ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : রাস্তায় বেহাল অবস্থা -সংবাদ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের মাত্র ২০০ মিটার কাঁচা রাস্তার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ ছয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নামলেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওই রাস্তা কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মেলাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা, মেলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ, মেলাবাড়ী হাট ও কয়কৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়নের মানুষকে রাস্তাটিতে পানিজমে থাকায় নর্দমার কাঁদামাটির ওপর দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একই অবস্থার মধ্যে পড়েছেন অন্যান্যরাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ভূমি অফিসটি পাকা হলেও সামনের ২০০ মিটার রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। ফলে সেবা নিতে আসা মানুষকে যানবাহন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে অনেক দূরে রেখে হেঁটে যেতে হয়। অথচ ওই ভূমি অফিস থেকে সরকারের বিপুল অংকের অর্থ রাজস্ব আদায় হলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। মাত্র ২০০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণ করে দেওয়া হলে জনগুরুত্বপূর্ণ ছয় প্রতিষ্ঠানের জনদুর্ভোগ দূর হবে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা দিতে আসা বাসুদেবপুর গ্রামের সবুজ সরকার বলেন, মোটরসাইকেলে ভূমি অফিসে ভূমির খাজনা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভূমি অফিস পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারেননি, তাই অফিস থেকে কিছু দূরেই মোটরসাইকেলটি রেখে কাঁদামাটি পাড়া দিয়ে অফিসে আহতে হয়েছে। একই কথা বললেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আফজাল হোসেনও।
কলেজ শিক্ষক মেলাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতি বর্ষাতেই এই জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। একারণে কখনো জুতা পায়ে দেওয়া যায় না, আবার কখনো কাঁদা হাঁটু ছুঁয়ে ফেলে। পাশের গ্রামের রাস্তাগুলো অনেক আগেই পাকা হলেও এখানকার মাত্র ২০০ মিটার রাস্তাটি আজও পাকা হয়নি। এ কারণে এমন জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। রাস্তাটি পাকা হলে স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার ও গ্রামের মানুষসহ ভূমি অফিসের সেবা গ্রহীতারা জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবেন।
আলাদীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. লুৎফর রহমান বলেন, এখানে সাড়ে ১০ হাজার ভূমি হোল্ডিংয়ের কাজ হয়, সরকারের রাজস্বও ভালো আসে। কিন্তু রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আলাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসমুশ সাখির বাবুল বলেন, আলাদিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনের রাস্তায় কাঁদা সমস্যা দীর্ঘদিনের। ইউএনও স্যার একটা প্রজেক্ট দিলে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, ভোগান্তির বিষয়টি নিজেও দেখেছি। আলাদীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনের রাস্তাটা আমরা পাকা করে দেব। দ্রুত এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : রাস্তায় বেহাল অবস্থা -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের মাত্র ২০০ মিটার কাঁচা রাস্তার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ ছয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নামলেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওই রাস্তা কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মেলাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা, মেলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ, মেলাবাড়ী হাট ও কয়কৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়নের মানুষকে রাস্তাটিতে পানিজমে থাকায় নর্দমার কাঁদামাটির ওপর দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাতায়াত করতে হচ্ছে। একই অবস্থার মধ্যে পড়েছেন অন্যান্যরাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ভূমি অফিসটি পাকা হলেও সামনের ২০০ মিটার রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। ফলে সেবা নিতে আসা মানুষকে যানবাহন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে অনেক দূরে রেখে হেঁটে যেতে হয়। অথচ ওই ভূমি অফিস থেকে সরকারের বিপুল অংকের অর্থ রাজস্ব আদায় হলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। মাত্র ২০০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণ করে দেওয়া হলে জনগুরুত্বপূর্ণ ছয় প্রতিষ্ঠানের জনদুর্ভোগ দূর হবে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা দিতে আসা বাসুদেবপুর গ্রামের সবুজ সরকার বলেন, মোটরসাইকেলে ভূমি অফিসে ভূমির খাজনা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভূমি অফিস পর্যন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারেননি, তাই অফিস থেকে কিছু দূরেই মোটরসাইকেলটি রেখে কাঁদামাটি পাড়া দিয়ে অফিসে আহতে হয়েছে। একই কথা বললেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আফজাল হোসেনও।
কলেজ শিক্ষক মেলাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতি বর্ষাতেই এই জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। একারণে কখনো জুতা পায়ে দেওয়া যায় না, আবার কখনো কাঁদা হাঁটু ছুঁয়ে ফেলে। পাশের গ্রামের রাস্তাগুলো অনেক আগেই পাকা হলেও এখানকার মাত্র ২০০ মিটার রাস্তাটি আজও পাকা হয়নি। এ কারণে এমন জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। রাস্তাটি পাকা হলে স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার ও গ্রামের মানুষসহ ভূমি অফিসের সেবা গ্রহীতারা জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবেন।
আলাদীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. লুৎফর রহমান বলেন, এখানে সাড়ে ১০ হাজার ভূমি হোল্ডিংয়ের কাজ হয়, সরকারের রাজস্বও ভালো আসে। কিন্তু রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আলাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসমুশ সাখির বাবুল বলেন, আলাদিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনের রাস্তায় কাঁদা সমস্যা দীর্ঘদিনের। ইউএনও স্যার একটা প্রজেক্ট দিলে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, ভোগান্তির বিষয়টি নিজেও দেখেছি। আলাদীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনের রাস্তাটা আমরা পাকা করে দেব। দ্রুত এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।