ঈশ্বরদী (পাবনা) : নদী পাড়ের মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
ঈশ্বরদীতে পদ্মনদীর নৌ চ্যানেলের ইজারা দ্বন্দ্বে গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২ যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কেঁদেছেন গুলিবিদ্ধ সজিব(২৫) ও নিজামের (২৬) পরিবার ও স্বজনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সাড়াঘাট ক্যানেলপাড়া এলাকায় নদীপাড়ের সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। মানববন্ধনে অতর্কিত গুলিবর্ষণে প্রশাসনের চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। শুধু তাই নয় পদ্মার সাড়াঘাট এলাকায় নৌ চ্যানেলের ইজারা ও খাজনা আদায় বৈধ থাকার পরও অপর পক্ষের সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ডে নবাগত ইউএনও মো. মনিরুজ্জামানের মদদ রয়েছে এমন অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর উপজেলার সাড়াঘাটের ক্যানেলপাড়া এলাকায় পদ্মার নৌ- চ্যানেলের খাজনা আদায়ের দ্বন্দ্বে ইজারাদার ও এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসানের লোকজনের উপর অপর পক্ষ গ্রুপঅন সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী খান্দকার সোহেল গ্রুপের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত গুলিবর্ষণ করেন। এতে স্থানীয় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ সজিবের দাদী মোছা. রিজিয়া খাতুন কেঁদে কেঁদে বিলোপ করে বলছিলেন, তাগো গুলি লাইগ্গা আমার নাতি হাসপাতালে ভর্তি। কি দোষ করছিলাম আমরা, কির লাইগ্গা হেগো পাড়ায় আইয়া বাড়ি করছিল্যাম। গরিবদের উপর তাগো এত অত্যাচার কির লাইগ্গা? আমার নাতিডার উপর গুলি করবার বিচাই চামু কার কাছে?। বুকে গুলি লাগা যুবক নিজামের মা কান্না করে বলেন, আমার ছেলে তো তাদের কোন ক্ষতি করে নাই। তবে তারা কেন গুলি করলো? আমরা সাধারন মানুষ আমাদের উপর এত নির্যাতন কেন? এ ঘটনার বিচাই দাবি করছি প্রশাসনের কাছে। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনের অবহেলা আর ব্যর্থতার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ দায় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারেনা। নতুন ইউএনও মনিরুজ্জামান কুষ্টিয়ার বাসিন্দা বলে হয়তো তাদের পক্ষে কাজ করছে। আমরা তার অপসারন দাবী করছি এবং জনগনের পক্ষে কাজ করার মত একজন চাই। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তামো. মনিরুজ্জামান বলেন, তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনছে তা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন।
আমি একদমই নতুন, ঠিকমত কোন বিষয়ই এখনও জেনে-বুঝে উঠতে পারি নাই। তবে শুনছি পদ্মারনদীর অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ রয়েছে যারা বালুমহল দখলে নিতে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে নৌ-পুলিশসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। বর্তমানে নদী এলাকায় আমাদের একটি টহল টিম রয়েছে। আশা করছি এ ধরনের আর কোন ঘটনা ঘটবেনা।
ঈশ্বরদী (পাবনা) : নদী পাড়ের মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ঈশ্বরদীতে পদ্মনদীর নৌ চ্যানেলের ইজারা দ্বন্দ্বে গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২ যুবক। এ ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কেঁদেছেন গুলিবিদ্ধ সজিব(২৫) ও নিজামের (২৬) পরিবার ও স্বজনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সাড়াঘাট ক্যানেলপাড়া এলাকায় নদীপাড়ের সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। মানববন্ধনে অতর্কিত গুলিবর্ষণে প্রশাসনের চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। শুধু তাই নয় পদ্মার সাড়াঘাট এলাকায় নৌ চ্যানেলের ইজারা ও খাজনা আদায় বৈধ থাকার পরও অপর পক্ষের সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ডে নবাগত ইউএনও মো. মনিরুজ্জামানের মদদ রয়েছে এমন অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর উপজেলার সাড়াঘাটের ক্যানেলপাড়া এলাকায় পদ্মার নৌ- চ্যানেলের খাজনা আদায়ের দ্বন্দ্বে ইজারাদার ও এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসানের লোকজনের উপর অপর পক্ষ গ্রুপঅন সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী খান্দকার সোহেল গ্রুপের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত গুলিবর্ষণ করেন। এতে স্থানীয় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ সজিবের দাদী মোছা. রিজিয়া খাতুন কেঁদে কেঁদে বিলোপ করে বলছিলেন, তাগো গুলি লাইগ্গা আমার নাতি হাসপাতালে ভর্তি। কি দোষ করছিলাম আমরা, কির লাইগ্গা হেগো পাড়ায় আইয়া বাড়ি করছিল্যাম। গরিবদের উপর তাগো এত অত্যাচার কির লাইগ্গা? আমার নাতিডার উপর গুলি করবার বিচাই চামু কার কাছে?। বুকে গুলি লাগা যুবক নিজামের মা কান্না করে বলেন, আমার ছেলে তো তাদের কোন ক্ষতি করে নাই। তবে তারা কেন গুলি করলো? আমরা সাধারন মানুষ আমাদের উপর এত নির্যাতন কেন? এ ঘটনার বিচাই দাবি করছি প্রশাসনের কাছে। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, শুধুমাত্র প্রশাসনের অবহেলা আর ব্যর্থতার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ দায় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারেনা। নতুন ইউএনও মনিরুজ্জামান কুষ্টিয়ার বাসিন্দা বলে হয়তো তাদের পক্ষে কাজ করছে। আমরা তার অপসারন দাবী করছি এবং জনগনের পক্ষে কাজ করার মত একজন চাই। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তামো. মনিরুজ্জামান বলেন, তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনছে তা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন।
আমি একদমই নতুন, ঠিকমত কোন বিষয়ই এখনও জেনে-বুঝে উঠতে পারি নাই। তবে শুনছি পদ্মারনদীর অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ রয়েছে যারা বালুমহল দখলে নিতে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে নৌ-পুলিশসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। বর্তমানে নদী এলাকায় আমাদের একটি টহল টিম রয়েছে। আশা করছি এ ধরনের আর কোন ঘটনা ঘটবেনা।