‘জীবন মানেই যন্ত্রণা’ একসময় এই বাস্তবভিত্তিক গানের মাধ্যমে জীবনের কঠিন সত্যকে তিনি সুরে বেঁধেছিলেন। আজ সেই গানের গীতিকার বাউল কবি ও গায়ক আব্দুস সালাম সরকার নিজেই জীবনের সেই যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়ে লড়ছেন নিঃশব্দে।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নিজ বাড়িতে পা ভাঙা অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী এই প্রিয় শিল্পী। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসার অভাবে এখন তার দিন কাটছে চরম কষ্টে, ওষুধের দাম, চিকিৎসা, সংসারের ব্যয় সবকিছুই যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক সময় এই মানুষটি গ্রামের মাটিতে মিশে থাকা ভালোবাসা, মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তার বাউল গানে। মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সেই শিল্পী আজ নিজেই বেদনায় নিমজ্জিত নিঃশব্দে গাইছেন কষ্টের গান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে বৃষ্টির মধ্যে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে কাজ বন্ধ, আয় বন্ধ, কিন্তু চিকিৎসা বন্ধ হয়নি, থেমে আছে শুধু সহায়তার হাত। অথচ এমন গুণী শিল্পীরাই আমাদের সংস্কৃতির গর্ব, আমাদের সমাজের প্রাণ।
গতকাল রোববার রাতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার অসুস্থ বাউল সালাম সরকারের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দুয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সেলিম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গণের সদস্যরা বলেন, যিনি সারাজীবন ভালোবাসা, মানবতা আর মাটির গন্ধের গান গেয়েছেন, আজ তিনিই চিকিৎসার অভাবে কাতর। তার পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
বাউল সালাম সরকারের শিষ্য মুকুল সরকার আবেগভরে বলেন, আমার উস্তাদ এখন ভীষণ কষ্টে আছেন। সমাজের হৃদয়বান মানুষ ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রতি অনুরোধ আসুন, আমরা সবাই মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিই। আপনার সামান্য সহযোগিতাই তার জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে নতুন আলো।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘জীবন মানেই যন্ত্রণা’ একসময় এই বাস্তবভিত্তিক গানের মাধ্যমে জীবনের কঠিন সত্যকে তিনি সুরে বেঁধেছিলেন। আজ সেই গানের গীতিকার বাউল কবি ও গায়ক আব্দুস সালাম সরকার নিজেই জীবনের সেই যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়ে লড়ছেন নিঃশব্দে।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নিজ বাড়িতে পা ভাঙা অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী এই প্রিয় শিল্পী। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসার অভাবে এখন তার দিন কাটছে চরম কষ্টে, ওষুধের দাম, চিকিৎসা, সংসারের ব্যয় সবকিছুই যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক সময় এই মানুষটি গ্রামের মাটিতে মিশে থাকা ভালোবাসা, মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তার বাউল গানে। মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সেই শিল্পী আজ নিজেই বেদনায় নিমজ্জিত নিঃশব্দে গাইছেন কষ্টের গান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে বৃষ্টির মধ্যে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে কাজ বন্ধ, আয় বন্ধ, কিন্তু চিকিৎসা বন্ধ হয়নি, থেমে আছে শুধু সহায়তার হাত। অথচ এমন গুণী শিল্পীরাই আমাদের সংস্কৃতির গর্ব, আমাদের সমাজের প্রাণ।
গতকাল রোববার রাতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার অসুস্থ বাউল সালাম সরকারের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দুয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সেলিম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গণের সদস্যরা বলেন, যিনি সারাজীবন ভালোবাসা, মানবতা আর মাটির গন্ধের গান গেয়েছেন, আজ তিনিই চিকিৎসার অভাবে কাতর। তার পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
বাউল সালাম সরকারের শিষ্য মুকুল সরকার আবেগভরে বলেন, আমার উস্তাদ এখন ভীষণ কষ্টে আছেন। সমাজের হৃদয়বান মানুষ ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রতি অনুরোধ আসুন, আমরা সবাই মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিই। আপনার সামান্য সহযোগিতাই তার জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে নতুন আলো।