ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জুয়েল (৩৫) নামে এক প্রবাসীকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী ঝুমানা আক্তারের (২৫) বিরুদ্ধে। গত রোববার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে বসতঘর থেকে জুয়েলের আগুনে পুড়া দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েলের স্ত্রী ঝুমানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুয়েল নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়ানগর গ্রামের মৃত আজহার উদ্দিনের ছেলে এবং জুয়েলের স্ত্রী ঝুমানা আক্তার উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের পুরান তুইতাল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে জুয়েলের সাথে ঝুমানার আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর জুয়েল বিদেশ চলে যাওয়ার পর ঝুমানা আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২ মাস আগে বাহরাইন থেকে জুয়েল দেশে আসার পর স্ত্রীর পরকীয়া ও উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
গত রোববার রাতে প্রতিবেশীরা জুয়েলের ঘর থেকে ধোঁয়া দেখে ও আগুনের গন্ধ পেয়ে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং খাটের উপর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ঝুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরিবার অভিযোগ করে বলেন, ঝুমানা আক্তার তার সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জুয়েলকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে নিহতের শরীরে আগুন ধরিয়ে ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় তারা ঝুমানা ও তার সহযোগীদের বিচার দাবি করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ডিজিটাল ফরেনসিকসহ প্রতিবেশীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জুয়েল (৩৫) নামে এক প্রবাসীকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী ঝুমানা আক্তারের (২৫) বিরুদ্ধে। গত রোববার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে বসতঘর থেকে জুয়েলের আগুনে পুড়া দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েলের স্ত্রী ঝুমানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুয়েল নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়ানগর গ্রামের মৃত আজহার উদ্দিনের ছেলে এবং জুয়েলের স্ত্রী ঝুমানা আক্তার উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের পুরান তুইতাল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে জুয়েলের সাথে ঝুমানার আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর জুয়েল বিদেশ চলে যাওয়ার পর ঝুমানা আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২ মাস আগে বাহরাইন থেকে জুয়েল দেশে আসার পর স্ত্রীর পরকীয়া ও উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
গত রোববার রাতে প্রতিবেশীরা জুয়েলের ঘর থেকে ধোঁয়া দেখে ও আগুনের গন্ধ পেয়ে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং খাটের উপর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ঝুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরিবার অভিযোগ করে বলেন, ঝুমানা আক্তার তার সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জুয়েলকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে নিহতের শরীরে আগুন ধরিয়ে ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় তারা ঝুমানা ও তার সহযোগীদের বিচার দাবি করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ডিজিটাল ফরেনসিকসহ প্রতিবেশীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।