গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের একটি অংশ জুড়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় -সংবাদ
গজারিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের একটি অংশ জুড়ে ময়লা -আবর্জনা ফেলে রাখায় খেলার পরিবেশসহ পরিবেশ দুষনের অশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় ১ একর আয়তন বিশিষ্টি খেলার মাঠটির অবস্থান কলিমউল্লাহ কলেজ সংলগ্ন কলেজ সড়ক ঘেঁষা।
এলাকাবাসীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, খেলার মাঠটির একটা অংশ জুড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ও দোকানিরা এখন ময়লা ফেলার ডাস্টবিন হিসাবে ব্যবহার করছেন। এতে মাঠে খেলা-ধুলার জন্য প্রতিকুল পরিবেশ তৈরী হওয়াসহ পরিবেশ দূষন ও বিভিন্নি রোগ জীবানু বিস্তারের আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রায় প্রতিদিন গৃহস্থালীর ও স্থানীয় দোকানীদের ময়লা আবর্জনা ফেলে মাঠসহ আশপাশের পরিবেশ দুর্বিসহ করে তুলছেন এক শ্রেণির মানুষ! জনবহুল এলাকা ও জন সাধারণের চলাচলের রাস্তা সংলগ্ন উম্মুক্ত মাঠে দুর্গন্ধ চুক্ত ময়লা আবর্জনা স্তুপাকারে পড়ে থাকায় ওই সড়কে ব্যবহারকারী পথচারী ও মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার ভবেরচর ওয়াজীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল গাফফার জানান, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের স্টাফদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে স্কুলের মাঠে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করেছিলাম, কেউ আমাদের কথা মানে না। তিনি আরো জানান, স্কুল থেকে মাঠের অবস্থান দুরে হওয়ার সার্বক্ষণিক নজরদারী করা সম্ভব হয় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়া কলিমউল্লাহ কলেজ সংলগ্ন উল্লিখিত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফেলা হচ্ছে বাসা-বাড়ির জমানো ময়লা আবর্জনা। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এর পাশ দিয়ে পথচারীরা নাক চেপে ধরে চলাচল করছে। এসব বাসা-বাড়িতে বসবাস করে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস ধরেই এখানে কিছু বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বাসা বাড়ি প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা পলিথিন ব্যাগে করে মাঠে ছুড়ে ফেলছে।
পশু-পাখি সেই ময়লার মধ্যে বিচরণ করছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সুমন কিবরিয়া নামে এক তরুণ জানান, এলাকার একমাত্র মাঠ এটি, বিকাল হলে সবাই এখানে খেলাধুলা করে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে একটি অংশে ময়লা ফেলার কারণে মাঠে খেলাধূলা পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া মশা, মাছি সহ নানান ধরনের রোগ বালাই তো আছেই। মাঠটির ময়লা গুলো পরিষ্কার করে দিলে আমার আবার খেলতে পারতাম।
কয়েকজন জানান, প্রতি বিকালে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিন্ন বয়সী ক্রীড়ামোদিরা মাঠে এসে খেলাধুলা করে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের একপাশে বাসা-বাড়ির ময়লা ফেলা হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক মাঠটি এখন ডাস্টবিনে পরিনত হচ্ছে। মাঠটি আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের একটি অংশ জুড়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
গজারিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের একটি অংশ জুড়ে ময়লা -আবর্জনা ফেলে রাখায় খেলার পরিবেশসহ পরিবেশ দুষনের অশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় ১ একর আয়তন বিশিষ্টি খেলার মাঠটির অবস্থান কলিমউল্লাহ কলেজ সংলগ্ন কলেজ সড়ক ঘেঁষা।
এলাকাবাসীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, খেলার মাঠটির একটা অংশ জুড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ও দোকানিরা এখন ময়লা ফেলার ডাস্টবিন হিসাবে ব্যবহার করছেন। এতে মাঠে খেলা-ধুলার জন্য প্রতিকুল পরিবেশ তৈরী হওয়াসহ পরিবেশ দূষন ও বিভিন্নি রোগ জীবানু বিস্তারের আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রায় প্রতিদিন গৃহস্থালীর ও স্থানীয় দোকানীদের ময়লা আবর্জনা ফেলে মাঠসহ আশপাশের পরিবেশ দুর্বিসহ করে তুলছেন এক শ্রেণির মানুষ! জনবহুল এলাকা ও জন সাধারণের চলাচলের রাস্তা সংলগ্ন উম্মুক্ত মাঠে দুর্গন্ধ চুক্ত ময়লা আবর্জনা স্তুপাকারে পড়ে থাকায় ওই সড়কে ব্যবহারকারী পথচারী ও মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার ভবেরচর ওয়াজীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল গাফফার জানান, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের স্টাফদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে স্কুলের মাঠে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করেছিলাম, কেউ আমাদের কথা মানে না। তিনি আরো জানান, স্কুল থেকে মাঠের অবস্থান দুরে হওয়ার সার্বক্ষণিক নজরদারী করা সম্ভব হয় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়া কলিমউল্লাহ কলেজ সংলগ্ন উল্লিখিত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফেলা হচ্ছে বাসা-বাড়ির জমানো ময়লা আবর্জনা। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এর পাশ দিয়ে পথচারীরা নাক চেপে ধরে চলাচল করছে। এসব বাসা-বাড়িতে বসবাস করে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস ধরেই এখানে কিছু বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বাসা বাড়ি প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা পলিথিন ব্যাগে করে মাঠে ছুড়ে ফেলছে।
পশু-পাখি সেই ময়লার মধ্যে বিচরণ করছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সুমন কিবরিয়া নামে এক তরুণ জানান, এলাকার একমাত্র মাঠ এটি, বিকাল হলে সবাই এখানে খেলাধুলা করে, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে একটি অংশে ময়লা ফেলার কারণে মাঠে খেলাধূলা পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া মশা, মাছি সহ নানান ধরনের রোগ বালাই তো আছেই। মাঠটির ময়লা গুলো পরিষ্কার করে দিলে আমার আবার খেলতে পারতাম।
কয়েকজন জানান, প্রতি বিকালে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিন্ন বয়সী ক্রীড়ামোদিরা মাঠে এসে খেলাধুলা করে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের একপাশে বাসা-বাড়ির ময়লা ফেলা হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক মাঠটি এখন ডাস্টবিনে পরিনত হচ্ছে। মাঠটি আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।