ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোহাম্মদ আলী আসলাম (৪৮) নামে জামায়াতের এক নেতার বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা মোসাম্মৎ শিল্পী নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ আলী আসলামের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলা করেছেন। মোহাম্মদ আলী আসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা গ্রামের বাসিন্দা এবং জামায়াত ইসলামীর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর এলাকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মোসাম্মৎ শিল্পী জামায়াত নেতা নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমি অসহায় একজন মানুষ, প্যারাগণ হাসপাতালে সামান্য একটি চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহম্মদ আলী আমার মেয়েকে তার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। ভয়ে আমার মেয়ে কাউকে কিছু বলে না। হঠাৎ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এরপর আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পর জানতে পারি এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। বর্তমানে আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
শিল্পী আরও বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নৈতিকতা ও শালীনতার প্রতীক হওয়ার কথা। কিন্তু তার কাছ থেকে এ ধরনের জঘন্য আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনা শুধু আমার মেয়ের মানসিক ও সামাজিক জীবনে আঘাত করেনি বরং গোটা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার এ প্রিন্সিপাল জামায়াতের নেতা বলে পরিচয় দেয় এবং তার ক্ষমতার দাপটে আমাদের ভয়ভীতি দেখান।
এসময় তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, দ্রুত অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে পদচ্যুত করতে হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে আমার মেয়ের নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জামায়াত ইসলামীর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোহাম্মদ আলী আসলাম (৪৮) নামে জামায়াতের এক নেতার বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা মোসাম্মৎ শিল্পী নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ আলী আসলামের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলা করেছেন। মোহাম্মদ আলী আসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা গ্রামের বাসিন্দা এবং জামায়াত ইসলামীর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর এলাকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মোসাম্মৎ শিল্পী জামায়াত নেতা নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমি অসহায় একজন মানুষ, প্যারাগণ হাসপাতালে সামান্য একটি চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ আইডিয়াল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহম্মদ আলী আমার মেয়েকে তার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। ভয়ে আমার মেয়ে কাউকে কিছু বলে না। হঠাৎ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। এরপর আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পর জানতে পারি এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা। বর্তমানে আমার মেয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছুক্ষণ পর পর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
শিল্পী আরও বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নৈতিকতা ও শালীনতার প্রতীক হওয়ার কথা। কিন্তু তার কাছ থেকে এ ধরনের জঘন্য আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনা শুধু আমার মেয়ের মানসিক ও সামাজিক জীবনে আঘাত করেনি বরং গোটা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার এ প্রিন্সিপাল জামায়াতের নেতা বলে পরিচয় দেয় এবং তার ক্ষমতার দাপটে আমাদের ভয়ভীতি দেখান।
এসময় তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, দ্রুত অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে পদচ্যুত করতে হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে আমার মেয়ের নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জামায়াত ইসলামীর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলা হয়েছে।