alt

সিলেটের সবুজ পাহাড়ে শতবর্ষী উত্তরাধিকার বাংলাদেশের চা শিল্প

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল : শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার টিলা বেয়ে এগোলে চোখে পড়বে একটানা সবুজ সমুদ্রের মতো বিস্তৃত চা বাগান। এই পাহাড়ি টিলার সৌন্দর্য যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি এর ভেতরে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ ইতিহাস। ইতিহাসটি হলো ফিনলে চা কোম্পানি বা আনুষ্ঠানিক নাম দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড-এর, যেটি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের চা শিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ঔপনিবেশিক সূচনা : ফিনলের যাত্রা শুরু ১৮৮২ সালে, যখন যুক্তরাজ্যে গঠিত হয় নর্থ সিলেট টি কোম্পানি লিমিটেড ও সাউথ সিলেট টি কোম্পানি লিমিটেড। মাত্র চার বছরের মধ্যে এই দুই প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১৫ হাজার একরেরও বেশি জমি চা চাষের আওতায় আসে। কলকাতার ফিনলে মুইর অ্যান্ড কোম্পানি শুরু থেকেই এ বাগানের তত্ত্বাবধান করত।

১৮৯৬ সালে, দুই কোম্পানি একীভূত হয়ে গড়ে ওঠে দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড (কনসোল)। একই সময়ে কোম্পানি তাদের কার্যক্রম বিস্তার করে আসাম, দার্জিলিং, দুয়ারস, ত্রাভাঙ্কোর ও সিলন পর্যন্ত। অল্পদিনের মধ্যেই এটি গ্লাসগো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়, আর ফিনলে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ার ধরে রেখে ব্যবস্থাপনা ও এজেন্টের ভূমিকা চালিয়ে যায়।

সময়ের সাথে পাল্টে যাওয়া: ১৯৪৯ সালে কনসোলের নিয়ন্ত্রণে ছিল ৩৫,৩৮১ একর জমি, যেখানে চায়ের পাশাপাশি রাবার, নারিকেল ও টাং চাষ হতো। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান আমলে সিলেটের সম্পত্তি স্থানান্তরিত হয় দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি (পাকিস্তান) লিমিটেড-এর কাছে।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর কোম্পানি তার বর্তমান নাম গ্রহণ করে। ১৯৭৬ সালে জেমস ফিনলে পুনর্গঠন করে ভারতের বাগান বিক্রি করে দেয়, আর শ্রীলঙ্কার বাগান ইতোমধ্যেই জাতীয়করণ হয়ে যায়। ২০০৬ সালে দীর্ঘদিন ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ব্যবস্থাপনা চলে আসে বাংলাদেশভিত্তিক মালিকানায়।

ভাড়াউড়া গল্প : ফিনলে’র পাশাপাশি আরেকটি নাম বারবার উঠে আসে—ভাড়াউড়া (সিলেট) টি কোম্পানি লিমিটেড। ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি প্রথম দিকে হার্ট পরিবার পরিচালনা করলেও পরবর্তী সময়ে জেমস ফিনলে শেয়ার কিনে প্রভাব বিস্তার করে। অবশেষে ১৯৮৩ সালে, ফিনলে সম্পূর্ণ মালিকানা অর্জন করে এবং কনসোলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে পরিচালনা করতে থাকে।

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট : ফিনলে’র চা বাগানগুলো মূলত মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এগুলো ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের সীমানা সংলগ্ন। ঢাকার উত্তর-পূর্বে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে এবং শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে এর অবস্থান।

উচ্চতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ মিটার।

জলবায়ু: উষ্ণম-লীয় ও উপ-উষ্ণম-লীয় মৌসুমি।

তাপমাত্রা: শীতে সর্বনিম্ন ১০.৯২ক্কসে থেকে গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ৩১.৯৪ক্কসে।

বৃষ্টিপাত: গড়ে ১৮০–২০০ মিমি/বছর।

আর্দ্রতা: মৌসুমভেদে ৫৫%–৯১%। এই সবুজ টিলা ও অনুকূল জলবায়ুই চা উৎপাদনের মূল প্রাণশক্তি।

অবদান ও উত্তরাধিকার : ফিনলে শুধু একটি কোম্পানির নাম নয়, এটি বাংলাদেশের চা শিল্পের ইতিহাসের অংশ। চাষাবাদের বিস্তার: হাজার হাজার একর জমিকে চা বাগানে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক অবদান: রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে ও শ্রমিক কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে।

কৃষির বহুমুখীকরণ: রাবার, নারিকেল, টাং ইত্যাদি নতুন ফসলের চাষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

সামাজিক প্রভাব: চা শ্রমিক সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করে নতুন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জনপদ সৃষ্টি করেছে। আজ যখন আমরা সিলেটের টিলাভূমির দিকে তাকাই, তখন শুধু চায়ের গাছ দেখি না, দেখি শতবর্ষের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের নাম ফিনলে। ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের চা শিল্পের শীর্ষ অবস্থান পর্যন্ত—ফিনলে’র অবদান সবসময় দৃশ্যমান। প্রতিটি চুমুকে তাই শুধু চায়ের স্বাদ নয়, ইতিহাসের স্বাদও মিশে থাকে।

ছবি

কাঁঠালিয়া প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের শপথ

ছবি

রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান বিদেশি মদ উদ্ধার, প্রাইভেটকার জব্দ

ছবি

দর্শনায় ট্রেনের ধাক্কায় ভ্যানচালকের মৃত্যু

ছবি

রূপগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ছবি

টেকনাফে নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৩৮ দুই মানবপাচারকারী আটক

ছবি

ডিমলায় পাউবোর সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ

ছবি

গজারিয়ায় মহাসড়ক জুড়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের দাপট

ছবি

২২ দিন ইলিশ ধরা, বহন, বাজারজাত নিষিদ্ধ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি

ছবি

করিমগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ছবি

ফটিকছড়িতে দূর্গাপুজায় আনসার নিয়োগে কারসাজির অভিযোগ

ছবি

নবাবগঞ্জে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা

ছবি

মহাদেবপুরে নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে ডুবুরি দলের অভিযান

ছবি

মধুপুরে ছেলের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়া বাবা!

ছবি

কালীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত, আহত ২

ছবি

দশমিনায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে আমন ধান

ছবি

সীতাকুণ্ডে ট্রেনের ধাক্কায় দুই জনের মৃত্যু

ছবি

মাধবদীতে দীর্ঘ লোডশেডিং, দুর্ভোগের হাজারো মানুষ

ছবি

মাধবপুরে বিদ্যালয়ের ফ্যান চুরি, জরিমানার বোঝা দপ্তরির কাঁধে

ছবি

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রাজিবপুরে প্রতিমা বিসর্জন

ছবি

মুন্সীগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

ছবি

থ্রি হুইলারের দখলে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক

ছবি

শেরপুরে অটোচালক হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

নোয়াখালীতে সাড়ে তিন কেজির ইলিশ সাড়ে বারো হাজার টাকায় বিক্রি

ছবি

নাটোরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মাছ ব্যবসায়ী নিহত

ছবি

রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নারী নিহত, আহত ১৫

ছবি

সেতুর অভাবে ৯টি ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন কলমা ইউনিয়ন

ছবি

শেরপুরে প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ

ছবি

দশমিনায় ঐতিহ্যের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় জনতার ঢল

ছবি

দাউদকান্দিতে রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা বাস্তবায়ন কর্মশালা

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে সাবেক ইউপি মেম্বারের ছেলে আহত

ছবি

উদ্যোক্তা কাজী আনিছ কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রিতে সফল

ছবি

মাধবদীতে শেষ হলো দুর্গোৎসব

ছবি

শুরু হলো ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস খাদে নিহত ১, আহত ১৫

ছবি

যশোরের কুয়াদা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে দুটি দোকান পুড়ে ছাই

tab

সিলেটের সবুজ পাহাড়ে শতবর্ষী উত্তরাধিকার বাংলাদেশের চা শিল্প

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার টিলা বেয়ে এগোলে চোখে পড়বে একটানা সবুজ সমুদ্রের মতো বিস্তৃত চা বাগান। এই পাহাড়ি টিলার সৌন্দর্য যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি এর ভেতরে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ ইতিহাস। ইতিহাসটি হলো ফিনলে চা কোম্পানি বা আনুষ্ঠানিক নাম দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড-এর, যেটি এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের চা শিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ঔপনিবেশিক সূচনা : ফিনলের যাত্রা শুরু ১৮৮২ সালে, যখন যুক্তরাজ্যে গঠিত হয় নর্থ সিলেট টি কোম্পানি লিমিটেড ও সাউথ সিলেট টি কোম্পানি লিমিটেড। মাত্র চার বছরের মধ্যে এই দুই প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১৫ হাজার একরেরও বেশি জমি চা চাষের আওতায় আসে। কলকাতার ফিনলে মুইর অ্যান্ড কোম্পানি শুরু থেকেই এ বাগানের তত্ত্বাবধান করত।

১৮৯৬ সালে, দুই কোম্পানি একীভূত হয়ে গড়ে ওঠে দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড (কনসোল)। একই সময়ে কোম্পানি তাদের কার্যক্রম বিস্তার করে আসাম, দার্জিলিং, দুয়ারস, ত্রাভাঙ্কোর ও সিলন পর্যন্ত। অল্পদিনের মধ্যেই এটি গ্লাসগো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়, আর ফিনলে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ার ধরে রেখে ব্যবস্থাপনা ও এজেন্টের ভূমিকা চালিয়ে যায়।

সময়ের সাথে পাল্টে যাওয়া: ১৯৪৯ সালে কনসোলের নিয়ন্ত্রণে ছিল ৩৫,৩৮১ একর জমি, যেখানে চায়ের পাশাপাশি রাবার, নারিকেল ও টাং চাষ হতো। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান আমলে সিলেটের সম্পত্তি স্থানান্তরিত হয় দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি (পাকিস্তান) লিমিটেড-এর কাছে।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর কোম্পানি তার বর্তমান নাম গ্রহণ করে। ১৯৭৬ সালে জেমস ফিনলে পুনর্গঠন করে ভারতের বাগান বিক্রি করে দেয়, আর শ্রীলঙ্কার বাগান ইতোমধ্যেই জাতীয়করণ হয়ে যায়। ২০০৬ সালে দীর্ঘদিন ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ব্যবস্থাপনা চলে আসে বাংলাদেশভিত্তিক মালিকানায়।

ভাড়াউড়া গল্প : ফিনলে’র পাশাপাশি আরেকটি নাম বারবার উঠে আসে—ভাড়াউড়া (সিলেট) টি কোম্পানি লিমিটেড। ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি প্রথম দিকে হার্ট পরিবার পরিচালনা করলেও পরবর্তী সময়ে জেমস ফিনলে শেয়ার কিনে প্রভাব বিস্তার করে। অবশেষে ১৯৮৩ সালে, ফিনলে সম্পূর্ণ মালিকানা অর্জন করে এবং কনসোলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে পরিচালনা করতে থাকে।

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট : ফিনলে’র চা বাগানগুলো মূলত মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এগুলো ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের সীমানা সংলগ্ন। ঢাকার উত্তর-পূর্বে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে এবং শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে এর অবস্থান।

উচ্চতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ মিটার।

জলবায়ু: উষ্ণম-লীয় ও উপ-উষ্ণম-লীয় মৌসুমি।

তাপমাত্রা: শীতে সর্বনিম্ন ১০.৯২ক্কসে থেকে গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ৩১.৯৪ক্কসে।

বৃষ্টিপাত: গড়ে ১৮০–২০০ মিমি/বছর।

আর্দ্রতা: মৌসুমভেদে ৫৫%–৯১%। এই সবুজ টিলা ও অনুকূল জলবায়ুই চা উৎপাদনের মূল প্রাণশক্তি।

অবদান ও উত্তরাধিকার : ফিনলে শুধু একটি কোম্পানির নাম নয়, এটি বাংলাদেশের চা শিল্পের ইতিহাসের অংশ। চাষাবাদের বিস্তার: হাজার হাজার একর জমিকে চা বাগানে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক অবদান: রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে ও শ্রমিক কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে।

কৃষির বহুমুখীকরণ: রাবার, নারিকেল, টাং ইত্যাদি নতুন ফসলের চাষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

সামাজিক প্রভাব: চা শ্রমিক সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করে নতুন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জনপদ সৃষ্টি করেছে। আজ যখন আমরা সিলেটের টিলাভূমির দিকে তাকাই, তখন শুধু চায়ের গাছ দেখি না, দেখি শতবর্ষের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের নাম ফিনলে। ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের চা শিল্পের শীর্ষ অবস্থান পর্যন্ত—ফিনলে’র অবদান সবসময় দৃশ্যমান। প্রতিটি চুমুকে তাই শুধু চায়ের স্বাদ নয়, ইতিহাসের স্বাদও মিশে থাকে।

back to top