ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
টানা ভারী বর্ষণে সুন্দরগঞ্জ-হতেম মওলানা ভাসানী সেতু সংযোগ সড়কের বেলকা কদমতলী এলাকায় পাকা সড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের অন্তত ৩০টি স্থানে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় রাজা মিয়া জানান, শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) ভারী বর্ষণের সময় পানির তোড়ে ওই স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বালুর বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার পূর্বাঞ্চলের হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, চ-িপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। এটি এলাকার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শুধু ওই স্থানেই নয়, সুন্দরগঞ্জ থেকে ভাসানী সেতু পর্যন্ত অন্তত ৩০টি স্থানে সড়কের দুই পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। বিশেষ করে রাতে অচেনা যানবাহনের জন্য এটি মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি।’
বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানান, ‘গর্তের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর পরিদর্শন করা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে গর্ত মেরামতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে কোনো বরাদ্দ না থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
টানা ভারী বর্ষণে সুন্দরগঞ্জ-হতেম মওলানা ভাসানী সেতু সংযোগ সড়কের বেলকা কদমতলী এলাকায় পাকা সড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের অন্তত ৩০টি স্থানে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় রাজা মিয়া জানান, শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) ভারী বর্ষণের সময় পানির তোড়ে ওই স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বালুর বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার পূর্বাঞ্চলের হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, চ-িপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। এটি এলাকার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শুধু ওই স্থানেই নয়, সুন্দরগঞ্জ থেকে ভাসানী সেতু পর্যন্ত অন্তত ৩০টি স্থানে সড়কের দুই পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। বিশেষ করে রাতে অচেনা যানবাহনের জন্য এটি মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি।’
বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানান, ‘গর্তের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর পরিদর্শন করা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে গর্ত মেরামতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে কোনো বরাদ্দ না থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’