ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি হওয়া ৪টি বৈদ্যুতিক ফ্যানের দায় চাপানো হয়েছে হতদরিদ্র দপ্তরি কাম প্রহরীর উপর। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চলছে তীব্র সমালোচনা।
জানা যায়, দেড় মাস আগে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রাতে তালা ভেঙ্গে চারটি ফ্যান নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরচক্র। কিন্তু সে সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি করেনি। পরে চুরির দায় এসে পড়ে স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরী সাইদুর রহমানের ঘাড়ে।
অত্যন্ত ঋণগ্রস্ত ও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ সাইদুর রহমান বলেন, পুরুষ মানুষকে কখনো কাঁদতে দেখেছেন? আমি অভাবে-অপমানে প্রতিদিন কাঁদি। চুরি করেছে অন্য কেউ, অথচ দায় চাপানো হয়েছে আমার উপর। এলাকায় কেউই বিশ্বাস করবে না আমি চুরি করেছি।
ফ্যান কেনার জন্য তাকে বাধ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফ্যান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগম জিম্মা হয়ে দোকান থেকে বাকিতে নিয়েছেন। বাকি দুটি ফ্যানও দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল বলেন, আমার জানা মতে সাইদুর অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার উপর জরিমানা চাপিয়ে দিলে সে চোর বনে যাবে। প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিষয়টি তদন্ত করে দেখা জরুরি।
প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগম জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে তখন জিডি করা হয়নি। আমার দপ্তরি খুব ভালো মানুষ। আমি দোকান থেকে দুটি ফ্যান বাকিতে এনে দিয়েছি। মূল্য পরিশোধ না করলে আমাকেই দিতে হবে।
এদিকে জানা গেছে, চলতি বছরেই উপজেলায় আরও ৫/১০টি বিদ্যালয়ে ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় থানায় জিডি হলেও কোনো বিদ্যালয়ে দপ্তরির উপর দায় চাপানোর নজির নেই।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, চুরি হওয়ার পরপরই আমরা প্রধান শিক্ষিকাকে জিডি করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোর নিরাপত্তা জোরদার ও চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনার সমাধানের জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে থানায় পুনরায় মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, চুরির ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে একজন নিম্নবেতনভুক্ত দপ্তরির উপর দায় চাপানো অমানবিক ও অন্যায়। এছাড়া এ ঘটনায় দপ্তরী কাম প্রহরীদের পেশাজীবী সংগঠন থেকেও নিন্দা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি হওয়া ৪টি বৈদ্যুতিক ফ্যানের দায় চাপানো হয়েছে হতদরিদ্র দপ্তরি কাম প্রহরীর উপর। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চলছে তীব্র সমালোচনা।
জানা যায়, দেড় মাস আগে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রাতে তালা ভেঙ্গে চারটি ফ্যান নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরচক্র। কিন্তু সে সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি করেনি। পরে চুরির দায় এসে পড়ে স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরী সাইদুর রহমানের ঘাড়ে।
অত্যন্ত ঋণগ্রস্ত ও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ সাইদুর রহমান বলেন, পুরুষ মানুষকে কখনো কাঁদতে দেখেছেন? আমি অভাবে-অপমানে প্রতিদিন কাঁদি। চুরি করেছে অন্য কেউ, অথচ দায় চাপানো হয়েছে আমার উপর। এলাকায় কেউই বিশ্বাস করবে না আমি চুরি করেছি।
ফ্যান কেনার জন্য তাকে বাধ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফ্যান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগম জিম্মা হয়ে দোকান থেকে বাকিতে নিয়েছেন। বাকি দুটি ফ্যানও দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল বলেন, আমার জানা মতে সাইদুর অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার উপর জরিমানা চাপিয়ে দিলে সে চোর বনে যাবে। প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিষয়টি তদন্ত করে দেখা জরুরি।
প্রধান শিক্ষিকা জায়েদা বেগম জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে তখন জিডি করা হয়নি। আমার দপ্তরি খুব ভালো মানুষ। আমি দোকান থেকে দুটি ফ্যান বাকিতে এনে দিয়েছি। মূল্য পরিশোধ না করলে আমাকেই দিতে হবে।
এদিকে জানা গেছে, চলতি বছরেই উপজেলায় আরও ৫/১০টি বিদ্যালয়ে ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় থানায় জিডি হলেও কোনো বিদ্যালয়ে দপ্তরির উপর দায় চাপানোর নজির নেই।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, চুরি হওয়ার পরপরই আমরা প্রধান শিক্ষিকাকে জিডি করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোর নিরাপত্তা জোরদার ও চুরি প্রতিরোধে সিসিটিভির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনার সমাধানের জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে থানায় পুনরায় মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, চুরির ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে একজন নিম্নবেতনভুক্ত দপ্তরির উপর দায় চাপানো অমানবিক ও অন্যায়। এছাড়া এ ঘটনায় দপ্তরী কাম প্রহরীদের পেশাজীবী সংগঠন থেকেও নিন্দা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।