরনের শান্ত ও ফাঁকা পরিবেশ। বিভিন্ন ফুটপাতেও হকার ও ভাসমান দোকানগুলোতেও নেই ক্রেতাদের ভিড়।
বৃহস্পতিবার, সকাল থেকে ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল কম থাকলেও রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল স্বাভাবিক দিনের মতোই দেখা গেছে। মানুষের চলাচল অনেকটা কম থাকায় রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের আয়-রোজগারও কম হয়েছে বলে তারা জানান।
বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় অটোরিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, ‘আগে ৫০০ টাকা রিকশার জমা বাদে ৭০০-৮০০ টাকা কামাতে পারতাম। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৮০০ টাকা কামায় করেছি। ঢাকায় মানুষই নাই, আয় করমু কীভাবে?’
স্বাভাবিক দিন অর্থাৎ সরকারি কর্মদিবসে সকাল থেকেই মহানগরীতে চিরচেনা যানজটের রূপ দেখা যায়। বৃহস্পতিবার, ভোরে ভারী বৃষ্টি আর ছুটির প্রভাবে পাল্টে যায় ওই চিত্র। নগরবাসীকে গত দু’দিন যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকায় মেট্রোরেলেও যাত্রীদের খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি।
মিরপুর-১ থেকে প্রেসক্লাবের সামনে এসে নেমে ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া বৃহস্পতিবার, জানান, তিনি নিয়মিত মেট্রোরেলে চড়েন। প্রায়ই তাকে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে হতো। যাত্রীদের ভিড় কম থাকায় এদিন তিনি পুরো সময়টাই সিটে বসার সুযোগ পেয়েছেন।
ফাঁকা সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার আনাগোনা আছে চোখে পড়ার মতো। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মানুষ এ ধরনের বাহনে চড়েন। তবে যাত্রী কম থাকায় অনেক চালককেই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন ভাড়াও কিছুটা কম হাকান রিকশাচালকরা।
রাস্তায় গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল কম থাকায় সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় মহানগর ট্রাফিক পুলিশকেও খুব একটা ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়নি। বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হয়নি।
খিলগাঁওয়ে রেলগেইটে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, মানুষ ছুটি ভোগ করছেন। যানবাহন চলাচল কম থাকায় যানজটও নেই। শুধু ট্রেন আসা-যাওয়ার সময় তাদের বাড়তি তৎপরতা চালাতে হয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
দুর্গাপূজার ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। মূল সড়কে নেই যানজট, নেই মানুষের ভিড়। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার দুই দিনের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক দুই দিনের (শুক্র ও শনিবার) মিলে মোট চার দিনের সরকারি ছুটি ভোগ করছে মানুষজন।
এ লম্বা ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। তাতে রাজধানীর রাস্তাঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। নেই চিরচেনা যানজটের দেখা। ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের লম্বা সারি। ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনের চলাচলও সাধারণ কর্মদিবসের তুলনায় কম দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার টানা চার দিনের এ ছুটি শুরু হয়েছে। এ ছুটির প্রথম দিন অর্থাৎ পূজার মহানবমীর ভোরেই ভারী বৃষ্টিপাত হয় রাজধানীতে। এ কারণে গতকাল বুধবার দিনভর অনেকটাই ফাঁকা ছিল ঢাকার সড়কগুলো।
ঢাকার মূল সড়কগুলো বৃহস্পতিবার, (০২ অক্টোবর ২০২৫) আরও বেশি ফাঁকা দেখা গেছে। এদিন বিকেল নাগাদ মতিঝিল, মালিবাগ, মগবাজার, ফার্মগেট ও রামপুরা-বাড্ডা সড়কেও যানবাহন চলাচল ও মানুষের কোলাহল স্বাভাবিক কর্মদিবসের তুলনায় অনেকটাই কম দেখা গেছে। সড়কজুড়ে বিরাজ করছে এক ধরনের শান্ত ও ফাঁকা পরিবেশ। বিভিন্ন ফুটপাতেও হকার ও ভাসমান দোকানগুলোতেও নেই ক্রেতাদের ভিড়।
বৃহস্পতিবার, সকাল থেকে ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল কম থাকলেও রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল স্বাভাবিক দিনের মতোই দেখা গেছে। মানুষের চলাচল অনেকটা কম থাকায় রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের আয়-রোজগারও কম হয়েছে বলে তারা জানান।
বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যায় অটোরিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, ‘আগে ৫০০ টাকা রিকশার জমা বাদে ৭০০-৮০০ টাকা কামাতে পারতাম। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৮০০ টাকা কামায় করেছি। ঢাকায় মানুষই নাই, আয় করমু কীভাবে?’
স্বাভাবিক দিন অর্থাৎ সরকারি কর্মদিবসে সকাল থেকেই মহানগরীতে চিরচেনা যানজটের রূপ দেখা যায়। বৃহস্পতিবার, ভোরে ভারী বৃষ্টি আর ছুটির প্রভাবে পাল্টে যায় ওই চিত্র। নগরবাসীকে গত দু’দিন যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকায় মেট্রোরেলেও যাত্রীদের খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি।
মিরপুর-১ থেকে প্রেসক্লাবের সামনে এসে নেমে ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া বৃহস্পতিবার, জানান, তিনি নিয়মিত মেট্রোরেলে চড়েন। প্রায়ই তাকে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে হতো। যাত্রীদের ভিড় কম থাকায় এদিন তিনি পুরো সময়টাই সিটে বসার সুযোগ পেয়েছেন।
ফাঁকা সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার আনাগোনা আছে চোখে পড়ার মতো। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মানুষ এ ধরনের বাহনে চড়েন। তবে যাত্রী কম থাকায় অনেক চালককেই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন ভাড়াও কিছুটা কম হাকান রিকশাচালকরা।
রাস্তায় গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল কম থাকায় সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় মহানগর ট্রাফিক পুলিশকেও খুব একটা ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়নি। বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হয়নি।
খিলগাঁওয়ে রেলগেইটে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, মানুষ ছুটি ভোগ করছেন। যানবাহন চলাচল কম থাকায় যানজটও নেই। শুধু ট্রেন আসা-যাওয়ার সময় তাদের বাড়তি তৎপরতা চালাতে হয়।