বাংলাদেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ অংশের ১৩ কিলোমিটার যেন অনিয়ন্ত্রিত। উল্লিখিত অংশে প্রায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়াসহব নির্বিঘ্নে চলাচল করছে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার যানবাহন।
এতে হতাহত হচ্ছেন পথচারী, যাত্রী, চালকসহ অনেকেই। উচ্চ আদালত বাংলাদেশের জাতীয় কয়েকটি মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ লেগুনা, নছিমন, ট্রাক্টর, ভটভটি ও মাহেদ্রজাতীয় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করার পরও মহাসড়কের গজারিয়া অংশে চলাচল থেমে নেই ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন যানবাহনের।
মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনসহ তিন চাকা বিশিষ্ট নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল যেনো, কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায়, চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও নছিমন, মাহেদ্রজাতীয় দানবীয় যানবাহন দাপিয়ে বেড়ায় গজারিয়ার সড়ক-মহাসড়ক। সরকারী নিয়ম- নীতি উপেক্ষা করে ইট-বালু রড সিমেন্ট পরিবহন ও বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে উল্লিখিত যানসমূহ। স্থানীয়দের দাবী, প্রশাসন ও পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে নিষিদ্ধ যানবাহনের অবাধে চলাচল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা,দীর্ঘ যানজট ও নির্বিঘ্নে থ্রি হুইলার চলাচল করাসহ কারখানা শ্রমিক ও পথচারীরা ছিনতাইয়ের শিকার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সরজমিনে গজারিয়া অংশে মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়ক জুড়ে থ্রি-হুইলার (সিএনজি, রিকশা, অটোরিকশা) নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
একাধিক স্ট্যান্ডে যেখানে-সেখানে নিষিদ্ধ গাড়ি পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করছে, কিন্তু মহাসড়কের ওই অংশে হাইওয়ে পুলিশের কোন কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মহাসড়কটির ভবেরচর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অর্ধ কিলোমিটারেরও কম দুরত্বে অবস্থিত হলেও বাসষ্ট্যান্ডটি হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ থ্রিহুইলার যানবাহনের অভয়ারণ্য।
মহাসড়কের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ বক্স থাকলেও সেখানে পুলিশের কার্যক্রম দেখা যায় না দাবী করে স্হানীয়রা বলেন, এখন ভবঘুর আর রাতে নেশাখোরদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে এটি। মহাসড়কের জামালদী বাসষ্ট্যান্ড হতে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন অংশে উল্টা পথে ঝুঁকি নিয়ে বিপদজনক ভাবে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার চলাচল করতে দেখা গেছে। বালুয়াকান্দী, ভাটেরচর, ভবেরচর, মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের অংশে জুড়ে থ্রি হুইলার পার্কিং করে রাখা থাকে বলে স্হানীয় সূত্র জানিয়েছে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মহাসড়ক জুড়ে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৌরাত্ম্য।
প্রশাসনের অভিযানের পরও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। নিষিদ্ধ ঘোষিত তিন চাকার এসব যানবাহনের বেপরোয়া গতি আর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বেড়ে চলেছে সড়ক দর্ঘটনাজনিত প্রাণহানি।
চলতি বছরের দশ মাসে মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ছোট- বড় অর্ধশতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে এতে ২৫ জনের অধিক মানুষের প্রানহানি ও শতাধিক সংখ্যক যাত্রী-পথচারী আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাইকার ও তাদের সহযাত্রী নিহতের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অধিক বলেও সূত্রের দাবী।
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যান চলাচলে সমস্যার কথা তুলে জানালেন দুরপাল্লার দ্রুতগতির পরিবহন সংশ্লিষ্ট চালক-শ্রমিকেরা , তাদের দাবী, মহাসড়কের গজারিয়া অংশ জুড়ে থ্রি হুইলার ও মাহেন্দ্র জাতীয় যানবাহন চলাচল করায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে না পারলে সড়কে ভোগান্তি কমবে না, বরং দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
তাদের অভিযোগ, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার উল্টোপথে চলাচলসহ চালেকরা ফিডার রোড (সংযোগ সড়ক) থেকে হুট করে মহাসড়কের ঢুকে পড়েন, এ সময় দুরপাল্লার যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয় না, এতে ঘটে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া থ্রি হুইলার চালকেরা যেখানে-সেখানে যাত্রী নিয়ে পার্কিং করে দাঁড়িয়ে যায়। এতে মহাসড়কে বড় গাড়ি চালাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালকদের।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শওকত আলী জানিয়েছে, মহাসড়কে চলাচলকারী সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গজারিয়া উপজেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সহায়তা চাইলে তারা তা করবেন।
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ অংশের ১৩ কিলোমিটার যেন অনিয়ন্ত্রিত। উল্লিখিত অংশে প্রায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়াসহব নির্বিঘ্নে চলাচল করছে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার যানবাহন।
এতে হতাহত হচ্ছেন পথচারী, যাত্রী, চালকসহ অনেকেই। উচ্চ আদালত বাংলাদেশের জাতীয় কয়েকটি মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ লেগুনা, নছিমন, ট্রাক্টর, ভটভটি ও মাহেদ্রজাতীয় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করার পরও মহাসড়কের গজারিয়া অংশে চলাচল থেমে নেই ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন যানবাহনের।
মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনসহ তিন চাকা বিশিষ্ট নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল যেনো, কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায়, চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও নছিমন, মাহেদ্রজাতীয় দানবীয় যানবাহন দাপিয়ে বেড়ায় গজারিয়ার সড়ক-মহাসড়ক। সরকারী নিয়ম- নীতি উপেক্ষা করে ইট-বালু রড সিমেন্ট পরিবহন ও বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে উল্লিখিত যানসমূহ। স্থানীয়দের দাবী, প্রশাসন ও পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে নিষিদ্ধ যানবাহনের অবাধে চলাচল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা,দীর্ঘ যানজট ও নির্বিঘ্নে থ্রি হুইলার চলাচল করাসহ কারখানা শ্রমিক ও পথচারীরা ছিনতাইয়ের শিকার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সরজমিনে গজারিয়া অংশে মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়ক জুড়ে থ্রি-হুইলার (সিএনজি, রিকশা, অটোরিকশা) নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
একাধিক স্ট্যান্ডে যেখানে-সেখানে নিষিদ্ধ গাড়ি পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করছে, কিন্তু মহাসড়কের ওই অংশে হাইওয়ে পুলিশের কোন কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মহাসড়কটির ভবেরচর বাসষ্ট্যান্ড এলাকা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অর্ধ কিলোমিটারেরও কম দুরত্বে অবস্থিত হলেও বাসষ্ট্যান্ডটি হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ থ্রিহুইলার যানবাহনের অভয়ারণ্য।
মহাসড়কের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ বক্স থাকলেও সেখানে পুলিশের কার্যক্রম দেখা যায় না দাবী করে স্হানীয়রা বলেন, এখন ভবঘুর আর রাতে নেশাখোরদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে এটি। মহাসড়কের জামালদী বাসষ্ট্যান্ড হতে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন অংশে উল্টা পথে ঝুঁকি নিয়ে বিপদজনক ভাবে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার চলাচল করতে দেখা গেছে। বালুয়াকান্দী, ভাটেরচর, ভবেরচর, মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের অংশে জুড়ে থ্রি হুইলার পার্কিং করে রাখা থাকে বলে স্হানীয় সূত্র জানিয়েছে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মহাসড়ক জুড়ে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৌরাত্ম্য।
প্রশাসনের অভিযানের পরও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। নিষিদ্ধ ঘোষিত তিন চাকার এসব যানবাহনের বেপরোয়া গতি আর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বেড়ে চলেছে সড়ক দর্ঘটনাজনিত প্রাণহানি।
চলতি বছরের দশ মাসে মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ছোট- বড় অর্ধশতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে এতে ২৫ জনের অধিক মানুষের প্রানহানি ও শতাধিক সংখ্যক যাত্রী-পথচারী আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাইকার ও তাদের সহযাত্রী নিহতের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অধিক বলেও সূত্রের দাবী।
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যান চলাচলে সমস্যার কথা তুলে জানালেন দুরপাল্লার দ্রুতগতির পরিবহন সংশ্লিষ্ট চালক-শ্রমিকেরা , তাদের দাবী, মহাসড়কের গজারিয়া অংশ জুড়ে থ্রি হুইলার ও মাহেন্দ্র জাতীয় যানবাহন চলাচল করায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে না পারলে সড়কে ভোগান্তি কমবে না, বরং দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
তাদের অভিযোগ, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার উল্টোপথে চলাচলসহ চালেকরা ফিডার রোড (সংযোগ সড়ক) থেকে হুট করে মহাসড়কের ঢুকে পড়েন, এ সময় দুরপাল্লার যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয় না, এতে ঘটে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া থ্রি হুইলার চালকেরা যেখানে-সেখানে যাত্রী নিয়ে পার্কিং করে দাঁড়িয়ে যায়। এতে মহাসড়কে বড় গাড়ি চালাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালকদের।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শওকত আলী জানিয়েছে, মহাসড়কে চলাচলকারী সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গজারিয়া উপজেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সহায়তা চাইলে তারা তা করবেন।