সৈয়দপুর (নীলফামারী) : শহরের হাতিখানা এলাকায় প্রধান ড্রেনের মুখে নিষিদ্ধ পলিথিনের স্তুপ -সংবাদ
বাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও কমেনি ব্যবহার, বন্ধ হয়নি কেনাবেচা। জনসমুক্ষে চলছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন কেনা ও বেচা। মাঝে মাঝে লোক দেখানো জনসচেতনতা কর্মসূচি ও অভিযান চালালেও মিলছে না সুফল। সৈয়দপুর শহরে অত্যন্ত চুপিসারে কিছু এলাকায় ছোট্ট ছোট্র পলিথিন কারখানা রয়েছে তাতে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে টনকে টন পলিথিন। পরিবেশদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সরকারি উদ্যোগ।
সরেজমিনে শহরের মাছ বাজার, মাংস বাজার, কাঁচা মাল, মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, পান দোকান, ঔষধের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে ওই পলিথিনের ব্যবহার। দোকানদার ভোক্তাদের হাতে পলিথিনের ব্যাগে সামগ্রী তুলে দিচ্ছে। সেইসাথে সৈয়দপুরের ৯০ ভাগ চায়ের দোকানে প্লাষ্টিকের কাপে করে চা ভোক্তাদের দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বেকারির পাউরুটি, কেক, চানাচুর, জুস, চিপস ও বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও সৈয়দপুরে বিসিক শিল্প নগরীতে বিভিন্ন সাবান ফ্যাক্টরী এবং বিস্কুট ফ্যাক্টরীগুলোতে দেদারছে ব্যবহার হচ্ছে এই পলিলথিন। শহরের মসলা পট্টি ও মুড়িহাটিতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন। যেন দেখার কেউ নেই।
কথা হয় শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের দিনাজপুর মোড়ের ব্যবসায়ী কবিরাজ ভান্ডারের মালিক মনোজ এর সাথে। তিনি জানান, পলিথিন তৈরির কাঁচামাল আমদানি বন্ধের পাশাপাশি উৎপাদন ও পাইকারি বাজারে বিক্রি বন্ধ করে দিলেই একদিনের মধ্যেই সারাদেশ তথা সৈয়দপুর থেকে পলিথিন উধাও হয়ে যাবে। ব্যবহৃত পলিথিন ড্রেনে ফেলে পানি নিষ্কাষন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
গ্রাম থেকে আসা আ. জব্বার ও কাশেম পলিথিনে করে সবজি ও মসলা নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, বাজার পলিথিন ছাড়া ক্যামনে নিবো? আমরা শুনেছি এই পলেথিন নাকি বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু দোকানদারতো পলিথিনে করেই মাল দিচ্ছে। পলিথিন ঢাকা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হলে দোকানদারও পাবেনা সেইসাথে আমরাও পাবোনা। মাছ বাজারে সালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, উৎপাদন ও পাইকারি বাজারে বন্ধ না করলে এসব ছোট্ট ব্যবসায়ীদের বলে কোনো লাভ হবে না।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, পলিথিন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। সেই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করছে। এরমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। (ছবি আছে)
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : শহরের হাতিখানা এলাকায় প্রধান ড্রেনের মুখে নিষিদ্ধ পলিথিনের স্তুপ -সংবাদ
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
বাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও কমেনি ব্যবহার, বন্ধ হয়নি কেনাবেচা। জনসমুক্ষে চলছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন কেনা ও বেচা। মাঝে মাঝে লোক দেখানো জনসচেতনতা কর্মসূচি ও অভিযান চালালেও মিলছে না সুফল। সৈয়দপুর শহরে অত্যন্ত চুপিসারে কিছু এলাকায় ছোট্ট ছোট্র পলিথিন কারখানা রয়েছে তাতে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে টনকে টন পলিথিন। পরিবেশদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সরকারি উদ্যোগ।
সরেজমিনে শহরের মাছ বাজার, মাংস বাজার, কাঁচা মাল, মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, পান দোকান, ঔষধের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে ওই পলিথিনের ব্যবহার। দোকানদার ভোক্তাদের হাতে পলিথিনের ব্যাগে সামগ্রী তুলে দিচ্ছে। সেইসাথে সৈয়দপুরের ৯০ ভাগ চায়ের দোকানে প্লাষ্টিকের কাপে করে চা ভোক্তাদের দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বেকারির পাউরুটি, কেক, চানাচুর, জুস, চিপস ও বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও সৈয়দপুরে বিসিক শিল্প নগরীতে বিভিন্ন সাবান ফ্যাক্টরী এবং বিস্কুট ফ্যাক্টরীগুলোতে দেদারছে ব্যবহার হচ্ছে এই পলিলথিন। শহরের মসলা পট্টি ও মুড়িহাটিতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পলিথিন। যেন দেখার কেউ নেই।
কথা হয় শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের দিনাজপুর মোড়ের ব্যবসায়ী কবিরাজ ভান্ডারের মালিক মনোজ এর সাথে। তিনি জানান, পলিথিন তৈরির কাঁচামাল আমদানি বন্ধের পাশাপাশি উৎপাদন ও পাইকারি বাজারে বিক্রি বন্ধ করে দিলেই একদিনের মধ্যেই সারাদেশ তথা সৈয়দপুর থেকে পলিথিন উধাও হয়ে যাবে। ব্যবহৃত পলিথিন ড্রেনে ফেলে পানি নিষ্কাষন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
গ্রাম থেকে আসা আ. জব্বার ও কাশেম পলিথিনে করে সবজি ও মসলা নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, বাজার পলিথিন ছাড়া ক্যামনে নিবো? আমরা শুনেছি এই পলেথিন নাকি বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু দোকানদারতো পলিথিনে করেই মাল দিচ্ছে। পলিথিন ঢাকা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হলে দোকানদারও পাবেনা সেইসাথে আমরাও পাবোনা। মাছ বাজারে সালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, উৎপাদন ও পাইকারি বাজারে বন্ধ না করলে এসব ছোট্ট ব্যবসায়ীদের বলে কোনো লাভ হবে না।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, পলিথিন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। সেই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করছে। এরমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। (ছবি আছে)