alt

২০ শিক্ষার্থীর ১৪ শিক্ষক তবুও সবাই ফেল

সুব্রত সরকার, মহম্মদপুর (মাগুরা) : শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২০ জন তবুও কেহই পাশ করেনী দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে । এমন ঘটনায় শিক্ষার্থির অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ এবং কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজ দুটি প্রতিষ্ঠানে ২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৪ জন শিক্ষক থাকলেও ২০ শিক্ষার্থীকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে তাদের কাউকেই পাশ করানোর উপযোগী হিসেবে গড়তেই পারেনি দুটি প্রতিষ্ঠান। যদিও বিগত বছরের তুলনায় এবছর সারাদেশেই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চরম ধস নেমেছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের দাবি, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দুটি কলেজ অধ্যক্ষের নামে মামলা হওয়ায় এবং ঠিকমত কলেজের খোজ খবর না নেওয়ায় ভেঙে পড়েছে শিক্ষার মান।

শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত মহম্মদপুর সদর উপজেলার বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ এবং কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের ফলাফলে লক্ষ্য করা যায় এমন দৃশ্য। যেখানে দেখা যায় বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ জন থাকলেও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এদের মধ্যে একজনও পাস করতে পারেনি। অপরদিকে কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম

কলেজে ৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরিতে ৪ জন শিক্ষক সারা বছর পাঠদান করিয়েও কাউকেই পাশ করাতে পারেনি প্রতিষ্ঠান।

সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. করিম মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ছেলে-মেয়েরা ঠিকমত লেখাপড়া করেনা এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চরম অবহেলা আর দ্বায়িত্বহীনতার কারনেই এমন ফলাফল বিপর্যায়ের ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রফেসর লিপু রায় বলেন, আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা ঠিকমত কলেজে না আসা এবং ঠিকমত লেখাপড়া না করায় এমন ফলাফল বিপর্যায় ঘটেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মিলন বলেন, শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে লেখাপড়া না করলে তো এ সমস্যাই হবেই, তাছাড়া আমরা নতুন শুরু করেছি আমার প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভূক্ত হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য শিক্ষক যারা আছেন তারা চেষ্টার কোন ত্রুটিই রাখেনী তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটি না হয় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করবো। তবে চেষ্টা করেও কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ:দ:) কাজী শফিউল আলম বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীর কেহই পাশ করেনি এটা অত্যান্ত দু:খজনক তবে খোজ খবর নিয়ে দেখতে হবে কেন এমন রেজাল্ট হলো।

ছবি

মোহনগঞ্জে মাঠজুড়ে সবুজ ধানের স্নিগ্ধ হাসি

ছবি

যশোরে অটোরাইস মিলের আগুনে দুই শ্রমিক আহত

ছবি

কন্যারকুম পয়েন্টে খাল খনন শুরু, নতুন স্বপ্ন দেখছেন চকরিয়ার কৃষকরা

ছবি

কালীগঞ্জে জৈব সার উৎপাদনে অনুপ্রেরণার নাম কামরুজ্জামান

ছবি

বান্দরবান পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ

ছবি

গৌরীপুর দুই প্রতিষ্ঠানে পাশের হার শূন্য

ছবি

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা

ছবি

পরকিয়া প্রেমিকের ছুরিঘাতে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেখে যাওয়া তরুণীর লাশের পরিচয় খুঁজছে পুলিশ

ছবি

মোংলায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ বিক্রেতা আটক

ছবি

টিকা নেয়ার জন্য শিশু ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ

ছবি

নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মৎস্য আহরণের চেষ্টায় ২টি ট্রলার ও ট্রাক আটক

ছবি

হবিগঞ্জ সাতছড়ি উদ্যানে ডাকাতির চেষ্টা, রুখে দিল বিজিবি

ছবি

বোয়ালখালীতে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণ

ছবি

খেলাধুলা মানুষকে মাদক থেকে দূরে রাখে -জেলা প্রশাসক

ছবি

ধামরাইয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

ভোলার ফেরি ও লাঞ্চঘাটে মাদকবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি

ছবি

কেশবপুরে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিককে মারপিট, আটক ২

ছবি

সাঘাটায় সাপের কামড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি

মধুপুর গড়ে পাতার বিড়ি এখন শুধুই স্মৃতি, বিলুপ্তির পথে গাদিলা বৃক্ষ

ছবি

নোয়াখালীতে আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

ছবি

রাজশাহীতে লালনের ১৩৫তম তিরোধান দিবস পালিত

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে লাইসেন্স নিয়ে বালু ভরাটের অভিযোগ

ছবি

গৌরীপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভুয়া ওষুধ কোম্পানীর সন্ধান

ছবি

দামুড়হুদায় ভুট্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

ছবি

লালপুরে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

টাঙ্গাইলের সাত কলেজে শতভাগ ফেল

ছবি

দশমিনায় বাড়ছে মালচিং পদ্ধতিতে বারমাসি তরমুজ চাষ

ছবি

গজারিয়া মহাসড়কের চারটি ইউটার্ণ যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে লালন তিরোধান দিবস পালিত

ছবি

ডিমলায় শিঙ্গাহারা নদীর ব্রিজটি চলাচলে অনুপযোগী

ছবি

জয়পুরহাটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

এস.এ. সরকারি কলেজের জরাজীর্ণ ছাত্রাবাস, মানবেতর জীবনযাবন

ছবি

ভোমরা স্থলবন্দর এখন ‘কাস্টমস হাউজ’

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে

tab

২০ শিক্ষার্থীর ১৪ শিক্ষক তবুও সবাই ফেল

সুব্রত সরকার, মহম্মদপুর (মাগুরা)

শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২০ জন তবুও কেহই পাশ করেনী দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে । এমন ঘটনায় শিক্ষার্থির অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ এবং কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজ দুটি প্রতিষ্ঠানে ২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৪ জন শিক্ষক থাকলেও ২০ শিক্ষার্থীকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে তাদের কাউকেই পাশ করানোর উপযোগী হিসেবে গড়তেই পারেনি দুটি প্রতিষ্ঠান। যদিও বিগত বছরের তুলনায় এবছর সারাদেশেই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চরম ধস নেমেছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দাদের দাবি, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দুটি কলেজ অধ্যক্ষের নামে মামলা হওয়ায় এবং ঠিকমত কলেজের খোজ খবর না নেওয়ায় ভেঙে পড়েছে শিক্ষার মান।

শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত মহম্মদপুর সদর উপজেলার বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ এবং কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের ফলাফলে লক্ষ্য করা যায় এমন দৃশ্য। যেখানে দেখা যায় বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ জন থাকলেও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এদের মধ্যে একজনও পাস করতে পারেনি। অপরদিকে কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম

কলেজে ৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরিতে ৪ জন শিক্ষক সারা বছর পাঠদান করিয়েও কাউকেই পাশ করাতে পারেনি প্রতিষ্ঠান।

সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. করিম মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ছেলে-মেয়েরা ঠিকমত লেখাপড়া করেনা এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চরম অবহেলা আর দ্বায়িত্বহীনতার কারনেই এমন ফলাফল বিপর্যায়ের ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রফেসর লিপু রায় বলেন, আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা ঠিকমত কলেজে না আসা এবং ঠিকমত লেখাপড়া না করায় এমন ফলাফল বিপর্যায় ঘটেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মিলন বলেন, শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে লেখাপড়া না করলে তো এ সমস্যাই হবেই, তাছাড়া আমরা নতুন শুরু করেছি আমার প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভূক্ত হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য শিক্ষক যারা আছেন তারা চেষ্টার কোন ত্রুটিই রাখেনী তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটি না হয় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করবো। তবে চেষ্টা করেও কানাইনগর টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজের অধ্যক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ:দ:) কাজী শফিউল আলম বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষার্থীর কেহই পাশ করেনি এটা অত্যান্ত দু:খজনক তবে খোজ খবর নিয়ে দেখতে হবে কেন এমন রেজাল্ট হলো।

back to top