ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিলেট নগরের বৃহৎ জলাধার ধোপাদিঘীর সব মাছ মারা গেছে। দিঘীর জলে ভেসে ওঠেছে মরা মাছ। মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। এতে করে ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তবে একসঙ্গে এতো মাছ কীভাবে মারা গেলো এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার রাত থেকেই ধোপাদিঘীতে মরা মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে। সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ওই দিঘীতে গিয়ে দেখা যায়, জাল দিয়ে মরা মাছ দিঘী থেকে তোলা হচ্ছে। নৌকায় করে করে এসব মাছ পাড়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। রাত থেকেই এসব মাছ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে এখনও কয়েকটি নৌকা ভর্তি মাছ ওই এলাকায় রয়ে গেছে।এদিকে, মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায়। এতে ধোপাদিঘীর পাড় ওয়াকওয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। ওয়াওয়ে বন্ধ ঘোষণা করে বাইরে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। তবে কি পরিমাণ মাছ মারা গেছে এবং কীভাবে মারা গেছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা যেতে পারে বলে অভিযোগ ওঠেছে। কয়েক হাজার মাছ মারা গেছে বলে জানা গেছে। সিলেট নগরের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ৬ একর আয়তনের ধোপাদিঘী। এরমধ্যে দিঘির ৫ একর জায়গার মালিক সিলেট সিটি করপোরেশন। বাকি এক একর ছিল ধোপাদের মালিকানায়। দীর্ঘদিন বেদখলে ও প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর এই দিঘির ৩ দশমিক ৭৫ একর উদ্ধার করে সৌন্দর্যবর্ধণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকারের অর্থায়নে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ২১ কোটি ৮৫ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে ধোপাদিঘীরপাড় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। ২০১৯ সালে এ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২১ সালে। পরে ২০২২ সালের ১১ জুন এর উদ্বোধন করা হয়।ওয়াকওয়েটি উদ্বোধনের পরই সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর সিটি কর্তৃপক্ষ স্থানটি মেসার্স ইষান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
সিলেট নগরের বৃহৎ জলাধার ধোপাদিঘীর সব মাছ মারা গেছে। দিঘীর জলে ভেসে ওঠেছে মরা মাছ। মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। এতে করে ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তবে একসঙ্গে এতো মাছ কীভাবে মারা গেলো এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার রাত থেকেই ধোপাদিঘীতে মরা মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে। সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ওই দিঘীতে গিয়ে দেখা যায়, জাল দিয়ে মরা মাছ দিঘী থেকে তোলা হচ্ছে। নৌকায় করে করে এসব মাছ পাড়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। রাত থেকেই এসব মাছ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে এখনও কয়েকটি নৌকা ভর্তি মাছ ওই এলাকায় রয়ে গেছে।এদিকে, মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায়। এতে ধোপাদিঘীর পাড় ওয়াকওয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। ওয়াওয়ে বন্ধ ঘোষণা করে বাইরে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। তবে কি পরিমাণ মাছ মারা গেছে এবং কীভাবে মারা গেছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা যেতে পারে বলে অভিযোগ ওঠেছে। কয়েক হাজার মাছ মারা গেছে বলে জানা গেছে। সিলেট নগরের মধ্যবর্তী স্থানে প্রায় ৬ একর আয়তনের ধোপাদিঘী। এরমধ্যে দিঘির ৫ একর জায়গার মালিক সিলেট সিটি করপোরেশন। বাকি এক একর ছিল ধোপাদের মালিকানায়। দীর্ঘদিন বেদখলে ও প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর এই দিঘির ৩ দশমিক ৭৫ একর উদ্ধার করে সৌন্দর্যবর্ধণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকারের অর্থায়নে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ২১ কোটি ৮৫ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে ধোপাদিঘীরপাড় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। ২০১৯ সালে এ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২১ সালে। পরে ২০২২ সালের ১১ জুন এর উদ্বোধন করা হয়।ওয়াকওয়েটি উদ্বোধনের পরই সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর সিটি কর্তৃপক্ষ স্থানটি মেসার্স ইষান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়।