সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীতে চলছে মা ইলিশ ধরার মহোৎসব। ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা, বিক্রি ও মজুদের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে মাছ ধরা ও বিক্রি। সরেজমিনে দেখা গেছে, রায়পুরের মেঘনা নদীর চরবংশী হাজিমারা সুইসগেইট, আলতাফ মাষ্টার মাছঘাট, পুরানবেড়ী, চান্দারখাল ও সাজু মোল্লার ঘাটে অসংখ্য জেলে কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে ইলিশ ধরছেন। এসব মাছ স্থানীয় ঘাট ও বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
গত চার মাস সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এবং সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় এবং কোস্টগার্ড এখনো পর্যন্ত না দেওয়ায় অভিযান পরিচালনা করছে না মৎস্য বিভাগ।তবে আশার খবর মোঃরাশেদ হাসান নামে এক সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের এমন ভূমিকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সচেতন জেলেরা বলছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নদীতে ইলিশ সংকটে পড়বে এবং জেলেপল্লিতে ও অভাব দেখা দেবে। জেলেরা জানান, ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের কোনো ভূমিকা না থাকায় এসব হচ্ছে। আবার সঠিক প্রচার-প্রচারণার অভাবে অনেক জেলে মা-ইলিশসহ জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ও আইনের কথাও জানেন না। উত্তর চরবংশীর খাসেরহাট ও নাইয়াপাড়া এলাকার কয়েকজন মাছ বিক্রেতা বলেন, জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট ছোট জাটকার সঙ্গে মা-ইলিশও ধরে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। বাধ্য হয়ে তা কিনে নিচ্ছি। কারণ জেলেদের কাছে আমাদের দাদন দেওয়া রয়েছে।
সাজু মোল্লার ঘাট এলাকার সতেচন জেলে মালেক খানসহ একাধিক জেলে বলেন, অসাধু জেলেরা সরকারি কোনো আইন না মেনে কারেন্ট জাট দিয়ে জাটকার পাশাপাশি মা-ইলিশও ধরছে। তা আবার মৎস্য ঘাট, হাট-বাজার ও আড়তদারদের কাছে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে।রায়পুরে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ ফাঁড়ি নেই। রয়েছে রায়পুরের সীমান্ত এলাকা চাঁদপুরের চরভৈরবী এলাকায়। তাদের সদস্যরা মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ইলিশ জব্দ করলেও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে না। এতে ভবিষ্যতে নদীতে ইলিশের মহাসংকটসহ জেলেপল্লিতে মারাত্মক অভাব দেখা দেবে। তাই আমরা সরকারের কাছে এসব জাটক ও মা-ইলিশ শিকার ও বিক্রি বন্ধের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করছি। রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত মোঃরাশেদ হাসান বলেন,আমি সবেমাত্র জয়েন করেছি,তারপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে, নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।এরই মধ্যে কোস্ট গার্ডের অভিযানে জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, পরিবহণ, বিক্রি, বাজারজাতের ওপর সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অথচ এ আইন মানছে না অসাধু জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে তাই নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে রায়পুরে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মোঃরাশেদ হাসান।
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীতে চলছে মা ইলিশ ধরার মহোৎসব। ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা, বিক্রি ও মজুদের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে মাছ ধরা ও বিক্রি। সরেজমিনে দেখা গেছে, রায়পুরের মেঘনা নদীর চরবংশী হাজিমারা সুইসগেইট, আলতাফ মাষ্টার মাছঘাট, পুরানবেড়ী, চান্দারখাল ও সাজু মোল্লার ঘাটে অসংখ্য জেলে কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে ইলিশ ধরছেন। এসব মাছ স্থানীয় ঘাট ও বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
গত চার মাস সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এবং সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় এবং কোস্টগার্ড এখনো পর্যন্ত না দেওয়ায় অভিযান পরিচালনা করছে না মৎস্য বিভাগ।তবে আশার খবর মোঃরাশেদ হাসান নামে এক সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের এমন ভূমিকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সচেতন জেলেরা বলছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নদীতে ইলিশ সংকটে পড়বে এবং জেলেপল্লিতে ও অভাব দেখা দেবে। জেলেরা জানান, ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের কোনো ভূমিকা না থাকায় এসব হচ্ছে। আবার সঠিক প্রচার-প্রচারণার অভাবে অনেক জেলে মা-ইলিশসহ জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ও আইনের কথাও জানেন না। উত্তর চরবংশীর খাসেরহাট ও নাইয়াপাড়া এলাকার কয়েকজন মাছ বিক্রেতা বলেন, জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট ছোট জাটকার সঙ্গে মা-ইলিশও ধরে আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। বাধ্য হয়ে তা কিনে নিচ্ছি। কারণ জেলেদের কাছে আমাদের দাদন দেওয়া রয়েছে।
সাজু মোল্লার ঘাট এলাকার সতেচন জেলে মালেক খানসহ একাধিক জেলে বলেন, অসাধু জেলেরা সরকারি কোনো আইন না মেনে কারেন্ট জাট দিয়ে জাটকার পাশাপাশি মা-ইলিশও ধরছে। তা আবার মৎস্য ঘাট, হাট-বাজার ও আড়তদারদের কাছে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে।রায়পুরে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ ফাঁড়ি নেই। রয়েছে রায়পুরের সীমান্ত এলাকা চাঁদপুরের চরভৈরবী এলাকায়। তাদের সদস্যরা মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ইলিশ জব্দ করলেও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে না। এতে ভবিষ্যতে নদীতে ইলিশের মহাসংকটসহ জেলেপল্লিতে মারাত্মক অভাব দেখা দেবে। তাই আমরা সরকারের কাছে এসব জাটক ও মা-ইলিশ শিকার ও বিক্রি বন্ধের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করছি। রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত মোঃরাশেদ হাসান বলেন,আমি সবেমাত্র জয়েন করেছি,তারপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে, নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।এরই মধ্যে কোস্ট গার্ডের অভিযানে জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকার, পরিবহণ, বিক্রি, বাজারজাতের ওপর সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অথচ এ আইন মানছে না অসাধু জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে তাই নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে রায়পুরে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মোঃরাশেদ হাসান।