রাজশাহী : সার্কিট হাউস এলাকায় শতবর্ষী গাছ -সংবাদ
রাজশাহীর চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন সবুজ বেষ্টনী এবং প্রচুর জলাধার। কিন্তু শহরের সবুজ বেষ্টনী ও জলাধারগুলোর এক বৃহৎ অংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে। নানাবিধ উন্নয়নের নামে রাজশাহীর প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশের উপর আঘাত হানা হয়েছে বহুবার। কেটে ফেলা হয়েছে এখানকার ঐতিহ্যবাহী, শতবর্ষী বড় বড় সব বৃক্ষরাজি। এখন উন্নয়ন মানেই গাছ কাটা আর কংক্রিটে ভরে দেয়া। এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে অন্যান্য প্রাণীদের আবাসস্থল ও অধিকার হরণ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
গতকাল রোববার রাজশাহীর সার্কিট হাউসের শতবর্ষী ও পঞ্চাশোর্ধ বয়সের বৃক্ষ সুরক্ষাসহ তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা। রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসিকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা চাই প্রকৃতিবান্ধব তথা টেকসই উন্নয়ন। আমরা চাই রাজশাহীর সার্কিট হাউসের শতবর্ষী ও পঞ্চাশোর্ধ বয়সের গাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে। পৃথিবীর বহু দেশ ও শহরে এরকম উন্নয়নের অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে বৃক্ষ সুরক্ষা করে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
স্মারকলিপির দাবিসমূহ হলো- রাজশাহীর সার্কিট হাউস সম্প্রসারণের জন্য সেখানে থাকা গাছগুলো কর্তন না করে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে, রাজশাহী বিভাগে ভবিষ্যতে গাছ, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে;, কোনো প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে প্রয়োজনে পরিবেশকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করতে হবে।
একই দাবিতে স্মারকালিপির অনুলিপি রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান এস.এম. তুহিনুর আলম, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোছা: তাছমিনা খাতুনের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো. কবীর হোসেন, রাজশাহী গণপূর্ত জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী, গণপূর্ত বিভাগ-১ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাসেদুল ইসলাম কে প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় উন্নয়নকর্মী মো. আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-৩৬ পরিষদের সভাপতি মাহমুদ জামাল কাদেরী, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় এর সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনকর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু, সেভ ইয়ুথ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার এর সভাপতি সামসাদ জাহান, গ্রীন ভয়েস, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাবেয়া খাতুন,বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম এর নির্বাহী সদস্য মো. ঘাসিবুল হাসনাত রিজভি, স্বচ্ছলতা এসোসিয়েশন এর সভাপতি মো. ইহতেশামুল আলম জোহা, সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার রাজশাহীর সভাপতি মো. ইমরুল কায়েস ও গ্রাভিটি রাইডার্স এর সভাপতি মাসুম মাহবুবসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী : সার্কিট হাউস এলাকায় শতবর্ষী গাছ -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহীর চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন সবুজ বেষ্টনী এবং প্রচুর জলাধার। কিন্তু শহরের সবুজ বেষ্টনী ও জলাধারগুলোর এক বৃহৎ অংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে। নানাবিধ উন্নয়নের নামে রাজশাহীর প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশের উপর আঘাত হানা হয়েছে বহুবার। কেটে ফেলা হয়েছে এখানকার ঐতিহ্যবাহী, শতবর্ষী বড় বড় সব বৃক্ষরাজি। এখন উন্নয়ন মানেই গাছ কাটা আর কংক্রিটে ভরে দেয়া। এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে অন্যান্য প্রাণীদের আবাসস্থল ও অধিকার হরণ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।
গতকাল রোববার রাজশাহীর সার্কিট হাউসের শতবর্ষী ও পঞ্চাশোর্ধ বয়সের বৃক্ষ সুরক্ষাসহ তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা। রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসিকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা চাই প্রকৃতিবান্ধব তথা টেকসই উন্নয়ন। আমরা চাই রাজশাহীর সার্কিট হাউসের শতবর্ষী ও পঞ্চাশোর্ধ বয়সের গাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে। পৃথিবীর বহু দেশ ও শহরে এরকম উন্নয়নের অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে বৃক্ষ সুরক্ষা করে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
স্মারকলিপির দাবিসমূহ হলো- রাজশাহীর সার্কিট হাউস সম্প্রসারণের জন্য সেখানে থাকা গাছগুলো কর্তন না করে গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে, রাজশাহী বিভাগে ভবিষ্যতে গাছ, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে;, কোনো প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে প্রয়োজনে পরিবেশকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করতে হবে।
একই দাবিতে স্মারকালিপির অনুলিপি রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান এস.এম. তুহিনুর আলম, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোছা: তাছমিনা খাতুনের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো. কবীর হোসেন, রাজশাহী গণপূর্ত জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী, গণপূর্ত বিভাগ-১ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাসেদুল ইসলাম কে প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় উন্নয়নকর্মী মো. আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-৩৬ পরিষদের সভাপতি মাহমুদ জামাল কাদেরী, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় এর সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনকর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু, সেভ ইয়ুথ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার এর সভাপতি সামসাদ জাহান, গ্রীন ভয়েস, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাবেয়া খাতুন,বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম এর নির্বাহী সদস্য মো. ঘাসিবুল হাসনাত রিজভি, স্বচ্ছলতা এসোসিয়েশন এর সভাপতি মো. ইহতেশামুল আলম জোহা, সেভ ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড নেচার রাজশাহীর সভাপতি মো. ইমরুল কায়েস ও গ্রাভিটি রাইডার্স এর সভাপতি মাসুম মাহবুবসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।