ঘিওর (মানিকগঞ্জ) : সেতু না থাকায় খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছে মানুষজন -সংবাদ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী-বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিবাহিত হবার পরেও নির্মান করা হয়নি সেতু। প্রতি দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাশেঁর সাঁকোর উপর দিয়ে নৌকায় করে ৪টি উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজনকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের অধিক ভাড়া ব্যয় করে মালামাল ও নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সিংজুরী ইউনিয়ন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দুরে কালীগঙ্গা নদী। বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। সিংজুরী ইউনিয়নের বিল্লালাই, গোবিন্দ্রপুর, বেড়াডাঙ্গা, দেবতাঘড়ি, চরশিমুলিয়া, চরমির্জাপুর, মির্জাপুর, বৈলতলা, ব্রাম্বনগাও, কিষ্টনগর, নাটুয়াবাড়ি, শিহরপুর, কাশেমপুর এবং এ রাস্তা দিয়ে নাগরপুর, দৌলতপুর, সাটুরিয়াসহ ৪টি উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন সরাসরি যাতায়াত করতে পারেনা। অটোরিশকা, মোটরসাইকেল, সিএনজি মাঝেমধ্যে নদীতে পরে যায়। সারা বছর দুঃখ কষ্ট করে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাশেঁর সাকোঁ ও নৌকায় করে চলাচল করতে হয়। প্রসুতী, মা ও জরুরী রোগীদের হাসপাতালে নিতে হলে দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা। স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার লোকজনের উদ্যোগে সিংজুরী- বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের শাঁকো নির্মান করা হয়। এই শাঁকোর উপর দিয়ে প্রায় ৫/৬মাস এলাকার লোকজন যাতায়াত করে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ন বাশেঁর শাঁকোর স্থানে দীর্ঘ দিনেও সরকারিভাবে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর ও বালিয়াবাধা নদীর ওপরে ২০২২ সালে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মান করা হয়।
এপ্রোচ সড়ক এবং ভ’মি অধিকরনের টাকা জমির মালিকদের না দেওয়ায় সেতুটি মুখ থুবরে পরে আছে। দুইটি ভাঁঙ্গন পারি দিয়ে এলাকার লোকজনকে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের লোকজনের বন্যা মৌসুমে দুঃখ কষ্ট করে খেয়া নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। সিংজুরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুর রহমান মিঠু বলেন, সিংজুরী- বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি নির্মান করা হয়নি। এলাকার লোকজনকে অনেক কষ্ট করে ঘিওর সদরে যেতে হচ্ছে। নাগরপুর, দৌলতপুর, সাটুরিয়াসহ ৪টি উপজেলার লোকজন অনেক কষ্ট করে মানিকগঞ্জ, ঢাকা যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মান করা হলেই আমাদের সকল প্রকার যোগাযোগের মাধ্যম সহজ হবে। বৈকন্ঠপুর গ্রামের রফিক ও জামাল শেখ বলেন, নদীর এপারে আমার বাড়ি।
চাষাবাদ করতে হয় নদীন ওপারে। প্রতিদিন তিন চারবার আমাকে নদীর ওপারে যেতে হয়। প্রতিবার ১০টাকা করে খেয়াভাড়া দিতে হয়। বছরের পর বছর সেতুর জন্য অপেক্ষা করছি। সেতুটি নির্মান করা হলে আমাদের এই অঞ্চলের হাজার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা হতো উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিনুজ্জামান জানান, আমি কালীগঙ্গা নদী পরিদর্শন করেছি। সিংজুরী- বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে সেতু নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সেতু নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকার সুশিল সমাজসহ ভুক্তভোগী লোকজন সেতুটি নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেক কামনা করছেন।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ) : সেতু না থাকায় খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছে মানুষজন -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী-বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিবাহিত হবার পরেও নির্মান করা হয়নি সেতু। প্রতি দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাশেঁর সাঁকোর উপর দিয়ে নৌকায় করে ৪টি উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজনকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের অধিক ভাড়া ব্যয় করে মালামাল ও নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সিংজুরী ইউনিয়ন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দুরে কালীগঙ্গা নদী। বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। সিংজুরী ইউনিয়নের বিল্লালাই, গোবিন্দ্রপুর, বেড়াডাঙ্গা, দেবতাঘড়ি, চরশিমুলিয়া, চরমির্জাপুর, মির্জাপুর, বৈলতলা, ব্রাম্বনগাও, কিষ্টনগর, নাটুয়াবাড়ি, শিহরপুর, কাশেমপুর এবং এ রাস্তা দিয়ে নাগরপুর, দৌলতপুর, সাটুরিয়াসহ ৪টি উপজেলার ২৫/৩০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন সরাসরি যাতায়াত করতে পারেনা। অটোরিশকা, মোটরসাইকেল, সিএনজি মাঝেমধ্যে নদীতে পরে যায়। সারা বছর দুঃখ কষ্ট করে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাশেঁর সাকোঁ ও নৌকায় করে চলাচল করতে হয়। প্রসুতী, মা ও জরুরী রোগীদের হাসপাতালে নিতে হলে দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা। স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার লোকজনের উদ্যোগে সিংজুরী- বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের শাঁকো নির্মান করা হয়। এই শাঁকোর উপর দিয়ে প্রায় ৫/৬মাস এলাকার লোকজন যাতায়াত করে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ন বাশেঁর শাঁকোর স্থানে দীর্ঘ দিনেও সরকারিভাবে সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর ও বালিয়াবাধা নদীর ওপরে ২০২২ সালে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মান করা হয়।
এপ্রোচ সড়ক এবং ভ’মি অধিকরনের টাকা জমির মালিকদের না দেওয়ায় সেতুটি মুখ থুবরে পরে আছে। দুইটি ভাঁঙ্গন পারি দিয়ে এলাকার লোকজনকে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের লোকজনের বন্যা মৌসুমে দুঃখ কষ্ট করে খেয়া নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। সিংজুরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুর রহমান মিঠু বলেন, সিংজুরী- বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হবার পরেও সেতুটি নির্মান করা হয়নি। এলাকার লোকজনকে অনেক কষ্ট করে ঘিওর সদরে যেতে হচ্ছে। নাগরপুর, দৌলতপুর, সাটুরিয়াসহ ৪টি উপজেলার লোকজন অনেক কষ্ট করে মানিকগঞ্জ, ঢাকা যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মান করা হলেই আমাদের সকল প্রকার যোগাযোগের মাধ্যম সহজ হবে। বৈকন্ঠপুর গ্রামের রফিক ও জামাল শেখ বলেন, নদীর এপারে আমার বাড়ি।
চাষাবাদ করতে হয় নদীন ওপারে। প্রতিদিন তিন চারবার আমাকে নদীর ওপারে যেতে হয়। প্রতিবার ১০টাকা করে খেয়াভাড়া দিতে হয়। বছরের পর বছর সেতুর জন্য অপেক্ষা করছি। সেতুটি নির্মান করা হলে আমাদের এই অঞ্চলের হাজার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা হতো উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিনুজ্জামান জানান, আমি কালীগঙ্গা নদী পরিদর্শন করেছি। সিংজুরী- বালিয়াবাধা কালীগঙ্গা নদীর উপরে সেতু নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সেতু নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকার সুশিল সমাজসহ ভুক্তভোগী লোকজন সেতুটি নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেক কামনা করছেন।