ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার হোমনায় খেয়াঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষারত দুইবোনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাণ গেল বজ্রপাতে। এই ঘটনার পরই পরিবারগুলোর পাশাপাশি এলাকায় ও ভার্সিটি হলে চলছে শোকের মাতম। একই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুইজন। উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর খেয়াঘাটে বিকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মাঝে হঠাৎ বজ্রপাতে এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের নালাদক্ষিন গ্রামের হাজ্বী মৃত মতিউর রহমান মতি মিয়ার দুই মেয়ে মমতাজ আক্তার (৩৭) ও জাকিয়া সুলতানা (২৩) এবং আসাদপুর ইউনিয়নের খোদেদাউদপুর গ্রামের সৌদী প্রবাসী রাহিনুর ইসলামের ছেলে মোঃ রাসেদুল ইসলাম (২৩)। ঘটনায় আহত অটোরিকশাচালক ছামাদ মিয়া ও বাবুল মিয়াকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহত মো. রাসেদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলো এবং জাকিয়া সুলতানা ২০১৫ ব্যাচের এসএসসি শিক্ষার্থী ও মহাখালি হাসপাতাল থেকে ডিপ্লোমা নার্সিং ও সনোলজিষ্টে বিদ্যায় শিক্ষার্থী ছিলো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, জগড়ারচরের কুয়েত প্রবাসী সফিকুল ইসলামের স্ত্রী নিহত মমতাজ বেগম বাবার বাড়ী থেকে ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গোদারাঘাট হয়ে বাড়ীতে যাচ্ছিলেন এবং রাসেদুল বাঞ্ছারামপুরের উজানচর হয়ে নরসিংদি দিয়ে ময়মনসিংহ যাবার জন্য সকলেই নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে ৩জনই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় এবং পাশের অটোচালক দু’জন আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেন এবং ফেসবুকে প্রচার করেন। পরে রাসেদুলের পরিচয় সনাক্ত হয়।
নিহত মমতাজের এ স্বামী কুয়েত প্রবাসী ও এক ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন। এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনায় দুলালপুর ইউনিয়নের জগড়ারচরেও চলছে শোকের মাতম। নিহত রাসেদুল ইসলামের চাচা মো. হারুন মিয়া জানান, ভাতিজা আজ সকালে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই ভবানিপুর খেয়াঘাটে বজ্রপাতে আমার ভাতিজা সেখানে মারা গেছে। নিহত মমতাজ ও জাকিয়া সুলতানার আত্মীয় আক্তার হোসেন বলেন, আল্লাহ তাদের হায়াত এ পর্যন্ত রেখেছিলেন। মমতাজের স্বামী কুয়েত থেকে রাতের ফ্লাইটে দেশে আসলে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। দুই বোন অনেক পর্দাশীল ছিলেন। আল্লাহ যেনো তাদেরকে জান্নাতবাসী করেন। হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, বজ্রপাতে রাসেদুল নামে এক এক যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে, তাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে দেখা যায় সে পূর্বে মারা গিয়েছে।
হোমনা থানার (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বজ্রপাতে ৩জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার হোমনায় খেয়াঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষারত দুইবোনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাণ গেল বজ্রপাতে। এই ঘটনার পরই পরিবারগুলোর পাশাপাশি এলাকায় ও ভার্সিটি হলে চলছে শোকের মাতম। একই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুইজন। উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর খেয়াঘাটে বিকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মাঝে হঠাৎ বজ্রপাতে এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের নালাদক্ষিন গ্রামের হাজ্বী মৃত মতিউর রহমান মতি মিয়ার দুই মেয়ে মমতাজ আক্তার (৩৭) ও জাকিয়া সুলতানা (২৩) এবং আসাদপুর ইউনিয়নের খোদেদাউদপুর গ্রামের সৌদী প্রবাসী রাহিনুর ইসলামের ছেলে মোঃ রাসেদুল ইসলাম (২৩)। ঘটনায় আহত অটোরিকশাচালক ছামাদ মিয়া ও বাবুল মিয়াকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহত মো. রাসেদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলো এবং জাকিয়া সুলতানা ২০১৫ ব্যাচের এসএসসি শিক্ষার্থী ও মহাখালি হাসপাতাল থেকে ডিপ্লোমা নার্সিং ও সনোলজিষ্টে বিদ্যায় শিক্ষার্থী ছিলো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, জগড়ারচরের কুয়েত প্রবাসী সফিকুল ইসলামের স্ত্রী নিহত মমতাজ বেগম বাবার বাড়ী থেকে ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গোদারাঘাট হয়ে বাড়ীতে যাচ্ছিলেন এবং রাসেদুল বাঞ্ছারামপুরের উজানচর হয়ে নরসিংদি দিয়ে ময়মনসিংহ যাবার জন্য সকলেই নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে ৩জনই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় এবং পাশের অটোচালক দু’জন আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেন এবং ফেসবুকে প্রচার করেন। পরে রাসেদুলের পরিচয় সনাক্ত হয়।
নিহত মমতাজের এ স্বামী কুয়েত প্রবাসী ও এক ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন। এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনায় দুলালপুর ইউনিয়নের জগড়ারচরেও চলছে শোকের মাতম। নিহত রাসেদুল ইসলামের চাচা মো. হারুন মিয়া জানান, ভাতিজা আজ সকালে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই ভবানিপুর খেয়াঘাটে বজ্রপাতে আমার ভাতিজা সেখানে মারা গেছে। নিহত মমতাজ ও জাকিয়া সুলতানার আত্মীয় আক্তার হোসেন বলেন, আল্লাহ তাদের হায়াত এ পর্যন্ত রেখেছিলেন। মমতাজের স্বামী কুয়েত থেকে রাতের ফ্লাইটে দেশে আসলে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। দুই বোন অনেক পর্দাশীল ছিলেন। আল্লাহ যেনো তাদেরকে জান্নাতবাসী করেন। হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, বজ্রপাতে রাসেদুল নামে এক এক যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে, তাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে দেখা যায় সে পূর্বে মারা গিয়েছে।
হোমনা থানার (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বজ্রপাতে ৩জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।