ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্থানীয় একটি মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে নদী ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে এলাকার শতাধিক ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জীবিকা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার উধুনিয়া বাজারে গোহালা নদীর আড়াই কিলোমিটার শাখা খাল সর্বোচ্ছ দরদাতার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে দর ওঠা শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় নদীটির ইজারা নেন উধুনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লা। এর আগে উধুনিয়া বাজার জামে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও তা উপেক্ষা করে মসজিদ কমিটি নদী ইজারা দেয়। এতে শতাধিক ক্ষুদ্র জেলে নদীতে মাছ ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মসজিদ কমিটির শর্ত অনুযায়ী আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র ইজারাদার ছাড়া কেউ মাছ ধরতে পারবেন না। ফলে জীবিকার প্রয়োজনে স্থানীয় জেলেদের ইজারাদারের কাছে টাকা দিয়ে মাছ ধরতে হচ্ছে। ৪০ বছর ধরে গোহালা নদীতে মাছ ধরে আসা প্রবীণ জেলে আব্দুল মান্নান ফকির বলেন, এবার নদী ইজারা দেওয়ায় অন্তত ১০-১৫ হাজার টাকা ইজারাদারের কাছে জমা দিতে হবে। নইলে আমাদের নদীতে নামতে দেবে না। একই অভিযোগ করেন স্থানীয় জেলে ইসমাইল হোসেন। তিনি জানান, আমি ১৫ বছর ধরে এই নদীতে মাছ ধরছি। এখন ইজারাদারের অনুমতি ছাড়া মাছ ধরা যাবে না। এতে আমাদের পরিবারের জীবিকা হুমকির মুখে।
অন্যদিকে স্থানীয় দোকানদার সোহেল রানা বলেন, মসজিদ কমিটি মাইকিং করে দরপত্র আয়োজন করেছিল এবং উধুনিয়া বাজারে সকলের উপস্থিতিতেই তা সম্পন্ন হয়। ইজারাদার ইউসুফ আলী মোল্লা দাবি করেন, আমি ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় নদীটির ইজারা নিয়েছি। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি হাজি আব্দুল হামিদ বলেন, মসজিদ উন্নয়নের তহবিল সংগ্রহের জন্য নদী ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন অন্য কেউ মাছ ধরতে চাইলে তা সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন প্রশাসন। উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, নদী ইজারা দেওয়ার কোনো ক্ষমতা মসজিদ কমিটির নেই। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা রিমা জানান, সরকারি জলমহাল ডিসেম্বর মাসে নিয়ম মেনে ইজারা দেওয়া হয়। কেউ ইচ্ছে মতো নদী ইজারা দিতে পারে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, নদী রাষ্ট্রের সম্পদ। কোনো ব্যক্তি বা কমিটি নদী ইজারা দিতে পারে না। যদি কেউ দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্থানীয় একটি মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে নদী ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে এলাকার শতাধিক ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জীবিকা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার উধুনিয়া বাজারে গোহালা নদীর আড়াই কিলোমিটার শাখা খাল সর্বোচ্ছ দরদাতার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে দর ওঠা শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় নদীটির ইজারা নেন উধুনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লা। এর আগে উধুনিয়া বাজার জামে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে দরপত্রে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও তা উপেক্ষা করে মসজিদ কমিটি নদী ইজারা দেয়। এতে শতাধিক ক্ষুদ্র জেলে নদীতে মাছ ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মসজিদ কমিটির শর্ত অনুযায়ী আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র ইজারাদার ছাড়া কেউ মাছ ধরতে পারবেন না। ফলে জীবিকার প্রয়োজনে স্থানীয় জেলেদের ইজারাদারের কাছে টাকা দিয়ে মাছ ধরতে হচ্ছে। ৪০ বছর ধরে গোহালা নদীতে মাছ ধরে আসা প্রবীণ জেলে আব্দুল মান্নান ফকির বলেন, এবার নদী ইজারা দেওয়ায় অন্তত ১০-১৫ হাজার টাকা ইজারাদারের কাছে জমা দিতে হবে। নইলে আমাদের নদীতে নামতে দেবে না। একই অভিযোগ করেন স্থানীয় জেলে ইসমাইল হোসেন। তিনি জানান, আমি ১৫ বছর ধরে এই নদীতে মাছ ধরছি। এখন ইজারাদারের অনুমতি ছাড়া মাছ ধরা যাবে না। এতে আমাদের পরিবারের জীবিকা হুমকির মুখে।
অন্যদিকে স্থানীয় দোকানদার সোহেল রানা বলেন, মসজিদ কমিটি মাইকিং করে দরপত্র আয়োজন করেছিল এবং উধুনিয়া বাজারে সকলের উপস্থিতিতেই তা সম্পন্ন হয়। ইজারাদার ইউসুফ আলী মোল্লা দাবি করেন, আমি ১ লাখ ৬২ হাজার টাকায় নদীটির ইজারা নিয়েছি। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি হাজি আব্দুল হামিদ বলেন, মসজিদ উন্নয়নের তহবিল সংগ্রহের জন্য নদী ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন অন্য কেউ মাছ ধরতে চাইলে তা সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন প্রশাসন। উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, নদী ইজারা দেওয়ার কোনো ক্ষমতা মসজিদ কমিটির নেই। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা রিমা জানান, সরকারি জলমহাল ডিসেম্বর মাসে নিয়ম মেনে ইজারা দেওয়া হয়। কেউ ইচ্ছে মতো নদী ইজারা দিতে পারে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, নদী রাষ্ট্রের সম্পদ। কোনো ব্যক্তি বা কমিটি নদী ইজারা দিতে পারে না। যদি কেউ দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।