ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিমলায় অনেক এলাকা প্লাবিত -সংবাদ
ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান ঢলে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকেল থেকে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার উজানে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
তিস্তার উজানে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত
পানিবন্দী কয়েক
হাজার পরিবার
বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলো হলো- পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি টেপাখড়িবাড়ি, গয়া বাড়ি, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী।
বন্যাকবলিত ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জিরো পয়েন্টের কালীগঞ্জ এলাকা। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ টি-বাঁধটি পানির স্রোতে ভেঙে তিস্তায় বিলীন হওয়ার উপক্রম। টি-বাঁধটি রক্ষায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের আওতায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল রোববার রাতভর সেখানে অবস্থান করে বাঁধ রক্ষায় কাজ করেন। এসব কাজে সার্বিক সহায়তা করেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-সহ প্রশাসনের কর্মচারীরা।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও বন্যা মোকাবিলার কাজে অংশ নেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) গতকাল রোববার বিকেল থেকে উপজেলা প্রশাসনের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী বন্যাকবলিত এলাকায় অবস্থান করেন এবং ভাঙন রোধে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গতকাল রোববার বিকেল থেকে তিস্তার উজানে ভারতের পানি বেড়ে যায়। আকস্মিকভাবে উজানের পানি ঢুকে তিস্তায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারেজর সব জল কপাট খুলে দেয়। এ সময় তিস্তা ব্যারেজের উজানের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হয়।
বিপদের আশঙ্কায় ওই ৭টি ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা
গৃহপালিত গরু, ছাগল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিকে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) পানি কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা বিধৌত এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ঔসব ভাঙনকবলিত এলাকা বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
উপজেলার টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের বার্নির ঘাটের স্পার বাঁধ এলাকায় ব্যাপক আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ছালামত ফকির জানান, গতকাল রোববার বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকলে আমাদের দপ্তরের থেকে মাইকিং করে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক করে দেয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিস্তা নদীতে পানি বাড়ার সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পাঠাই এবং বাঁধ রক্ষাসহ তিস্তাবাসীদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য সব ধরনের কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য বলি। আমিও গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের আওতায় জরুরিভাবে বালুভর্তি বস্তা ফেলার নির্দেশ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা নদী এলাকায় অবস্থান করছি। পানি কমতে শুরু করায় এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে সবকিছু। ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জের বন্যা নিয়ন্ত্রণ টি-বাঁধ এলাকায় গিয়ে তিস্তার পানির প্রবাহ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল নিমিষেই বুঝি সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি সবকিছু রক্ষা করেছেন।
ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিমলায় অনেক এলাকা প্লাবিত -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান ঢলে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) বিকেল থেকে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার উজানে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
তিস্তার উজানে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত
পানিবন্দী কয়েক
হাজার পরিবার
বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলো হলো- পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি টেপাখড়িবাড়ি, গয়া বাড়ি, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী।
বন্যাকবলিত ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জিরো পয়েন্টের কালীগঞ্জ এলাকা। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ টি-বাঁধটি পানির স্রোতে ভেঙে তিস্তায় বিলীন হওয়ার উপক্রম। টি-বাঁধটি রক্ষায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের আওতায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল রোববার রাতভর সেখানে অবস্থান করে বাঁধ রক্ষায় কাজ করেন। এসব কাজে সার্বিক সহায়তা করেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-সহ প্রশাসনের কর্মচারীরা।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও বন্যা মোকাবিলার কাজে অংশ নেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) গতকাল রোববার বিকেল থেকে উপজেলা প্রশাসনের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী বন্যাকবলিত এলাকায় অবস্থান করেন এবং ভাঙন রোধে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গতকাল রোববার বিকেল থেকে তিস্তার উজানে ভারতের পানি বেড়ে যায়। আকস্মিকভাবে উজানের পানি ঢুকে তিস্তায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারেজর সব জল কপাট খুলে দেয়। এ সময় তিস্তা ব্যারেজের উজানের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হয়।
বিপদের আশঙ্কায় ওই ৭টি ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা
গৃহপালিত গরু, ছাগল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিকে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) পানি কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা বিধৌত এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ঔসব ভাঙনকবলিত এলাকা বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
উপজেলার টেপা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের বার্নির ঘাটের স্পার বাঁধ এলাকায় ব্যাপক আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ছালামত ফকির জানান, গতকাল রোববার বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকলে আমাদের দপ্তরের থেকে মাইকিং করে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক করে দেয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিস্তা নদীতে পানি বাড়ার সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পাঠাই এবং বাঁধ রক্ষাসহ তিস্তাবাসীদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য সব ধরনের কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য বলি। আমিও গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে ইমার্জেন্সি ওয়ার্কের আওতায় জরুরিভাবে বালুভর্তি বস্তা ফেলার নির্দেশ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা নদী এলাকায় অবস্থান করছি। পানি কমতে শুরু করায় এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে সবকিছু। ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জের বন্যা নিয়ন্ত্রণ টি-বাঁধ এলাকায় গিয়ে তিস্তার পানির প্রবাহ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল নিমিষেই বুঝি সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি সবকিছু রক্ষা করেছেন।