২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী, ৩০ গ্রাম প্লাবিত
তিস্তা নদীর পানির প্রবল স্রোতে দুই উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত -সংবাদ
অবিরাম বৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভারতের উজানে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেবার কারণে তিস্তা নদীর পানি ব্যাপক বেড়েছে। তিস্তা নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে দুই উপজেলার ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ৩০ হাজ্রা মানুষ।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর ১২টায় বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার হলেও এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে গঙ্গাচড়ার মহিপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন।
সর্বশেষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে দুপুর ৩ টায় কানিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ২-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর আর ফসলি খেত। ফলে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী , কচুয়া , চড় ইছলি, জয়রাম ওঝা কোলকোন্দ ইউনিয়নের কোলকোন্দ , লক্ষ্মীটারীসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চল বেষ্টিত ২০টি গ্রাম ওই সব এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে ২-৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেক
পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে নিকটস্থ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে মহিপুর এলাকায় অবস্থিত শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত তিস্তা সেতু রক্ষা ক্রস বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরেছে। এলাকাবাসী বলেছেন জরুরি ভিত্তিতে ফাটল মেরামত করা না হলে রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটসহ বুড়িমারী স্থলবন্দরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাব না রয়েছে। এদিকে চরইছলী ও জয়রাম ওঝা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার ও সাহেব আলী জানান পানির প্রবল স্রোতে বাড়িঘর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মহিপুর এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে চলে এসেছে।
এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানান পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করতে নিরাপদ স্থানে নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বানভাসি মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।
২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী, ৩০ গ্রাম প্লাবিত
তিস্তা নদীর পানির প্রবল স্রোতে দুই উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত -সংবাদ
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
অবিরাম বৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভারতের উজানে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেবার কারণে তিস্তা নদীর পানি ব্যাপক বেড়েছে। তিস্তা নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে দুই উপজেলার ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ৩০ হাজ্রা মানুষ।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর ১২টায় বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার হলেও এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে গঙ্গাচড়ার মহিপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন।
সর্বশেষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে দুপুর ৩ টায় কানিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ২-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর আর ফসলি খেত। ফলে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী , কচুয়া , চড় ইছলি, জয়রাম ওঝা কোলকোন্দ ইউনিয়নের কোলকোন্দ , লক্ষ্মীটারীসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চল বেষ্টিত ২০টি গ্রাম ওই সব এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে ২-৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেক
পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে নিকটস্থ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে মহিপুর এলাকায় অবস্থিত শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত তিস্তা সেতু রক্ষা ক্রস বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরেছে। এলাকাবাসী বলেছেন জরুরি ভিত্তিতে ফাটল মেরামত করা না হলে রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটসহ বুড়িমারী স্থলবন্দরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবার সম্ভাব না রয়েছে। এদিকে চরইছলী ও জয়রাম ওঝা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার ও সাহেব আলী জানান পানির প্রবল স্রোতে বাড়িঘর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মহিপুর এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে চলে এসেছে।
এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানান পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করতে নিরাপদ স্থানে নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বানভাসি মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।