নোয়াখালীর কবিরহাটে গত বুধবার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সে দুবৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুর করে -সংবাদ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্টিল ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় একটি বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীরা ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর ওই এলাকার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের অফিস ভাঙচুর করে মালামাল ও ক্যাশ থেকে ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
আহতরা হলো- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. মাহিদুল ইসলাম সিয়াম, অফিস সহকারী আবু ছায়েদ, এক্সেভেটর চালক মো. ইউছুফ, কর্মচারী ছায়েদুল হক হৃদয় ও আইয়ুব আলী সোহাগ। আহতদেরকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় গতকাল বুধবার রাতেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. মাহিদুল ইসলাম সিয়াম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫৫-৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক পূর্ব বিরোধের ঘটনার মীমাংসিত বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. হোসাইন কবিরের সঙ্গে হামলা ও লুটপাটের নেতৃত্বে থাকা মোতাক্কেল বিল্লাহ প্রকাশ সোহেল সিরাজীর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ব্যবসায়ী হোসাইন কবিরের ব্যবসায় লাভ ও উন্নতি দেখেই এ বিরোধের সূত্রপাত। এর জের ধরে লোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক জবর দখল করার উদ্দেশে সোহেল সিরাজীর নেতৃত্বে নিরব সিরাজী, আনসার উল্যাহ, ইসমাইল হোসেন সৈকত, শাহাদাত হোসেনসহ ৫৫-৬০ জনের দুর্বৃত্ত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা প্রথমে বিপুল সংখ্যক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের অফিসে প্রবেশ করে সবাইকে পিটিয়ে জখম করে বের করে দেয়। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ক্যাশ ভেঙে ২০ লাখ টাকা, কর্মচারীদের পকেটে থাকা ৯ হাজার ৮শ’ ৮০ টাকা এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোতাক্কেল বিল্লাহ প্রকাশ সোহেল সিরাজী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অসত্য। এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিক তিনি নিজেই বলে দাবি করেন।
কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া প্রথমে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জ থানার এলাকায় হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা লিখলেও কী, না লিখলেও বা কী।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ঘটনাস্থলটি কবিরহাট থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কবিরহাট থানার ওসির বক্তব্যে ঘটনাস্থল কোম্পানীগঞ্জ বলার পর তিনি বলেন, আমাদের থানার মধ্যে হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালীর কবিরহাটে গত বুধবার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সে দুবৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুর করে -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্টিল ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় একটি বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীরা ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর ওই এলাকার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের অফিস ভাঙচুর করে মালামাল ও ক্যাশ থেকে ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
আহতরা হলো- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. মাহিদুল ইসলাম সিয়াম, অফিস সহকারী আবু ছায়েদ, এক্সেভেটর চালক মো. ইউছুফ, কর্মচারী ছায়েদুল হক হৃদয় ও আইয়ুব আলী সোহাগ। আহতদেরকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় গতকাল বুধবার রাতেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. মাহিদুল ইসলাম সিয়াম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫৫-৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক পূর্ব বিরোধের ঘটনার মীমাংসিত বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. হোসাইন কবিরের সঙ্গে হামলা ও লুটপাটের নেতৃত্বে থাকা মোতাক্কেল বিল্লাহ প্রকাশ সোহেল সিরাজীর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ব্যবসায়ী হোসাইন কবিরের ব্যবসায় লাভ ও উন্নতি দেখেই এ বিরোধের সূত্রপাত। এর জের ধরে লোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক জবর দখল করার উদ্দেশে সোহেল সিরাজীর নেতৃত্বে নিরব সিরাজী, আনসার উল্যাহ, ইসমাইল হোসেন সৈকত, শাহাদাত হোসেনসহ ৫৫-৬০ জনের দুর্বৃত্ত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা প্রথমে বিপুল সংখ্যক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের অফিসে প্রবেশ করে সবাইকে পিটিয়ে জখম করে বের করে দেয়। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ক্যাশ ভেঙে ২০ লাখ টাকা, কর্মচারীদের পকেটে থাকা ৯ হাজার ৮শ’ ৮০ টাকা এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোতাক্কেল বিল্লাহ প্রকাশ সোহেল সিরাজী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অসত্য। এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিক তিনি নিজেই বলে দাবি করেন।
কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া প্রথমে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জ থানার এলাকায় হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা লিখলেও কী, না লিখলেও বা কী।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ঘটনাস্থলটি কবিরহাট থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কবিরহাট থানার ওসির বক্তব্যে ঘটনাস্থল কোম্পানীগঞ্জ বলার পর তিনি বলেন, আমাদের থানার মধ্যে হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।