গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্ন নিচ্ছে কয়েকটি ট্রাক -সংবাদ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সংযোগরক্ষাকারী, বাংলাদেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের ১৪ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ৪টি ঝুঁকিপুর্ণ ইউটার্ন। প্রতিটি ইউটার্ণ-ই যেনো এক একটি মরণ ফাঁদ!
যথাযথ নিয়ম পরিপালন ব্যতীত ইউটার্ণ সমূহ অতিক্রম করা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত নজরদারী ও নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা মূলক কার্যক্রম গ্রহন না করার কারণে গাড়ির চালক, যাত্রী ও পথচারীরা প্রায়শ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যু ও পঙ্গুত্ববরণ করছে। সাথে রয়েছ সম্পদহানির ঝুঁকি।
ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা, ভবেরচর ও বাউশিয়া এলাকার ইউটার্নগুলোতে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকী না থাকা এবং সড়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ সঠিক ভাবে দেখ ভাল না করার কারণে মহাসড়কে প্রায়ই সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা যায়, ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ১৪ কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের মেঘনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা, ভবেরচর ও পুরাণ বাউশিয়া মানা-বে ওয়াটার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়কের বিভাজন কেটে ৪টি ইউটার্ণ করা হয়েছে। ইউটার্ণগুলোর মধ্যে বালুয়াকান্দী, ভবেরচর, আনারপুরা ও বাউশিয়া মানা-বে ওয়াটারা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে দুর্ঘটনার হার আনুপাতিক হারে বেশি। স্থানীয়রা জানান, হাইওয়ে পুলিশের নজরদারী কম থাকায় প্রায়ই সময় এই ইউটার্ন দিয়ে অবাধে ক্ষু্দ্রূাকারের থ্রি-হুইলার যানবাহন সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরবাইক, প্রাইভেট কারসহ সাধারণ পথচারী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সর্বশেষ গত সোমবার আনারপুরা এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইউটার্ণ নেয়ার সময় দূরপাল্লা বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুজন যাত্রী নিহত ও অপর তিনজন গুরুতর আহত হয়।
তাদের দাবি, এ ইউটার্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তাকর্মী ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হোক। না হয় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ওভারপাস অথবা আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় কয়েজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, মানুষজন মহাসড়ক ব্যবহার করে যানবাহনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। কিন্তু সড়কে যখন নিয়মনীতি না মেনে বেপড়োয়া যাহবাহন চলাচল করে, তখন সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য তা অনিরাপদ ও ঝুঁকিপুর্ণ এবং দুর্ভোগের কারন হয়। মহাসড়কের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করার অভিযোগও করেন মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী ও পতচারীরা। মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলারসহ, ট্রাক্টর,নছিমন ও মাহেদ্রজাতীয় যানবহনের অবাধ চলাচলসহ নানা অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হওয়ার দাবিও করেন স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, সড়ক বিভাগের কাজ হচ্ছে সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ, রাস্তা তৈরির কাজ করা। সড়কের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে রাস্তা তৈরির সময় প্রত্যেকটি ইউটার্ন পয়েন্টের ডানে-বামে বাড়তি জায়গা রাখা হয়েছে যাতে গাড়িগুলো নিরাপদে চলাচল করতে পারে এবং কিছু জনসচেতনতামূলক স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।
গজারিয়া থানার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তায় আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকসা, থ্রি-হুইলার গাড়ি চলাচল না করার জন্য আমরা চালকদেরকে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে উৎসাহিত করছি। এ ক্ষেত্রে যেসব গাড়ির চালকেরা মহাসড়কের নিয়ম ভঙ্গ করে তাদেরকে নিয়মিত মামলা দিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রমও চলমান রয়েছ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ মাসে মহাসড়কের গজারিয়া অংশে কম/বেশি ৩০টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন যাত্রী-পথচারী নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ইউটার্ন নিচ্ছে কয়েকটি ট্রাক -সংবাদ
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সংযোগরক্ষাকারী, বাংলাদেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের ১৪ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ৪টি ঝুঁকিপুর্ণ ইউটার্ন। প্রতিটি ইউটার্ণ-ই যেনো এক একটি মরণ ফাঁদ!
যথাযথ নিয়ম পরিপালন ব্যতীত ইউটার্ণ সমূহ অতিক্রম করা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত নজরদারী ও নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা মূলক কার্যক্রম গ্রহন না করার কারণে গাড়ির চালক, যাত্রী ও পথচারীরা প্রায়শ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যু ও পঙ্গুত্ববরণ করছে। সাথে রয়েছ সম্পদহানির ঝুঁকি।
ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা, ভবেরচর ও বাউশিয়া এলাকার ইউটার্নগুলোতে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকী না থাকা এবং সড়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ সঠিক ভাবে দেখ ভাল না করার কারণে মহাসড়কে প্রায়ই সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা যায়, ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের আওতাধীন মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ১৪ কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের মেঘনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা, ভবেরচর ও পুরাণ বাউশিয়া মানা-বে ওয়াটার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়কের বিভাজন কেটে ৪টি ইউটার্ণ করা হয়েছে। ইউটার্ণগুলোর মধ্যে বালুয়াকান্দী, ভবেরচর, আনারপুরা ও বাউশিয়া মানা-বে ওয়াটারা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে দুর্ঘটনার হার আনুপাতিক হারে বেশি। স্থানীয়রা জানান, হাইওয়ে পুলিশের নজরদারী কম থাকায় প্রায়ই সময় এই ইউটার্ন দিয়ে অবাধে ক্ষু্দ্রূাকারের থ্রি-হুইলার যানবাহন সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরবাইক, প্রাইভেট কারসহ সাধারণ পথচারী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সর্বশেষ গত সোমবার আনারপুরা এলাকায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইউটার্ণ নেয়ার সময় দূরপাল্লা বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুজন যাত্রী নিহত ও অপর তিনজন গুরুতর আহত হয়।
তাদের দাবি, এ ইউটার্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তাকর্মী ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া হোক। না হয় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ওভারপাস অথবা আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় কয়েজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, মানুষজন মহাসড়ক ব্যবহার করে যানবাহনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। কিন্তু সড়কে যখন নিয়মনীতি না মেনে বেপড়োয়া যাহবাহন চলাচল করে, তখন সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য তা অনিরাপদ ও ঝুঁকিপুর্ণ এবং দুর্ভোগের কারন হয়। মহাসড়কের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করার অভিযোগও করেন মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী ও পতচারীরা। মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলারসহ, ট্রাক্টর,নছিমন ও মাহেদ্রজাতীয় যানবহনের অবাধ চলাচলসহ নানা অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হওয়ার দাবিও করেন স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, সড়ক বিভাগের কাজ হচ্ছে সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ, রাস্তা তৈরির কাজ করা। সড়কের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে রাস্তা তৈরির সময় প্রত্যেকটি ইউটার্ন পয়েন্টের ডানে-বামে বাড়তি জায়গা রাখা হয়েছে যাতে গাড়িগুলো নিরাপদে চলাচল করতে পারে এবং কিছু জনসচেতনতামূলক স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।
গজারিয়া থানার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তায় আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকসা, থ্রি-হুইলার গাড়ি চলাচল না করার জন্য আমরা চালকদেরকে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে উৎসাহিত করছি। এ ক্ষেত্রে যেসব গাড়ির চালকেরা মহাসড়কের নিয়ম ভঙ্গ করে তাদেরকে নিয়মিত মামলা দিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রমও চলমান রয়েছ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ মাসে মহাসড়কের গজারিয়া অংশে কম/বেশি ৩০টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন যাত্রী-পথচারী নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।