কালকিনি (মাদারীপুর) : কুন্ডবাড়ি মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
মাদারীপুরের কালকিনিতে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম প্রায় আড়াই শত বছরের কুন্ডুবাড়ির মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় জনতার ব্যানারে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এ মানববন্ধনে। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা গোলাম হোসাইন, মাওলানা মহাসিন ও মুফতি সাইদ হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, সপ্তাহব্যাপী কুন্ডুবাড়ি মেলাকে ঘিরে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও মাদক বিক্রির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। তাই তারা মেলাটি স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, কুন্ডুবাড়িতে পূজা চলবে, কিন্তু মেলা করা যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুরের কুন্ডুবাড়িতে ১৭৮৩ সালের নভেম্বরে দীপাবলি ও শ্রীশ্রী কালীপূজা উপলক্ষে দীননাথ কুন্ডু ও মহেশ কুন্ডু এই মেলার সূচনা করেন। তাঁদের বংশানুক্রমিক নামানুসারেই মেলার নাম রাখা হয় কুন্ডুবাড়ির মেলা। দীপাবলীর পরদিন এ অঞ্চলের বিভিন্ন কালী প্রতিমা এখানে জড়ো করা হতো। যে প্রতিমা সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হতো, তাকে পুরস্কৃত করা হতো। তখন চিত্তবিনোদনের জন্য পুতুলনাচ, কবিগান, জারিগান, পালাগান ও নৌকাবাইচের আয়োজন করা হতো। কালের বিবর্তনে এসব আয়োজন বন্ধ হলেও নাগরদোলা এখনো রয়েছে। বংশপরম্পরায় প্রতি বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। শুধু কুন্ডুবাড়ি এলাকা নয়, ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের গোপালপুর এলাকার দুই পাশে বসে শত শত দোকান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসেন এখানে। বিশেষত কাঠের বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রের জন্য এই মেলা বিখ্যাত। মাদারীপুর ছাড়াও ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরা, যশোর ও নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে মাটির, বাঁশের ও কাঠের তৈরি নানা পণ্য বিক্রির জন্য এখানে আসেন। প্রসাশনের পক্ষ থেকে মেলা অনুমতি এখন পযর্ন্ত না পেলেও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ভূরঘাটা মজিদবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে থেকে শুরু করে গোপালপুর পযর্ন্ত কুন্ডুবাড়ী মেলার জন্য বিভিন্ন রকমের দোকান এসে ব্যবসা শুরু করায মেলার আমেজে আছে স্থানীয ও দুর-দূরান্তের দর্শনার্থীদের মাঝে।
কালকিনি (মাদারীপুর) : কুন্ডবাড়ি মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
মাদারীপুরের কালকিনিতে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম প্রায় আড়াই শত বছরের কুন্ডুবাড়ির মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় জনতার ব্যানারে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন এ মানববন্ধনে। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা গোলাম হোসাইন, মাওলানা মহাসিন ও মুফতি সাইদ হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, সপ্তাহব্যাপী কুন্ডুবাড়ি মেলাকে ঘিরে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও মাদক বিক্রির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। তাই তারা মেলাটি স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, কুন্ডুবাড়িতে পূজা চলবে, কিন্তু মেলা করা যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুরের কুন্ডুবাড়িতে ১৭৮৩ সালের নভেম্বরে দীপাবলি ও শ্রীশ্রী কালীপূজা উপলক্ষে দীননাথ কুন্ডু ও মহেশ কুন্ডু এই মেলার সূচনা করেন। তাঁদের বংশানুক্রমিক নামানুসারেই মেলার নাম রাখা হয় কুন্ডুবাড়ির মেলা। দীপাবলীর পরদিন এ অঞ্চলের বিভিন্ন কালী প্রতিমা এখানে জড়ো করা হতো। যে প্রতিমা সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হতো, তাকে পুরস্কৃত করা হতো। তখন চিত্তবিনোদনের জন্য পুতুলনাচ, কবিগান, জারিগান, পালাগান ও নৌকাবাইচের আয়োজন করা হতো। কালের বিবর্তনে এসব আয়োজন বন্ধ হলেও নাগরদোলা এখনো রয়েছে। বংশপরম্পরায় প্রতি বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। শুধু কুন্ডুবাড়ি এলাকা নয়, ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের গোপালপুর এলাকার দুই পাশে বসে শত শত দোকান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসেন এখানে। বিশেষত কাঠের বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রের জন্য এই মেলা বিখ্যাত। মাদারীপুর ছাড়াও ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরা, যশোর ও নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে মাটির, বাঁশের ও কাঠের তৈরি নানা পণ্য বিক্রির জন্য এখানে আসেন। প্রসাশনের পক্ষ থেকে মেলা অনুমতি এখন পযর্ন্ত না পেলেও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ভূরঘাটা মজিদবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে থেকে শুরু করে গোপালপুর পযর্ন্ত কুন্ডুবাড়ী মেলার জন্য বিভিন্ন রকমের দোকান এসে ব্যবসা শুরু করায মেলার আমেজে আছে স্থানীয ও দুর-দূরান্তের দর্শনার্থীদের মাঝে।