ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি বিরাজ করছে। ঠিক তেমনি সিদ্ধিরগঞ্জের বাংলাদেশ বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২১০ মে.ও. তাপ উৎপাদন কেন্দ্রের ইলেক্ট্রিশিয়ান নিতাই চন্দ্র সরকার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন। তার বেসামরিক গেজেট নং- ৭২৩৭। সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। নিতাই চন্দ্র সরকারের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ২৭ আগষ্ট ১৯৬৬। মাত্র ৫ বছর বয়সের শিশু নিতাই চন্দ্র সরকার কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার মৈশামুড়ার নাগারপাড়া এলাকার মৃত সাধু চরন সরকারের ছেলে নিতাই চন্দ্র সরকার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে সিদ্ধিরগঞ্জ ২১০ মে. ও. বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রিশিয়ান ‘সি’ পদে কর্মরত রয়েছেন। তার এমপ্লয়ী আইডি নং-১৪০০১৪১২০। বেতন ভাতা নিচ্ছেন ১৪নং গ্রেডে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত বাসা বৈশাখী ভবনের ৫ম তলার পশ্চিম অংশে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন নিতাই চন্দ্র সরকার। ১৯৮৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে যোগ দেয়া নিতাই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে মুক্তিযোদ্ধা বিস্তারিত তথ্য অংশে তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর- ০১৯৩০০১০০৬৭, তার নাম, পতির নাম, মাতার নাম এবং ঠিকানা রয়েছে। নীচে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সমর্থনে প্রমাণক/তথ্য যেখানে বেসামরকি গেজেট- ৭২৩৭ উল্লেখ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে নিতাই বিভিন্ন সুবিধা আদায় করছেন। নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও। ১৯৬৬ সালে জন্ম নেয়া নিতাই চন্দ্র সরকার মাত্র ৫ বছর বয়সে একজন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না দাবি করে এলাকাবাসী জানায়, নিতাই চন্দ্র একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে নিচ্ছেন নানা অনৈতিক সুবিধা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সকল কাগজপত্র তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে নিতাই চন্দ্র সরকারের সাথে দেখা করলে সে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন কথা বলেনি নিতাই চন্দ্র সরকার। এখনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বৈশাখী ভবনের ৫ম তলার বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন নিতাই চন্দ্র সরকার।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি বিরাজ করছে। ঠিক তেমনি সিদ্ধিরগঞ্জের বাংলাদেশ বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২১০ মে.ও. তাপ উৎপাদন কেন্দ্রের ইলেক্ট্রিশিয়ান নিতাই চন্দ্র সরকার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন। তার বেসামরিক গেজেট নং- ৭২৩৭। সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। নিতাই চন্দ্র সরকারের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ২৭ আগষ্ট ১৯৬৬। মাত্র ৫ বছর বয়সের শিশু নিতাই চন্দ্র সরকার কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার মৈশামুড়ার নাগারপাড়া এলাকার মৃত সাধু চরন সরকারের ছেলে নিতাই চন্দ্র সরকার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে সিদ্ধিরগঞ্জ ২১০ মে. ও. বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রিশিয়ান ‘সি’ পদে কর্মরত রয়েছেন। তার এমপ্লয়ী আইডি নং-১৪০০১৪১২০। বেতন ভাতা নিচ্ছেন ১৪নং গ্রেডে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত বাসা বৈশাখী ভবনের ৫ম তলার পশ্চিম অংশে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন নিতাই চন্দ্র সরকার। ১৯৮৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে যোগ দেয়া নিতাই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে মুক্তিযোদ্ধা বিস্তারিত তথ্য অংশে তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর- ০১৯৩০০১০০৬৭, তার নাম, পতির নাম, মাতার নাম এবং ঠিকানা রয়েছে। নীচে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সমর্থনে প্রমাণক/তথ্য যেখানে বেসামরকি গেজেট- ৭২৩৭ উল্লেখ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে নিতাই বিভিন্ন সুবিধা আদায় করছেন। নিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও। ১৯৬৬ সালে জন্ম নেয়া নিতাই চন্দ্র সরকার মাত্র ৫ বছর বয়সে একজন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না দাবি করে এলাকাবাসী জানায়, নিতাই চন্দ্র একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে নিচ্ছেন নানা অনৈতিক সুবিধা। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সকল কাগজপত্র তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে নিতাই চন্দ্র সরকারের সাথে দেখা করলে সে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন কথা বলেনি নিতাই চন্দ্র সরকার। এখনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বৈশাখী ভবনের ৫ম তলার বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন নিতাই চন্দ্র সরকার।