কুমিল্লা : হাসপাতালের (কুমেক) ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক -সংবাদ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। এসময় হাসপাতালের কেনাকাটার বেশ কিছু নথিপত্র পর্যালোচনা করে কেনাকাটায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক নাজমুল হাসান। ওই হাসপাতালে অভিযান ও অনুসন্ধান শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
জানা যায়, হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের। এরপরই রবিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি দল হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালায়। এসময় তারা পরিচালকের কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র, ওষুধের স্টোর রুমের মজুদ এবং কেনাকাটা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। এছাড়াও অনিয়মের বিষয়ে তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজ এর কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং নথি তলব করেন। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ- পরিচালক মো. নাজমুল হাসান জানান, তিনটি ওষুধ কেনাকাটায় কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে যে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা দুর্নীতি দমন কমিশন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন করা হবে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, দুদক কর্মকর্তারা ওষুধ কেনাকাটার বিভিন্ন তথ্য ও নথি দেখতে চেয়েছেন। আমরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কেনাকাটায় কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। উল্লেখ্য, এর আগে সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় নিয়ে ওই হাসপাতালে প্রতিবাদ সমাবেশ ড্যাবের নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ, কুমিল্লা মহানগর ড্যাব সভাপতি এম এম হাসানসহ কমিটির অন্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হলে তাদেরকে অপসারণের জন্য দাবিও তোলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে অনিয়মের ঘটনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ - ড্যাব এর নেতৃবৃন্দদের নাম সংশ্লিষ্ট থাকায় কেন্দ্র থেকে এই সংগঠনটির কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
কুমিল্লা : হাসপাতালের (কুমেক) ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের অনুসন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। এসময় হাসপাতালের কেনাকাটার বেশ কিছু নথিপত্র পর্যালোচনা করে কেনাকাটায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক নাজমুল হাসান। ওই হাসপাতালে অভিযান ও অনুসন্ধান শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
জানা যায়, হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের। এরপরই রবিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি দল হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালায়। এসময় তারা পরিচালকের কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র, ওষুধের স্টোর রুমের মজুদ এবং কেনাকাটা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। এছাড়াও অনিয়মের বিষয়ে তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজ এর কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং নথি তলব করেন। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ- পরিচালক মো. নাজমুল হাসান জানান, তিনটি ওষুধ কেনাকাটায় কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে যে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা দুর্নীতি দমন কমিশন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন করা হবে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, দুদক কর্মকর্তারা ওষুধ কেনাকাটার বিভিন্ন তথ্য ও নথি দেখতে চেয়েছেন। আমরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কেনাকাটায় কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। উল্লেখ্য, এর আগে সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় নিয়ে ওই হাসপাতালে প্রতিবাদ সমাবেশ ড্যাবের নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ, কুমিল্লা মহানগর ড্যাব সভাপতি এম এম হাসানসহ কমিটির অন্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হলে তাদেরকে অপসারণের জন্য দাবিও তোলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে অনিয়মের ঘটনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ - ড্যাব এর নেতৃবৃন্দদের নাম সংশ্লিষ্ট থাকায় কেন্দ্র থেকে এই সংগঠনটির কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।