ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক নির্মাণ কাজের ধীরগতি ও সড়কের বেহাল দশা দেখতে গিয়ে নিজেই দুর্ভোগে পড়লেন সড়ক, জ্বালানি ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়ক পরিদর্শনে এসে তিনি যানজটে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকা পড়েন। পরে কিছুটা পথ হেঁটে এবং এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেলে চড়ে বিশ্বরোডে পৌঁছান তিনি।
দুরবস্থা দেখতে গিয়ে দুর্ভোগে উপদেষ্টা
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কমলাপুর থেকে *মহানগর প্রভাতী* ট্রেনে ভৈরববাজার স্টেশনে পৌঁছে উপদেষ্টা সড়কপথে রওনা হন আশুগঞ্জের উদ্দেশে। আশুগঞ্জ পৌঁছানোর পরই শুরু হয় দীর্ঘ যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন তাঁর গাড়িবহর।
এ সময় স্থানীয়রা সড়কের বেহাল দশা ও বছরের পর বছর ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। আশুগঞ্জ–বিশ্বরোড মহাসড়ক অংশে খানাখন্দ, ধুলাবালি, যানজট ও ধীরগতির কাজ এখন নিত্যদিনের চিত্র।
উপদেষ্টা আসছেন শুনে তড়িঘড়ি মেরামত
উপদেষ্টার সফরের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার থেকেই তৎপরতা শুরু হয়।
বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের খানাখন্দে ইট-বালির অস্থায়ী সংস্কার কাজ চলে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বরোড এলাকায় দেখা গেছে, শ্রমিকরা বালি ফেলে ইট বিছানোর কাজে ব্যস্ত।
ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন,
> “আমাদের এখানে আনা হয়েছে সড়ক বিভাগের নির্দেশে। উপদেষ্টা আসছেন, তাই সাময়িকভাবে রাস্তা সমান করা হচ্ছে।”
দুই বছর বন্ধ ছিল প্রকল্পের কাজ
আশুগঞ্জ–আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন,
> “প্রকল্পের কাজ দুই বছর বন্ধ ছিল, এখন বাধাগুলো দূর হয়েছে। স্থায়ী কাজ শুরু করার আগে খানাখন্দ মেরামত করা হচ্ছে, যাতে চলাচলে ভোগান্তি না থাকে।”
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ৫০.৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্প নানা জটিলতায় ধীরগতিতে চলছে।
২০২৩ সালে ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক ছয় লেন করার সিদ্ধান্তের পর নকশা পরিবর্তন ও অতিরিক্ত বরাদ্দের জটিলতায় কাজ থেমে যায়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান **এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড** দেশ ছেড়ে গেলে প্রকল্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে তারা ফিরে এলেও কাজের গতি ফেরেনি।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ভারতীয় ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বর্তমানে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল মোড় পর্যন্ত ‘প্যাকেজ–১’ এবং সরাইল থেকে তন্তর পর্যন্ত ‘প্যাকেজ–২’-এর কাজ চলছে।
দুই অংশের ২৭ কিলোমিটারের কাজের অগ্রগতি এখনো অর্ধেকেরও কম।
সম্প্রতি প্রকল্পের বাড়তি ১৬৩ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন ও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক নির্মাণ কাজের ধীরগতি ও সড়কের বেহাল দশা দেখতে গিয়ে নিজেই দুর্ভোগে পড়লেন সড়ক, জ্বালানি ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়ক পরিদর্শনে এসে তিনি যানজটে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকা পড়েন। পরে কিছুটা পথ হেঁটে এবং এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেলে চড়ে বিশ্বরোডে পৌঁছান তিনি।
দুরবস্থা দেখতে গিয়ে দুর্ভোগে উপদেষ্টা
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কমলাপুর থেকে *মহানগর প্রভাতী* ট্রেনে ভৈরববাজার স্টেশনে পৌঁছে উপদেষ্টা সড়কপথে রওনা হন আশুগঞ্জের উদ্দেশে। আশুগঞ্জ পৌঁছানোর পরই শুরু হয় দীর্ঘ যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন তাঁর গাড়িবহর।
এ সময় স্থানীয়রা সড়কের বেহাল দশা ও বছরের পর বছর ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। আশুগঞ্জ–বিশ্বরোড মহাসড়ক অংশে খানাখন্দ, ধুলাবালি, যানজট ও ধীরগতির কাজ এখন নিত্যদিনের চিত্র।
উপদেষ্টা আসছেন শুনে তড়িঘড়ি মেরামত
উপদেষ্টার সফরের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার থেকেই তৎপরতা শুরু হয়।
বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের খানাখন্দে ইট-বালির অস্থায়ী সংস্কার কাজ চলে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বরোড এলাকায় দেখা গেছে, শ্রমিকরা বালি ফেলে ইট বিছানোর কাজে ব্যস্ত।
ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন,
> “আমাদের এখানে আনা হয়েছে সড়ক বিভাগের নির্দেশে। উপদেষ্টা আসছেন, তাই সাময়িকভাবে রাস্তা সমান করা হচ্ছে।”
দুই বছর বন্ধ ছিল প্রকল্পের কাজ
আশুগঞ্জ–আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন,
> “প্রকল্পের কাজ দুই বছর বন্ধ ছিল, এখন বাধাগুলো দূর হয়েছে। স্থায়ী কাজ শুরু করার আগে খানাখন্দ মেরামত করা হচ্ছে, যাতে চলাচলে ভোগান্তি না থাকে।”
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ৫০.৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্প নানা জটিলতায় ধীরগতিতে চলছে।
২০২৩ সালে ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক ছয় লেন করার সিদ্ধান্তের পর নকশা পরিবর্তন ও অতিরিক্ত বরাদ্দের জটিলতায় কাজ থেমে যায়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান **এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড** দেশ ছেড়ে গেলে প্রকল্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে তারা ফিরে এলেও কাজের গতি ফেরেনি।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ভারতীয় ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বর্তমানে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল মোড় পর্যন্ত ‘প্যাকেজ–১’ এবং সরাইল থেকে তন্তর পর্যন্ত ‘প্যাকেজ–২’-এর কাজ চলছে।
দুই অংশের ২৭ কিলোমিটারের কাজের অগ্রগতি এখনো অর্ধেকেরও কম।
সম্প্রতি প্রকল্পের বাড়তি ১৬৩ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন ও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।