এক সময় বরেন্দ্র অঞ্চলে তাকালে বিশাল মাঠে শুধু ধান আর ধানের সবুজ খেতে প্রাণ জুড়িয়ে যেতো। বর্তমান সময়ে সে মাঠে ধানের বুক চিরে তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা। বরেন্দ্র অঞ্চলে তিন ফসলী আবাদি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে আবাসন, শিল্প-কারখানা, স্থাপনের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহী হয়েছে। বেড়েছে আম বাগানের তৈরির প্রবনতাও। যত্রতত্র চলছে পুকুর খননও। গড়ে উঠেছে ইটভাটাও। যে কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যে অনুযায়ী, গত ১৭ বছরে বরেন্দ্র অঞ্চলের রাজশাহী নাটোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় তিন ফসলী জমি কমেছে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর। কৃষিজমি রক্ষায় আইন এবং সরকারি বিধি বিধান থাকলেও প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তায় বন্ধ হচ্ছে না পুকুর খনন ও স্থাপনা তৈরি কাজ। এ কারণে কৃষিজমিতে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। দেশের শস্যভান্ডার খ্যাত বরেন্দ্র অঞ্চলে কমছে ফসল ও সবজি উৎপাদন। কৃষিজমি কমার কারণে সচ্ছল কৃষক ক্রমাগত আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। খাদ্যাভাবের শঙ্কাও রয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ি, অপরিকল্পিত আবাসন, শিল্প-কারখানা, রাস্তাসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিদিন কমে যাচ্ছে প্রায় ২২০ হেক্টর কৃষি জমি। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। অপরিকল্পিত ব্যবহার অব্যাহত থাকলে মাথাপিছু এমন জমি ২০৫০ সালে ৬ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে আসবে। ৪৪ বছর আগে ১৯৭২ সালেও মাথাপিছু চাষাবাদের জমির পরিমাণ ছিল এক একর ৩৫ শতাংশ। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশা, নিয়ামতপুর উপজেলার জায়গাগুলো অনেক উঁচু। এছাড়াও জমির দাম কম হওয়ায় বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকার মানুষেরা ওই এলাকায় এসে ফসলের জমি কিনে অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে।
এছাড়াও ওইসব এলাকায় কৃষকেরা ধানের পাশাপাশি আম বাগানে ঝুঁকেছে। রাজশাহীর পবা, মোহরপুর, তানোর, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কয়েক বছরে ফসলি জমির উপরে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা, পুকুর খনন করা হয়েছে এক হাজারের বেশি। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রেখে কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। দেশের সকল কৃষিজমি শুধু কৃষি কাজেই ব্যবহার করতে হবে। এতে কোন কৃষি জমিতে সকল প্রকার স্থাপনা নির্মাণের ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপ থাকছে। দুই বা তিন ফসলি জমি সরকারও অধিগ্রহণ করতে পারবে না বলে আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে। তবে, এমন আইন মানছেন না অনেকেই। নিজের পছন্দ মতো তিন ফসলি জমির গড়ে তুলছে, বসতবাড়ি, কলকারখানা, ইটভাটা ও অপরিকল্পিত পুকুর। এক সময় বরেন্দ্র অঞ্চলে তাকালে বিশাল মাঠে শুধু ধান আর ধানের সবুজ ক্ষেতে প্রাণ জুড়িয়ে যেতো। বর্তমান সময়ে সে মাঠে ধানের বুক চিরে তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রাজশাহীতে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ হেক্টর। ২০২৪ সালে আবাদযোগ্য জমি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৮ হেক্টর। অর্থাৎ ১৭ বছরে রাজশাহী জেলায় আবাদযোগ্য জমি কমেছে ৩৬ হাজার ২২ হেক্টর। ২০২৫ সালে এসে সেটি ৪০ হাজার হেক্টর হয়েছে।
আর রাজশাহী অঞ্চলে নওগাঁ, নাটোর ও চাপাইনবাবগঞ্জ এ ২০১০ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল চার লাখ ৬৬ হাজার হেক্টরের উপরে। ২০২৪ সালে কমে হয়েছে চার লাখ ২ হাজার হেক্টরে এসে ঠেকেছে। এ তিন জেলায় ১৪ বছরে শুধু আবাদি জমি কমেছে প্রায় ৬৪ হাজার হেক্টরের মত।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর-ডাঙ্গাপাড়ার মাঠে তিন ফসলি জমির উপর বসতি তুলে গত ৮ বছর যাবত বসবাস করছেন প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ পরিবার। তাদের একজন তাজেল আলী। তিনি জানান, তাদের স্থায়ী বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাকডাঙ্গা এলাকায়। গত ৮ বছর আগে সেখানে ব্যাপক নদীর ভাঙনে ঐ এলাকার প্রায় এক দেড় হাজার বসতবাড়ি নদীর গর্ভে চলে যায়। বসত-বাড়ি হারা মানুষ জীবিকার তাগিদে বরেন্দ্র চলে এসে বরেন্দ্রে বিভিন্ন এলাকায় বসত তৈরি করে আছে শতশত পরিবার।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া মাঠে একই সঙ্গে পাশাপাশি সম্প্রতি তিনটি পুকুর খনন হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪০ বিঘা আবাদি জমির ফসল ও সবজি নষ্ট হয়েছে। এসব পুকুর খননের আগে জমিতে পেঁয়াজ, ভুট্টা, ধান, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ ছিল। তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা ও বাধাইড় ইউপির ঝিনায়খোর গ্রামে তিন ফসলী জমিতে ইটের ভাটা করা হয়েছে। এ দুই ভাটার জন্য প্রায় ১০০ বিঘার বেশি জমি তারা লিজ নিয়ে ১০ বছর যাবত ভাটা পরিচালনা করছে। এর আগে এ বরেন্দ্রর জমিতে ধান সরষা সহ বছরে তিনটি ফসল হতো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কৃষিজমির শ্রেণি বদল করে পুকুর খনন পুরোপুরি বেআইনি। প্রতি বছরই বেশ কিছু পরিমাণ আবাদি জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ, ইটের ভাটা, রাস্থাঘাটসহ নানা কারণে অনাবাদির তালিকায় চলে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এ সংখ্যা আরো বেশি প্রকট হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যমান জমিতে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য খাদ্য উৎপাদন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে। যদিও রাজশাহী জেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে স্থান লাভ করেছে, সেটি সরকারের তথা কৃষি বিভাগের সাফল্য। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ, আবাদি জমি নষ্ট করার প্রবণতা না কমলে এই সাফল্য কতদিন ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
এক সময় বরেন্দ্র অঞ্চলে তাকালে বিশাল মাঠে শুধু ধান আর ধানের সবুজ খেতে প্রাণ জুড়িয়ে যেতো। বর্তমান সময়ে সে মাঠে ধানের বুক চিরে তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা। বরেন্দ্র অঞ্চলে তিন ফসলী আবাদি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে আবাসন, শিল্প-কারখানা, স্থাপনের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহী হয়েছে। বেড়েছে আম বাগানের তৈরির প্রবনতাও। যত্রতত্র চলছে পুকুর খননও। গড়ে উঠেছে ইটভাটাও। যে কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যে অনুযায়ী, গত ১৭ বছরে বরেন্দ্র অঞ্চলের রাজশাহী নাটোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় তিন ফসলী জমি কমেছে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর। কৃষিজমি রক্ষায় আইন এবং সরকারি বিধি বিধান থাকলেও প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তায় বন্ধ হচ্ছে না পুকুর খনন ও স্থাপনা তৈরি কাজ। এ কারণে কৃষিজমিতে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। দেশের শস্যভান্ডার খ্যাত বরেন্দ্র অঞ্চলে কমছে ফসল ও সবজি উৎপাদন। কৃষিজমি কমার কারণে সচ্ছল কৃষক ক্রমাগত আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। খাদ্যাভাবের শঙ্কাও রয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ি, অপরিকল্পিত আবাসন, শিল্প-কারখানা, রাস্তাসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিদিন কমে যাচ্ছে প্রায় ২২০ হেক্টর কৃষি জমি। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। অপরিকল্পিত ব্যবহার অব্যাহত থাকলে মাথাপিছু এমন জমি ২০৫০ সালে ৬ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে আসবে। ৪৪ বছর আগে ১৯৭২ সালেও মাথাপিছু চাষাবাদের জমির পরিমাণ ছিল এক একর ৩৫ শতাংশ। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশা, নিয়ামতপুর উপজেলার জায়গাগুলো অনেক উঁচু। এছাড়াও জমির দাম কম হওয়ায় বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকার মানুষেরা ওই এলাকায় এসে ফসলের জমি কিনে অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে।
এছাড়াও ওইসব এলাকায় কৃষকেরা ধানের পাশাপাশি আম বাগানে ঝুঁকেছে। রাজশাহীর পবা, মোহরপুর, তানোর, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কয়েক বছরে ফসলি জমির উপরে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা, পুকুর খনন করা হয়েছে এক হাজারের বেশি। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রেখে কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। দেশের সকল কৃষিজমি শুধু কৃষি কাজেই ব্যবহার করতে হবে। এতে কোন কৃষি জমিতে সকল প্রকার স্থাপনা নির্মাণের ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপ থাকছে। দুই বা তিন ফসলি জমি সরকারও অধিগ্রহণ করতে পারবে না বলে আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে। তবে, এমন আইন মানছেন না অনেকেই। নিজের পছন্দ মতো তিন ফসলি জমির গড়ে তুলছে, বসতবাড়ি, কলকারখানা, ইটভাটা ও অপরিকল্পিত পুকুর। এক সময় বরেন্দ্র অঞ্চলে তাকালে বিশাল মাঠে শুধু ধান আর ধানের সবুজ ক্ষেতে প্রাণ জুড়িয়ে যেতো। বর্তমান সময়ে সে মাঠে ধানের বুক চিরে তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রাজশাহীতে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ হেক্টর। ২০২৪ সালে আবাদযোগ্য জমি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৮ হেক্টর। অর্থাৎ ১৭ বছরে রাজশাহী জেলায় আবাদযোগ্য জমি কমেছে ৩৬ হাজার ২২ হেক্টর। ২০২৫ সালে এসে সেটি ৪০ হাজার হেক্টর হয়েছে।
আর রাজশাহী অঞ্চলে নওগাঁ, নাটোর ও চাপাইনবাবগঞ্জ এ ২০১০ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল চার লাখ ৬৬ হাজার হেক্টরের উপরে। ২০২৪ সালে কমে হয়েছে চার লাখ ২ হাজার হেক্টরে এসে ঠেকেছে। এ তিন জেলায় ১৪ বছরে শুধু আবাদি জমি কমেছে প্রায় ৬৪ হাজার হেক্টরের মত।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর-ডাঙ্গাপাড়ার মাঠে তিন ফসলি জমির উপর বসতি তুলে গত ৮ বছর যাবত বসবাস করছেন প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ পরিবার। তাদের একজন তাজেল আলী। তিনি জানান, তাদের স্থায়ী বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাকডাঙ্গা এলাকায়। গত ৮ বছর আগে সেখানে ব্যাপক নদীর ভাঙনে ঐ এলাকার প্রায় এক দেড় হাজার বসতবাড়ি নদীর গর্ভে চলে যায়। বসত-বাড়ি হারা মানুষ জীবিকার তাগিদে বরেন্দ্র চলে এসে বরেন্দ্রে বিভিন্ন এলাকায় বসত তৈরি করে আছে শতশত পরিবার।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া মাঠে একই সঙ্গে পাশাপাশি সম্প্রতি তিনটি পুকুর খনন হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪০ বিঘা আবাদি জমির ফসল ও সবজি নষ্ট হয়েছে। এসব পুকুর খননের আগে জমিতে পেঁয়াজ, ভুট্টা, ধান, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ ছিল। তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা ও বাধাইড় ইউপির ঝিনায়খোর গ্রামে তিন ফসলী জমিতে ইটের ভাটা করা হয়েছে। এ দুই ভাটার জন্য প্রায় ১০০ বিঘার বেশি জমি তারা লিজ নিয়ে ১০ বছর যাবত ভাটা পরিচালনা করছে। এর আগে এ বরেন্দ্রর জমিতে ধান সরষা সহ বছরে তিনটি ফসল হতো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কৃষিজমির শ্রেণি বদল করে পুকুর খনন পুরোপুরি বেআইনি। প্রতি বছরই বেশ কিছু পরিমাণ আবাদি জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ, ইটের ভাটা, রাস্থাঘাটসহ নানা কারণে অনাবাদির তালিকায় চলে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এ সংখ্যা আরো বেশি প্রকট হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যমান জমিতে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য খাদ্য উৎপাদন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে। যদিও রাজশাহী জেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে স্থান লাভ করেছে, সেটি সরকারের তথা কৃষি বিভাগের সাফল্য। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ, আবাদি জমি নষ্ট করার প্রবণতা না কমলে এই সাফল্য কতদিন ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।