শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী-পাঁচিল বাজার আঞ্চলিক সড়কের জয়পুরা খালের ওপর নবনির্মিত সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের এক মাস না যেতেই ধসে পড়েছে। ফলে কৈজুরীসহ ৪টি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের শতশত মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ায় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল দূরের কথা নানা ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এদিকে নির্মাণের এক মাস না যেতেই সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে কৈজুরী-পাঁচিল আঞ্চলিক সড়কের জয়পুরা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৮ মাস আগে শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স। পরবর্তীতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা ও কাবিটা) প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের আওতায় রাস্তা সংস্কার ও সংযোগ সড়ক সিসিকরণ বাবদ ৬ লাখ ৩০ হাজার ৯১৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ, বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে সিডিউল মোতাবেক সঠিকভাবে কোন কাজ করা হয়নি। তারা জানান, জয়পুরা গ্রামের হাছেনের বাড়ি হতে নবনির্মিত সেতু পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও শুধু সংযোগ সড়ক সিসিকরণ করা হয়েছে। ওই সিসিকরণে নিম্নমানের ইট ও লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। শুধু তাই নয় দায়সারাভাবে গাইড ওয়াল নির্মাণ ও বালু দিয়ে সড়ক ভরাট করা হয়েছে। ফলে সংযোগ সড়কটি নির্মাণের ১ মাস না যেতেই ধসে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক দিয়ে ভ্যান-রিকশাসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ধান, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন, আমোদ আলী, আমিরুল ইসলাম ও আব্দুল কুদ্দস অভিযোগ করেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে নানা অনিয়ম করা হয়েছে। ঠিকাদারকে সিডিউল মোতাবেক সঠিক ভাবে কাজ করতে বললেও তিনি তা করেননি। ৫০ ফুট পাইলিংয়ের স্থলে ২০ ফুট পাইলিংও করা হয়নি। তারা আরো জানান, নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সংযোগ সড়কটি ধসে পড়েছে।
এ বিষয়ে ওই প্রকল্পের সভাপতি ও কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য শাজাহান আলী বেপারী বলেন, যেটুকু বরাদ্দ পেয়েছি সে অনুযায়ী কাজ করেছি। অতি বৃষ্টির কারণে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। পুনরায় বরাদ্দ পেলে সড়কটি মেরামত করা হবে। মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল কালাম আজাদ বলেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের সময় আমি অন্য কর্মস্থলে ছিলাম । কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেছে। বর্ষার পর সড়কটি মেরামত করা হবে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেতুটি সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। অতি বর্ষণের কারণে সংযোগ সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙে গেছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী-পাঁচিল বাজার আঞ্চলিক সড়কের জয়পুরা খালের ওপর নবনির্মিত সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের এক মাস না যেতেই ধসে পড়েছে। ফলে কৈজুরীসহ ৪টি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের শতশত মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ায় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল দূরের কথা নানা ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এদিকে নির্মাণের এক মাস না যেতেই সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে কৈজুরী-পাঁচিল আঞ্চলিক সড়কের জয়পুরা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৮ মাস আগে শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স। পরবর্তীতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা ও কাবিটা) প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের আওতায় রাস্তা সংস্কার ও সংযোগ সড়ক সিসিকরণ বাবদ ৬ লাখ ৩০ হাজার ৯১৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ, বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে সিডিউল মোতাবেক সঠিকভাবে কোন কাজ করা হয়নি। তারা জানান, জয়পুরা গ্রামের হাছেনের বাড়ি হতে নবনির্মিত সেতু পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও শুধু সংযোগ সড়ক সিসিকরণ করা হয়েছে। ওই সিসিকরণে নিম্নমানের ইট ও লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। শুধু তাই নয় দায়সারাভাবে গাইড ওয়াল নির্মাণ ও বালু দিয়ে সড়ক ভরাট করা হয়েছে। ফলে সংযোগ সড়কটি নির্মাণের ১ মাস না যেতেই ধসে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক দিয়ে ভ্যান-রিকশাসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ধান, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন, আমোদ আলী, আমিরুল ইসলাম ও আব্দুল কুদ্দস অভিযোগ করেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে নানা অনিয়ম করা হয়েছে। ঠিকাদারকে সিডিউল মোতাবেক সঠিক ভাবে কাজ করতে বললেও তিনি তা করেননি। ৫০ ফুট পাইলিংয়ের স্থলে ২০ ফুট পাইলিংও করা হয়নি। তারা আরো জানান, নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সংযোগ সড়কটি ধসে পড়েছে।
এ বিষয়ে ওই প্রকল্পের সভাপতি ও কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য শাজাহান আলী বেপারী বলেন, যেটুকু বরাদ্দ পেয়েছি সে অনুযায়ী কাজ করেছি। অতি বৃষ্টির কারণে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। পুনরায় বরাদ্দ পেলে সড়কটি মেরামত করা হবে। মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল কালাম আজাদ বলেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের সময় আমি অন্য কর্মস্থলে ছিলাম । কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেছে। বর্ষার পর সড়কটি মেরামত করা হবে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেতুটি সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। অতি বর্ষণের কারণে সংযোগ সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙে গেছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।