রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় সোমবার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ৫শ মিটার কারেন্ট জাল ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে মা ইলিশ রক্ষার টাস্ক ফোর্স কমিটি।
পরে দুপুরের দিয়ে দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরিঘাট এলাকায় লক্ষাধিক টাকার ইঞ্চিনসহ ট্রলারটি নিলামের মাধ্যমে মাত্র ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এছাড়া জালগুলো পুড়িয়ে এবং মাছগুলো স্থানীয় দুস্থ্যদের মাঝে বিতরন করা হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, এ বছর মা ইলিশ রক্ষায় যথেষ্ট প্রচার প্রচারনা চালায়নি স্থানীয় প্রশাসন। জেলেদের এখনো দেয়া হয়নি খাদ্য সহায়তার চাল।
নিষেধাজ্ঞার চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় দায়সারাভাবে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলার মৎস্য অফিস। এলাকায় মৎস্যজীবির সংখ্যা দেড় সহস্রাধিক হলেও সভায় জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দা মিলিয়ে ১’শ এর মতো লোক উপস্থিত ছিলেন। বিগত বছর গুলোতে নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই এ ধরনের সভা করা হতো।
দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আজিবর হোসেন জানান, প্রতিবছর ব্যাপকভাবে প্রচারণা হয় এবং জেলে পাড়ার সামনে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে বিশাল সাইনবোর্ড টাঙানো হয় এবছর এগুলোর কিছুই করা হয়নি। নদী পাড়ের ছাত্তার মেম্বার পাড়ার সোহেল ব্যপারী জানান, এবছর শুধু মাছ বাজারে একটা সাইনবোর্ড দেখেছিলাম আর আজকের ছোট্ট একটা আলোচনা সভা ও জাল পোড়ানো ও টলার জব্দ করা দেখলাম।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের আড়তে থাকা কয়েকজন জেলে জানান, প্রতিবছর সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আমাদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বসা হয়। এবছর এগুলোর কিছুই করা হয়নি। তবে গোয়ালন্দ শহর এলাকায় কিছুটা মাইকিং করা হয়েছে বলে শুনলাম । অথচ এই সকল কাজের জন্য সরকারি বাজেট বরাদ্দ রয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, আমরা এবছর অনেক পরে চিঠি পেয়েছি। তখন পূজার ছুটি থাকায় প্রস্তুতি সভা করা সম্ভব হয়নি তাই এখন সভা করে বিষয়টি জেলেদের কে অবহিত করছি। মাইকিং সহ অন্যান্য প্রচারনা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাব। এ সময় জেলেসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করি। নিষেধাজ্ঞা কালীন সহায়তা হিসেবে ইলিশ সংশ্লিষ্ট জেলেদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ৩০ কেজি করে খাদ্য সহায়তার চাল দেয়া হবে বলে তিনি জানান ।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় সোমবার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ৫শ মিটার কারেন্ট জাল ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে মা ইলিশ রক্ষার টাস্ক ফোর্স কমিটি।
পরে দুপুরের দিয়ে দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরিঘাট এলাকায় লক্ষাধিক টাকার ইঞ্চিনসহ ট্রলারটি নিলামের মাধ্যমে মাত্র ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এছাড়া জালগুলো পুড়িয়ে এবং মাছগুলো স্থানীয় দুস্থ্যদের মাঝে বিতরন করা হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, এ বছর মা ইলিশ রক্ষায় যথেষ্ট প্রচার প্রচারনা চালায়নি স্থানীয় প্রশাসন। জেলেদের এখনো দেয়া হয়নি খাদ্য সহায়তার চাল।
নিষেধাজ্ঞার চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় দায়সারাভাবে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলার মৎস্য অফিস। এলাকায় মৎস্যজীবির সংখ্যা দেড় সহস্রাধিক হলেও সভায় জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দা মিলিয়ে ১’শ এর মতো লোক উপস্থিত ছিলেন। বিগত বছর গুলোতে নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই এ ধরনের সভা করা হতো।
দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আজিবর হোসেন জানান, প্রতিবছর ব্যাপকভাবে প্রচারণা হয় এবং জেলে পাড়ার সামনে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে বিশাল সাইনবোর্ড টাঙানো হয় এবছর এগুলোর কিছুই করা হয়নি। নদী পাড়ের ছাত্তার মেম্বার পাড়ার সোহেল ব্যপারী জানান, এবছর শুধু মাছ বাজারে একটা সাইনবোর্ড দেখেছিলাম আর আজকের ছোট্ট একটা আলোচনা সভা ও জাল পোড়ানো ও টলার জব্দ করা দেখলাম।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের আড়তে থাকা কয়েকজন জেলে জানান, প্রতিবছর সভা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আমাদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বসা হয়। এবছর এগুলোর কিছুই করা হয়নি। তবে গোয়ালন্দ শহর এলাকায় কিছুটা মাইকিং করা হয়েছে বলে শুনলাম । অথচ এই সকল কাজের জন্য সরকারি বাজেট বরাদ্দ রয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, আমরা এবছর অনেক পরে চিঠি পেয়েছি। তখন পূজার ছুটি থাকায় প্রস্তুতি সভা করা সম্ভব হয়নি তাই এখন সভা করে বিষয়টি জেলেদের কে অবহিত করছি। মাইকিং সহ অন্যান্য প্রচারনা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাব। এ সময় জেলেসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করি। নিষেধাজ্ঞা কালীন সহায়তা হিসেবে ইলিশ সংশ্লিষ্ট জেলেদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ৩০ কেজি করে খাদ্য সহায়তার চাল দেয়া হবে বলে তিনি জানান ।