ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীরববালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদীর পাড়ঘেঁষে সীমানা বর্হিভুত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে মুখে বালু শ্রমিক ও ইজারাদারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটে।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর সংলগ্ন মেঘনা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর থেকে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার (খনন যন্ত্র)নিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন বালু শ্রমিক ও ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে বালু উত্তোলনকারী লোকজনদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে উত্তোলনকারীরা নদীর বিপরীত পাশে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দিকে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, আমরা জানি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা নিষেধ। সকালে যখন দেখলাম সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইজারাদারের মিয়োজিত লোকজন সীমানা বর্হিভুত এলাকায় নদীর পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলণের চেষ্টা করছে করছো, তখন আমরা এলকাবাসী একজোট দিয়ে তাদের বাধা দিতে গিয়েছিলাম।
বিষয়টি নিয়ে বালুমহালটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম জসিমের কথা বললে, তিনি দাবী করেন স্থানীয় প্রশাসন মহালে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া, নদীর পাড় থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে বালু উত্তোলন করার কথা বলেছ, ২২শ’ ফুট গভীরে বালু উত্তোলন করতে গিয়েও গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েছি। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুস সামাদ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে, জেলা প্রশাসন নদীতে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছেন, কারণ মা ইলিশের প্রজনন সময় বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করলে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ব্যাহত হবে, যা সামগ্রিকভাবে মৎস্য সম্পদকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে একটি বালুমহাল আছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সেটা যেন বন্ধ থাকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি আমরা।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, এমন একটি খবর পাওয়ার পর আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তবে ঘটনাস্থলে যাবার পর বালু উত্তোলনকারীদের পাওয়া যায়নি। মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে একটি বৈধ বালুমহাল আছে। আমরা ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে বলেছি। আমি বিষয়টি নিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীরববালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদীর পাড়ঘেঁষে সীমানা বর্হিভুত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে মুখে বালু শ্রমিক ও ইজারাদারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটে।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর সংলগ্ন মেঘনা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর থেকে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার (খনন যন্ত্র)নিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন বালু শ্রমিক ও ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে বালু উত্তোলনকারী লোকজনদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে উত্তোলনকারীরা নদীর বিপরীত পাশে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দিকে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, আমরা জানি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা নিষেধ। সকালে যখন দেখলাম সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইজারাদারের মিয়োজিত লোকজন সীমানা বর্হিভুত এলাকায় নদীর পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলণের চেষ্টা করছে করছো, তখন আমরা এলকাবাসী একজোট দিয়ে তাদের বাধা দিতে গিয়েছিলাম।
বিষয়টি নিয়ে বালুমহালটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম জসিমের কথা বললে, তিনি দাবী করেন স্থানীয় প্রশাসন মহালে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া, নদীর পাড় থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে বালু উত্তোলন করার কথা বলেছ, ২২শ’ ফুট গভীরে বালু উত্তোলন করতে গিয়েও গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েছি। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুস সামাদ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে, জেলা প্রশাসন নদীতে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছেন, কারণ মা ইলিশের প্রজনন সময় বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করলে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ব্যাহত হবে, যা সামগ্রিকভাবে মৎস্য সম্পদকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে একটি বালুমহাল আছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সেটা যেন বন্ধ থাকে এ ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি আমরা।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, এমন একটি খবর পাওয়ার পর আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তবে ঘটনাস্থলে যাবার পর বালু উত্তোলনকারীদের পাওয়া যায়নি। মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশে একটি বৈধ বালুমহাল আছে। আমরা ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে বলেছি। আমি বিষয়টি নিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।