আমতলী (বরগুনা) : ১৬ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ১৫ জন -সংবাদ
১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মাদ্রাসায় ১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৫ জন শিক্ষার্থীর পিছনে সরকার বছরে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় করছেন। অভিযোগ রয়েছে কমিটি-শিক্ষক ও স্থানীয় দ্বন্ধের কারনে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আসছে না। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ঘটনা আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। সুপার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান কবিরের দাবী বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী কিছুটা কম আসে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দাবী শিক্ষার্থীই কম। জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর পুর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে মাদ্রাসাটি। দীর্ঘ দিন ধরে কমিটি- শিক্ষক ও স্থানীয়দের দ্বন্ধ এবং কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়মের কারনে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। গত বছর ওই মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও পাশ করেছে মাত্র ৭ জন। ২০২৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৩৬ জন অংশ গ্রহনের কথা থাকলেও মাদ্রাসায় আসছে মাত্র দুইজন। এছাড়া ইবতেদায়ী শাখায় শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কাগজে কলমে মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী শাখাসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে রয়েছে মাত্র ১৫ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ২০-২৫ জনের বেশী শিক্ষার্থী কোন সময়ই উপস্থিত হয়না। তারা আরো বলেন, আগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল তার ভাইকে আব্দুল জলিলকে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। শিক্ষকদের চেয়ারে বসে থাকেন। মনে হয় তিনিই শিক্ষক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বেলা সাড়ে ১১ টায় মাদ্রাসায় চারটি শ্রেনী কক্ষে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। এর মধ্যে দশম শ্রেনীতে ২ জন, নবম শ্রেনীতে দুইজন ও অন্য দুই ক্লাসে ১১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নৈশ প্রহরী আব্দুল জলিল মাদ্রাসায় এসে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে আছেন। সুপার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান কবির মাদ্রাসায় আসেননি। তিনি দাফতরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি মাসের অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে এসে খাতায় স্বাক্ষর করেন। মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা ফারুক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারনে শিক্ষার্থী কম এসেছে। বৃষ্টি ছাড়া বেশী শিক্ষার্থী আসে। তিনি আরো বলেন, এ মাদ্রাসায় কোন অনিয়ম নেই।
মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, অনিয়মের ভরপুর ওই মাদ্রাসা। সুপার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান কবির ভুয়া নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সে সব সময় ঢাকায় থাকেন। মাসে দুইএকবার মাদ্রাসায় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যায়। যত অনিয়মের মুলে ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির।মাদ্রাসা সুপার মো. কামরুজ্জামান কবির মাদ্রাসায় অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি দাফতরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী একট কম আছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার পরপর তিনটি মাদ্রাসা থাকার শিক্ষার্থী কিছুটা কম।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদ হাসান বলেন, মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমি জেনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ১৫ জন শিক্ষার্থী দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী (বরগুনা) : ১৬ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ১৫ জন -সংবাদ
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মাদ্রাসায় ১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৫ জন শিক্ষার্থীর পিছনে সরকার বছরে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় করছেন। অভিযোগ রয়েছে কমিটি-শিক্ষক ও স্থানীয় দ্বন্ধের কারনে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আসছে না। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ঘটনা আমতলী উপজেলার উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। সুপার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান কবিরের দাবী বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী কিছুটা কম আসে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দাবী শিক্ষার্থীই কম। জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর পুর্ব কলাগাছিয়া গ্রামে উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে মাদ্রাসাটি। দীর্ঘ দিন ধরে কমিটি- শিক্ষক ও স্থানীয়দের দ্বন্ধ এবং কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়মের কারনে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। গত বছর ওই মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও পাশ করেছে মাত্র ৭ জন। ২০২৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৩৬ জন অংশ গ্রহনের কথা থাকলেও মাদ্রাসায় আসছে মাত্র দুইজন। এছাড়া ইবতেদায়ী শাখায় শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। কাগজে কলমে মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী শাখাসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে রয়েছে মাত্র ১৫ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ২০-২৫ জনের বেশী শিক্ষার্থী কোন সময়ই উপস্থিত হয়না। তারা আরো বলেন, আগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল তার ভাইকে আব্দুল জলিলকে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। শিক্ষকদের চেয়ারে বসে থাকেন। মনে হয় তিনিই শিক্ষক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বেলা সাড়ে ১১ টায় মাদ্রাসায় চারটি শ্রেনী কক্ষে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। এর মধ্যে দশম শ্রেনীতে ২ জন, নবম শ্রেনীতে দুইজন ও অন্য দুই ক্লাসে ১১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নৈশ প্রহরী আব্দুল জলিল মাদ্রাসায় এসে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে আছেন। সুপার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান কবির মাদ্রাসায় আসেননি। তিনি দাফতরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি মাসের অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে এসে খাতায় স্বাক্ষর করেন। মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা ফারুক হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারনে শিক্ষার্থী কম এসেছে। বৃষ্টি ছাড়া বেশী শিক্ষার্থী আসে। তিনি আরো বলেন, এ মাদ্রাসায় কোন অনিয়ম নেই।
মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, অনিয়মের ভরপুর ওই মাদ্রাসা। সুপার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান কবির ভুয়া নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সে সব সময় ঢাকায় থাকেন। মাসে দুইএকবার মাদ্রাসায় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যায়। যত অনিয়মের মুলে ভারপ্রাপ্ত সুপার কামরুজ্জামান কবির।মাদ্রাসা সুপার মো. কামরুজ্জামান কবির মাদ্রাসায় অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি দাফতরিক কাজে ঢাকায় আছি। বর্ষার মৌসুমে শিক্ষার্থী একট কম আছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার পরপর তিনটি মাদ্রাসা থাকার শিক্ষার্থী কিছুটা কম।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদ হাসান বলেন, মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে আমি জেনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ১৫ জন শিক্ষার্থী দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।