ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় নিজের মেয়েশিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে কাদির মাঝির বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুর নাম ফারিহা সুলতানা। বয়স ৬ বছর। শিশুর বাবার নাম মো. ফারুক। তিনি ওই এলাকার কাদির মাঝির ছেলে। ফারুক দিনমজুরের কাজ করেন। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুর বাবা মো. ফারুক মাদকাসক্ত। সন্ধ্যায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার সঙ্গে পরিবারের লোকজনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজের মেয়ে ফারিহাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকাসক্তি নিয়ে পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। কয়েকবার গ্রামের লোকজনও তাকে মাদক ছাড়াতে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নেশাই কাল হলো নিষ্পাপ শিশুটির জন্য তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফুর রহমান বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর ফারুক ঘরের ভেতর দা হাতে অবস্থান করেন। আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন ঘরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। পরে বাড়ির বাসিন্দারা জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকাসক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি শিশুটিকে হত্যা করেছেন। ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় নিজের মেয়েশিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে কাদির মাঝির বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুর নাম ফারিহা সুলতানা। বয়স ৬ বছর। শিশুর বাবার নাম মো. ফারুক। তিনি ওই এলাকার কাদির মাঝির ছেলে। ফারুক দিনমজুরের কাজ করেন। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুর বাবা মো. ফারুক মাদকাসক্ত। সন্ধ্যায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার সঙ্গে পরিবারের লোকজনের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে নিজের মেয়ে ফারিহাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মাদকাসক্তি নিয়ে পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। কয়েকবার গ্রামের লোকজনও তাকে মাদক ছাড়াতে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নেশাই কাল হলো নিষ্পাপ শিশুটির জন্য তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফুর রহমান বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর ফারুক ঘরের ভেতর দা হাতে অবস্থান করেন। আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন ঘরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। পরে বাড়ির বাসিন্দারা জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকাসক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি শিশুটিকে হত্যা করেছেন। ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।