মধুপুর (টাঙ্গাইল): পৌর শহরের সাহা পাড়া সড়ক পরিদর্শন করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন -সংবাদ
টাঙ্গাইলের অন্যতম পৌরসভা মধুপুরের সাহা পাড়ার অলিগলিতে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ যেন নিত্যসঙ্গী। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সাহা পাড়ার প্রবেশ পথের ড্রেন ময়লা আবর্জনা হোটেল রেস্তোরায় পচা দুর্গন্ধ পানি গন্ধ ছড়ায়। গলির দুই পাশে দোকানের আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পলিথিনসহ বৃষ্টিতে নেমে যাচ্ছে বংশাই নদীর পানিতে। এতে পরিবেশের পাশাপাশি নদীরও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে মাছের আশ্রয়স্থল। দূষিত হচ্ছে নদীর পানিও। জন ভোগান্তির খবর শোনে সরজমিন পরিদর্শন করছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জুবায়ের হোসেন। এ সময় তিনি দ্রুত সমাধান করার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের সর্ব উত্তরের উপজেলার নাম মধুপুর। মধুপুর পৌরসভাটি হচ্ছে প্রথম শ্রেনীর। এ পৌরসভায় জাইকাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলছে। চলছে ড্রেনেজ নির্মাণ পয়ঃনিস্কাশন রাস্তাঘাটসহ নানা কর্মযজ্ঞ। এ কাজ শেষ হলে নাগরিক সুবিধা বাড়বে এমনটি করছে সংশ্লিষ্টরা। তবে নাগরিকরা ডাস্টবিনের যথাযথ ব্যবহার না করার কারণে যত্রযত্র বাসা বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কোথাও কোথাও। নাগরিকদের অচেতনতার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন সাহা পাড়া একটি পল্লী নাম। যেখানে শিক্ষক ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের বসবাস। এ পল্লীতে যাওয়ার প্রধান সড়কটিতে হোটেল রেস্তোরাঁর পচা পানি দোকানপাটের ময়লা আবর্জনায় যেন এক দুর্গন্ধময় পরিবেশ। নাক চেপে যেতে হয় এ পথে। এ সড়কের মাথা থেকে নদী পর্যন্ত একই অবস্থা। এ অবস্থার সমাধান চান স্থানীয়রা।
মাসুদ নামের এক পথচারি জানালেন, দিনে কখনও রাতে বেলা সড়কের পাশে করা ড্রেনের উপর পথচারিরা প্রশ্রাব করে থাকে। আশপাশের ব্যবসায়ীদের ময়লা এখানেই পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
নাম প্রকাশ না শর্তে এক দোকানদার জানালেন, যারা বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন গাড়ীতে ঘুরে ঘুরে আনারস কলাসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করে তার এখানে মালমাল কেটে ময়লা রেখে যায়। হোটেল পচা পানি ড্রেনে আসে। এগুলো গন্ধ ছড়ায়।
স্থানীয়রা জানালেন, এ নদীর পানিতে তারা গোলসসহ অন্যান্য কাজ করতে থাকে। ময়লা নদীতে নেমে পারি নষ্ট করার করার তাদের গোলস করতে সমস্যা হয়। পানি গন্ধ করে বলে জানালেন তারা।
তবে বিষয়টি নজরে আসায় সরজমিন পরিদর্শন করেছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জুবায়ের হোসেন। তিনি পৌরসভার শাহাপাড়া এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি গলি রাস্তার দুই পাশে দোকান, হোটেলের নোংরা পানির পাইপ ফেটে দুর্গন্ধ পরিবেশ, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এসব বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুততম সময়ে একটা সমাধানে যাওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়েছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মধুপুর (টাঙ্গাইল): পৌর শহরের সাহা পাড়া সড়ক পরিদর্শন করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন -সংবাদ
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
টাঙ্গাইলের অন্যতম পৌরসভা মধুপুরের সাহা পাড়ার অলিগলিতে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ যেন নিত্যসঙ্গী। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাসী। বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সাহা পাড়ার প্রবেশ পথের ড্রেন ময়লা আবর্জনা হোটেল রেস্তোরায় পচা দুর্গন্ধ পানি গন্ধ ছড়ায়। গলির দুই পাশে দোকানের আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পলিথিনসহ বৃষ্টিতে নেমে যাচ্ছে বংশাই নদীর পানিতে। এতে পরিবেশের পাশাপাশি নদীরও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে মাছের আশ্রয়স্থল। দূষিত হচ্ছে নদীর পানিও। জন ভোগান্তির খবর শোনে সরজমিন পরিদর্শন করছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জুবায়ের হোসেন। এ সময় তিনি দ্রুত সমাধান করার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের সর্ব উত্তরের উপজেলার নাম মধুপুর। মধুপুর পৌরসভাটি হচ্ছে প্রথম শ্রেনীর। এ পৌরসভায় জাইকাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলছে। চলছে ড্রেনেজ নির্মাণ পয়ঃনিস্কাশন রাস্তাঘাটসহ নানা কর্মযজ্ঞ। এ কাজ শেষ হলে নাগরিক সুবিধা বাড়বে এমনটি করছে সংশ্লিষ্টরা। তবে নাগরিকরা ডাস্টবিনের যথাযথ ব্যবহার না করার কারণে যত্রযত্র বাসা বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কোথাও কোথাও। নাগরিকদের অচেতনতার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন সাহা পাড়া একটি পল্লী নাম। যেখানে শিক্ষক ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের বসবাস। এ পল্লীতে যাওয়ার প্রধান সড়কটিতে হোটেল রেস্তোরাঁর পচা পানি দোকানপাটের ময়লা আবর্জনায় যেন এক দুর্গন্ধময় পরিবেশ। নাক চেপে যেতে হয় এ পথে। এ সড়কের মাথা থেকে নদী পর্যন্ত একই অবস্থা। এ অবস্থার সমাধান চান স্থানীয়রা।
মাসুদ নামের এক পথচারি জানালেন, দিনে কখনও রাতে বেলা সড়কের পাশে করা ড্রেনের উপর পথচারিরা প্রশ্রাব করে থাকে। আশপাশের ব্যবসায়ীদের ময়লা এখানেই পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
নাম প্রকাশ না শর্তে এক দোকানদার জানালেন, যারা বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন গাড়ীতে ঘুরে ঘুরে আনারস কলাসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করে তার এখানে মালমাল কেটে ময়লা রেখে যায়। হোটেল পচা পানি ড্রেনে আসে। এগুলো গন্ধ ছড়ায়।
স্থানীয়রা জানালেন, এ নদীর পানিতে তারা গোলসসহ অন্যান্য কাজ করতে থাকে। ময়লা নদীতে নেমে পারি নষ্ট করার করার তাদের গোলস করতে সমস্যা হয়। পানি গন্ধ করে বলে জানালেন তারা।
তবে বিষয়টি নজরে আসায় সরজমিন পরিদর্শন করেছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জুবায়ের হোসেন। তিনি পৌরসভার শাহাপাড়া এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি গলি রাস্তার দুই পাশে দোকান, হোটেলের নোংরা পানির পাইপ ফেটে দুর্গন্ধ পরিবেশ, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এসব বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুততম সময়ে একটা সমাধানে যাওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়েছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।