পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের একমাত্র কৃষি উদ্যোক্তা ও জাতীয় পর্যায়ে ১১তম স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃষক কাজী আনিছুর রহমান কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রিতেও সফলতা দেখিয়েছে। উপজেলায় প্রথম কমলা চাষে সফলতার পর কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাত করে চমক দেখিয়েছে। কাজী আনিছের সফলতা ও চমক দেখে উপজেলর অনেক কৃষক ও কিষাণী ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করতে শুরু করেছে। জমিতে এই সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এই সার বেশ উপকারী ও পরিবেশ বান্ধব। কৃষি উদ্যোক্তা আনিছের সফলতা দেখে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ প্রত্যন্ত এলাকার ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা খরচ কমানোর জন্য কেঁচো সার উৎপাদন করছে। রাসায়নিক সার ব্যবহার কমানো এবং ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই কৃষকরা স্বল্প ব্যয়ে এই সার তৈরি করছে। উপজেলার অনেক কৃষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতায় বানিজ্যিক ভাবে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। অল্প খরচে ভাল ফলনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করার দিকে কৃষকরা ঝুঁকছে। উপজেলায় কেঁচো সারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। উপজেলার কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে কেঁচো সার উৎপাদনে সফলতা অর্জন করবে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ আশাপ্রকাশ করছে। ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারে মাটির গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকার পাশাপাশি কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মাটির জীব বৈচিত্র্যসহ জু-প্লান্ট নষ্ট হয় না।
দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বাঁশবাড়িয়া, সদর, রণগোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, বহরমপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকর পরিবার কেঁচো সার উৎপাদন করছে। এই সার উৎপাদন করতে বাড়তি শ্রম দিতে হয় না। এছাড়া সার উৎপাদন করতে তেমন কোন খরচ হয় না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে নানা ভাবে এই সার তৈরি করতে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দিচ্ছেন। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কেঁচো সার ভাল কাজ করে থাকে। এই সার ব্যবহার করে অধিক পরিমানে ফসল উৎপাদন করা যায়। রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটির জীব বৈচিত্র্যসহ জু-প্লান্ট নষ্ট হয়ে যায়। অথচ কেঁচো সার ব্যবহার করলে মাটির গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে এবং কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বেড়ে যায়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বসতঘর ও বাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশে মাটির চারির মধ্যে গোবর দিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হয়। উপজেলার কৃষকরা শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করার জন্য কেঁচো সার তৈরি করছে। রাসায়নিক সার ক্রয় না করে কৃষকরা জৈব সার ব্যবহার করছে। ফলে ফসলের উৎপাদন বেড়ে গেছে। এই সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক মুক্ত ফসল পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কেঁচো সার কৃষি জমিতে ব্যবহার করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। এই সার ফসলি জমিতে দেয়া হলে ফসলের ফলন বৃদ্ধিসহ রাসায়নিক মুক্ত ফসল পাওয়া যায়। উপজেলার কৃষকদেরকে জমিতে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভার্মি কম্পোস্ট সার উপজেলার কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের একমাত্র কৃষি উদ্যোক্তা ও জাতীয় পর্যায়ে ১১তম স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃষক কাজী আনিছুর রহমান কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রিতেও সফলতা দেখিয়েছে। উপজেলায় প্রথম কমলা চাষে সফলতার পর কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাত করে চমক দেখিয়েছে। কাজী আনিছের সফলতা ও চমক দেখে উপজেলর অনেক কৃষক ও কিষাণী ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করতে শুরু করেছে। জমিতে এই সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এই সার বেশ উপকারী ও পরিবেশ বান্ধব। কৃষি উদ্যোক্তা আনিছের সফলতা দেখে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ প্রত্যন্ত এলাকার ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা খরচ কমানোর জন্য কেঁচো সার উৎপাদন করছে। রাসায়নিক সার ব্যবহার কমানো এবং ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই কৃষকরা স্বল্প ব্যয়ে এই সার তৈরি করছে। উপজেলার অনেক কৃষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতায় বানিজ্যিক ভাবে ভার্মি কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। অল্প খরচে ভাল ফলনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করার দিকে কৃষকরা ঝুঁকছে। উপজেলায় কেঁচো সারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। উপজেলার কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে কেঁচো সার উৎপাদনে সফলতা অর্জন করবে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ আশাপ্রকাশ করছে। ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারে মাটির গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকার পাশাপাশি কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মাটির জীব বৈচিত্র্যসহ জু-প্লান্ট নষ্ট হয় না।
দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বাঁশবাড়িয়া, সদর, রণগোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, বহরমপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকর পরিবার কেঁচো সার উৎপাদন করছে। এই সার উৎপাদন করতে বাড়তি শ্রম দিতে হয় না। এছাড়া সার উৎপাদন করতে তেমন কোন খরচ হয় না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে নানা ভাবে এই সার তৈরি করতে প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দিচ্ছেন। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কেঁচো সার ভাল কাজ করে থাকে। এই সার ব্যবহার করে অধিক পরিমানে ফসল উৎপাদন করা যায়। রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটির জীব বৈচিত্র্যসহ জু-প্লান্ট নষ্ট হয়ে যায়। অথচ কেঁচো সার ব্যবহার করলে মাটির গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে এবং কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি বেড়ে যায়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বসতঘর ও বাড়ির আঙ্গিনার আশেপাশে মাটির চারির মধ্যে গোবর দিয়ে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হয়। উপজেলার কৃষকরা শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করার জন্য কেঁচো সার তৈরি করছে। রাসায়নিক সার ক্রয় না করে কৃষকরা জৈব সার ব্যবহার করছে। ফলে ফসলের উৎপাদন বেড়ে গেছে। এই সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক মুক্ত ফসল পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কেঁচো সার কৃষি জমিতে ব্যবহার করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। এই সার ফসলি জমিতে দেয়া হলে ফসলের ফলন বৃদ্ধিসহ রাসায়নিক মুক্ত ফসল পাওয়া যায়। উপজেলার কৃষকদেরকে জমিতে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভার্মি কম্পোস্ট সার উপজেলার কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।