ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন ধান ও আগাম শীতকালীন সবজির শত শত হেক্টর জমি। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, খাল ও নালা দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। ফলে জমিতে স্থায়ীভাবে পানি জমে থেকে ধান ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার গাঁওদিয়া, হাড়িদিয়া, পাখিদিয়া, কালুরগাঁও, আপর ও খিদিরপাড়া গ্রামের বিলাঞ্চলে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রান্তিক ও বর্গাচাষী কৃষকেরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি নামছে না। খাল ও নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ। নদীর পানি কিছুটা কমলেও বিলে এখনো জমে আছে বর্ষার পানি, ফলে আবাদে বিলম্ব হচ্ছে। কালুরগাঁও গ্রামের কৃষক জসীম শেখ বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান হওয়ায় ধারদেনা করে চার একর জমিতে রোপা আমন ধান ও আগাম সবজি লাগিয়েছিলাম। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়ে সব তলিয়ে গেছে। এখন ধানগাছ আর সবজির বাগান দুই-ই নষ্ট।
হাড়িদিয়া গ্রামের কৃষক স্বপন ঢালী জানান, খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির নিষ্কাশন নেই। জমিতে পানি জমে ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় রবি মৌসুমের ফসল আবাদও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষক মেরাজ শেখ, লতিফ শেখ, ফরিদ শিকদার, কুদ্দুস ও রাশেদ মোল্লা। তাঁদের ভাষায়, খাল দখল ও ভরাটের কারণে প্রতি বছরই একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে, অথচ এর স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, লৌহজংয়ে মোট ৭ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে ধান, আলু, সরিষা, বাদামসহ বিভিন্ন রবি ফসলের আবাদ হয়ে থাকে।
লৌহজং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান উদ দৌলা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ভারি বর্ষণে ৫ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত এবং ২ হেক্টর সবজি বাগান পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল না থাকলে ভবিষ্যতেও কৃষকদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন ধান ও আগাম শীতকালীন সবজির শত শত হেক্টর জমি। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, খাল ও নালা দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। ফলে জমিতে স্থায়ীভাবে পানি জমে থেকে ধান ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার গাঁওদিয়া, হাড়িদিয়া, পাখিদিয়া, কালুরগাঁও, আপর ও খিদিরপাড়া গ্রামের বিলাঞ্চলে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রান্তিক ও বর্গাচাষী কৃষকেরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি নামছে না। খাল ও নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ। নদীর পানি কিছুটা কমলেও বিলে এখনো জমে আছে বর্ষার পানি, ফলে আবাদে বিলম্ব হচ্ছে। কালুরগাঁও গ্রামের কৃষক জসীম শেখ বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান হওয়ায় ধারদেনা করে চার একর জমিতে রোপা আমন ধান ও আগাম সবজি লাগিয়েছিলাম। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়ে সব তলিয়ে গেছে। এখন ধানগাছ আর সবজির বাগান দুই-ই নষ্ট।
হাড়িদিয়া গ্রামের কৃষক স্বপন ঢালী জানান, খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির নিষ্কাশন নেই। জমিতে পানি জমে ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় রবি মৌসুমের ফসল আবাদও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষক মেরাজ শেখ, লতিফ শেখ, ফরিদ শিকদার, কুদ্দুস ও রাশেদ মোল্লা। তাঁদের ভাষায়, খাল দখল ও ভরাটের কারণে প্রতি বছরই একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে, অথচ এর স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, লৌহজংয়ে মোট ৭ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে ধান, আলু, সরিষা, বাদামসহ বিভিন্ন রবি ফসলের আবাদ হয়ে থাকে।
লৌহজং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান উদ দৌলা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ভারি বর্ষণে ৫ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত এবং ২ হেক্টর সবজি বাগান পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল না থাকলে ভবিষ্যতেও কৃষকদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।